ঢাকা, ১২ মে, ২০২৫
সর্বশেষ:

পুরস্কারের অর্থ নির্যাতিতাদের জন্য খরচের সিদ্ধান্ত সেই যৌনদাসী`র

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৬:৩৯, ১৩ অক্টোবর ২০১৮  

ফাইল ছবি

ফাইল ছবি


ইরাকের মেয়ে নাদিয়া মুরাদ। কুর্দ জনগোষ্ঠীর ইয়াজিদি ধর্মের মেয়ে। ২০১৪ সালে ইরাক যখন প্রায় ইসলামিক স্টেটের দখলে,  তখন জঙ্গিরা ইয়াজিদি নারীদের জোর করে ধরে নিয়ে যাচ্ছে। এক দিন থাবা বসল সদ্য ১৯ বছরের নাদিয়ার উপরেও। সেই সময়ে পাঁচ হাজার নারীকে অপহরণ করে আইএস। তাদের মধ্যেই ছিলেন নাদিয়া।

নানা অকথ্য অত্যাচারের শিকার হয়েছেন নাদিয়া মুরাদ। সেই কাহিনি তিনি শুনিয়েছিলেন জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে। শুনিয়েছিলেন তার যন্ত্রণার কথা। শুনিয়েছিলেন, সেই যন্ত্রণাময় জীবন থেকে আলোয় ফিরে আসার লড়াইয়ের কথা। সেই অত্যাচারের দিনগুলি এখনও ভোলেননি নাদিয়া। তাই এখন তিনি কাজ করছেন এমন অত্যাচারিত নারীদের নিয়ে।
 
সেই কাজেরই পুরস্কার মিলেছে জাতিসংঘের পক্ষ থেকে ২০১৬ সালের সেপ্টেম্বরে। এরপর পেলেন বিশ্বের অন্যতম বড় সম্মান। নোবেল শান্তি পুরস্কারে ভূষিত হলেন তিনি। ধর্ষণকে যুদ্ধাস্ত্র হিসেবে ব্যবহারের বিরুদ্ধে প্রচেষ্টার বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্যই এই পুরস্কার দেয়া হয়েছে নাদিয়াকে।

পুরস্কারের অর্থ নির্যাতিতাদের জন্য খরচের সিদ্ধান্ত নিয়ে দৃষ্টান্ত তৈরি করলেন নাদিয়া মুরাদ। সেই পুরস্কারের সব অর্থই যৌন অত্যাচারের শিকার হওয়া নারীদের কল্যাণে খরচ করতে চান তিনি। পুরস্কারের পাঁচ লক্ষ ডলারই তিনি তার সংস্থা ‘নাদিয়া’জ ইনিসিয়েটিভ’-এর মাধ্যমে খরচ করবেন বলে জানা গেছে।

নিউজয়ান২৪/এমএম

আরও পড়ুন
বিশ্ব সংবাদ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত