ঢাকা, ২৪ মে, ২০২৫
সর্বশেষ:

পাকিস্তানের কোয়েটায় পুলিশ কলেজে হামলা, নিহত ৬০ আহত ১১৬

বিশ্ব সংবাদ ডেস্ক

প্রকাশিত: ১২:৫৯, ২৫ অক্টোবর ২০১৬   আপডেট: ২১:৩৪, ২৯ অক্টোবর ২০১৬

আহতদের উদ্ধারে সেনা-পুলিশি তৎপরতা

আহতদের উদ্ধারে সেনা-পুলিশি তৎপরতা

আফগান সীমান্ত ঘেঁসা পাকিস্তানের দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর কোয়েটার একটি পুলিশ ট্রেনিং কলেজে হামলায় ৬০ জন নিহত হয়েছে। এদের অধিকাংশই ছিল নয়া নিয়োগ পাওয়া পুলিশ কর্মকর্তা ও নিরাপত্তা কর্মী। এসময় তিন হামলাকারীও নিহত হয়। তবে তাদের দুজনের মৃত্যু হয় আত্মঘাতী বোমায় এবং অপরজনকে পাকিস্তান ফ্রন্টিয়ার ক্রপসের (এফসি) সদস্যরা গুলি করে মারে।

সোমবার রাত ১১টা ১০ মিনিটের দিকে সদা অশান্ত বেলুচিস্তান প্রদেশের রাজধানী কোয়েটা থেকে ২০ কিলোমিটার দূরে বেলুচিস্তান পুলিশ কলেজে এই হামলা চালানো হয়।

পাকিস্তানি ও ভারতীয় মিডিয়াসূত্রগুলো এ ঘটনায় ৬০ জন নিহত ছাড়াও ১১৬ জন আহতের খবর দিয়েছে। এছাড়া দেশটির সেনাবাহিনী ও ফ্রন্টিয়ার কন্সটেবুলারি ট্রুপসের তৎপরতায় প্রায় আড়াই শ ব্যক্তি হামলায় হতাহত হওয়া থেকে রক্ষা পায়।

বেলুচিস্তান ফ্রন্টিয়ার কোরের আইজি মেজর জেনারেল শের আফগানের মতে- হামলকারী সন্ত্রাসীরা আফগানিস্তানে তাদের পৃষ্ঠপোষকদের ছত্রছায়ায় ছিল। তারা সবাই লশকর-এ-জংভি গ্রুপের সদস্য। এই গোষ্ঠীটি পাকিস্তানি তালেবানদের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত। তবে তাৎক্ষণিকভাবে হামলার দায় স্বীকার করেনি পাকিস্তানি তালেবান।

হামলাকারীদের বেতার যোগাযোগে আড়ি পেতে পাওয়া তথ্যে জানা গেছে, হামলাকারীরা লস্কর ই জাংভি গোষ্ঠীর উপদল আল আলিমির সদস্যে। লস্কর-এ-জংভি, পাকিস্তানি তালেবান নামে পরিচিত তেহরিক-ই-তালেবান পাকিস্তানের (টিটিপি) সঙ্গে সম্পর্কিত।

কোয়েটার সবচেয়ে স্পর্শকাতর এলাকা সরওয়াব রোডে অবস্থিত এই পুলিশ প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে এর আগে ২০০৬ ও ২০০৮ সালেও হামলা হয়েছিল।

বেলুচিস্তান প্রাদেশিক সরকারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মীর সরফরাজ বুগতি জানান, গ্রেনেড-মেশিনগানসহ অত্যাধুনিক অস্ত্রে সজ্জিত তিনজন সুইসাইড ভেস্টধারী সন্ত্রাসী ওই প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের একটি ডরমিটরিতে হামলা চালায়।

প্রথমেই তারা ওয়াচ টাওয়ারের সেন্ট্রিকে গুলি করে হত্যা করে। এরপর প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে প্রবেশ করে।

ডন জানিয়েছে, হামলার সময় সদ্যক পুলিশে যোগ দেয়া প্রায় ৭০০ জন ক্যাডেট পুলিশ একাডেমিটিতে ছিল। ঘুমন্ত এসব তরুণ ঘটনার আকস্মিকতায় দিগবিদিগ পালাতে চেষ্টা করে। এসময় দুই হামলাকারী আত্মঘাতী বিস্ফোরণ  ঘটালে অধিকাংশ মৃত্যুর ঘটনা ঘটে।

প্রত্যাক্ষদর্শী এক ক্যাডেট বলেন, মুখঢাকা ছদ্মবেশধারী তিন ব্যিক্তিকে দেখতে পাই আমি। কালাশনিকভ রাইফেল দিয়ে তারা গুলি করতে করতে ডরমিটোরিতে ঢুকে পড়ে।

এসময় ওই ক্যাডেট একটি দেওয়ালের পাশে ঝাঁপিয়ে পড়ে আত্মরক্ষা করেন বলে জানান।

পাকিস্তানের অনুন্নত, পিছিয়ে পড়া এবং একই সঙ্গে দমন-নিপীড়ন চালানো প্রদেশ বেলুচিস্তানে বর্তমানে চায়না-পাকিস্তান ইকোনোমিক করিডার (সিপিইসি) প্রকল্পের আওতায় উন্নয়ন কাজ চলছে। তবে পাকিস্তান প্রায়ই অভিযোগ করে থাকে যে প্রদেশটির অবকাঠামোগত উন্নয়নকে বাধাগ্রস্ত করতে ভারত এ অঞ্চলে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে মদদ দিয়ে যাচ্ছে। দ্য ডন, এনবিটি

নিউজওয়ান২৪.কম/আরকে

আরও পড়ুন
বিশ্ব সংবাদ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত