ঢাকা, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪
সর্বশেষ:

‘ফণি’ মোকাবিলায় ভারতে সব বাহিনী প্রস্তুত

বিশ্ব সংবাদ ডেস্ক

প্রকাশিত: ১০:১৬, ২ মে ২০১৯  

ঘূর্ণিঝড়  ‘ফণি’ মোকাবিলায় কাজ করছে ভারতের জাতীয় দুর্যোগ প্রতিক্রিয়া বাহিনীর (এনডিআরএফ) কর্মীরা

ঘূর্ণিঝড়  ‘ফণি’ মোকাবিলায় কাজ করছে ভারতের জাতীয় দুর্যোগ প্রতিক্রিয়া বাহিনীর (এনডিআরএফ) কর্মীরা

প্রলয়ংকরী রূপ ধারণ করে প্রচণ্ড বেগে ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় ফণি। 

তীব্র এই ঘূর্ণিঝড়ের আঘাতের আগেই সতর্ক অবস্থানে রয়েছে উড়িষ্যা, পশ্চিমবঙ্গ, অন্ধ্রপ্রদেশ ও তামিলনাড়ুসহ ভারতের বেশ কিছু রাজ্য। জানা গেছে, এরইমধ্যে এসব রাজ্যের উপকূলীয় এলাকার প্রায় আট লাখ মানুষকে নিরাপদ স্থানে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। 

দেশটির সরকারি কর্মকর্তারা জানান, উড়িষ্যায় আগামী তিনদিনের জন্য সব স্কুল ও কলেজ বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। দুর্যোগ মোকাবিলায় প্রশাসন, নৌবাহিনী, কোস্ট গার্ড এবং জাতীয় দুর্যোগ প্রতিক্রিয়া বাহিনীর (এনডিআরএফ) কর্মীদের, উড়িষ্যা দুর্যোগ র‍্যাপিড অ্যাকশন ফোর্স (ওডিআরএএফ) এবং ফায়ার সার্ভিসের কর্মীদেরও সহায়তা করার জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে।

এনডিআরএফ ত্রাণ ও উদ্ধার কাজ জন্য উড়িষ্যায় ২৮টি, অন্ধ্রপ্রদেশে ১২টি এবং পশ্চিমবঙ্গে ৬টি দল নিযুক্ত করেছে। দেশটির নৌবাহিনীর গাছ কাটার যন্ত্র, টেলিকম সরঞ্জামসহ ৩০টি অতিরিক্ত দল প্রস্তুত রয়েছে।  

আবহাওয়া বুলেটিনে জানা গেছে, বর্তমানে পুড়ির ৫০০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে বঙ্গোপসাগরের উপকূলে অবস্থান করছে ফণি এবং ৬ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা গতিতে উপকূলের দিকে অগ্রসর হচ্ছে।

হ্যারিক্যানের গতি সম্পন্ন এই ঘূর্ণিঝড় বাংলাদেশের উপকূল থেকে ৯৬০ কিলোমিটার দূরে বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে। এটি ভারতের ওড়িষ্যা উপকূলের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। এ অবস্থায় বাংলাদেশের চারটি নদীবন্দরে ৪ নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত বহাল রেখেছে আবহাওয়া অধিদফতর।

শুক্রবার (৩ মে) বিকেল নাগাদ ওড়িশা উপকূল অতিক্রম করে কিছুটা দুর্বল অবস্থায় শনিবার (৪ মে) নাগাদ ফণি বাংলাদেশে আঘাত হানতে পারে বলে বাংলাদেশ ও ভারতের আবহাওয়াবিদরা জানিয়েছেন।

বৃহস্পতিবার (২ মে) সকালে আবহাওয়ার বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে (ক্রমিক নম্বর-২৭) জানানো হয়েছে যে, পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও কাছাকাছি এলাকায় অবস্থানরত ঘূর্ণিঝড়টি সামান্য উত্তর ও উত্তর-পূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে একই এলাকায় অবস্থান করছে। এটি বৃহস্পতিবার সকাল ৬টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে এক হাজার ১১০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে এক হাজার ৭০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৯৬০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৯৭৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছিল। এটি আরো ঘণীভূত হয়ে উত্তর বা উত্তর-পূর্ব দিকে অগ্রসর হতে পারে।

ভারতের আবহাওয়া অধিদফতর বৃহস্পতিবার জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড়টি আগামী ৩ মে বিকেল নাগাদ ভারতের ওড়িষ্যার গোপালপুর ও চাঁদবালি উপকূল এবং পুরির দক্ষিণাঞ্চল অতিক্রম করতে পারে। তখন ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৭৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ১৭০ থেকে ১৮০ কিলোমিটার, যা দমকা বা ঝোড়ো হাওয়ার আকারে ২০০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পেতে পারে।

দেশের তাপমাত্রা আজও কিছুটা কমবে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদফতর। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে শুক্রবার থেকে বৃষ্টি হতে পারে। এতে জনজীবনে স্বস্তি ফিরবে।

নিউজওয়ান২৪.কম/আ.রাফি

বিশ্ব সংবাদ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত