ঢাকা, ২৯ অক্টোবর, ২০২৫
সর্বশেষ:
টানা পাঁচদিন বৃষ্টির আভাস মুসলিম বিশ্বকে ‘ন্যাটো-ধাঁচের’ নিরাপত্তা কাঠামো গঠনের প্রস্তাব তিস্তা প্রকল্প বাস্তবায়নে কারিগরি বিশেষজ্ঞ দল পাঠাচ্ছে চীন

পরিচালক যাচ্ছেন আমেরিকায়, শাকিবের কী হবে?

যাহিন ইবনাত

প্রকাশিত: ০৮:৫১, ১৫ ডিসেম্বর ২০১৮  

ফাইল ছবি

ফাইল ছবি

ঢালিউডের জনপ্রিয় নির্মাতা কাজী হায়াৎ। শারীরিক অসুস্থতার কারণে তিনি খুব শিগগির আমেরিকায় যাচ্ছেন। এই কারণে সম্প্রতি দেশ ছাড়ছেন কাজী হায়াৎ। সেখানে চলবে তার দীর্ঘ চিকিৎসা। 

এর আগে, দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে হৃদরোগ ও শরীরের বিভিন্ন অসুখে ভুগছেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত পরিচালক কাজী হায়াৎ। 

চলতি বছরের শুরুতে নিউইয়কের্র মাউন্ট সিনাই হাসপাতালে চিকিৎসা নেন এই পরিচালক। তখন কিছুটা ভালো বোধ করলেও সম্প্রতি আবার অসুস্থ হয়ে পড়েছেন কাজী হায়াৎ।

বর্তমানে ঠিকমতো হাটাচলা করতে পারছেন না তিনি। অল্পতেই বিশ্রাম নিতে হয় তাকে। তাই বাধ্য হয়েই তাকে আবার চিকিৎসার জন্য দেশের বাইরে যাচ্ছেন তিনি। তাছাড়া চিকিৎসার জন্য সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রীর কাজ থেকেও টাকা পেয়েছেন এই গুণী নির্মাতা।

এদিকে, কাজী হায়াতের আমেরিকা গমনে বেশ অনিশ্চয়তার মুখে শাকিব খানের আলোচিত ছবি ‘বীর’। কথা ছিল, নির্বাচনের পরপরই ছবিটি শুরু হবে।

কাজী হায়াৎ-এর ভাষ্য, আমার শরীরের অবস্থা খুব একটা ভালো নয়। বেশ কয়েক দিন ধরে শরীরে ব্ল্যাড সার্কুলেশনে সমস্যা হচ্ছে। ঘাড়ের দিক ফুলে যাচ্ছে। ডাক্তার বলেছেন, মাথায়ও সার্কুলেশন কম গেছে। আবারো তড়িৎগতিতে বাইপাস সার্জারি করাতে হবে। এখন আমার আরো সহযোগিতা প্রয়োজন। কারণ এত টাকা খরচ করে চিকিৎসা করানোর মতো অবস্থা আমার নেই। 

আমি আরো অনেকদিন বাঁচতে চাই, বাঁচার জন্য সকলের সহযোগিতা চাই। জাপান, আমেরিকা বা সিঙ্গাপুরে এই চিকিৎসাটা ভালো হয়। আমি আমেরিকায় চিকিৎসা করাতে চাই। সেখানে আমার ছেলে থাকে। আবার চিকিৎসা খরচও তুলনামূলকভাবে কম।

এদিকে আগামী মাসে শুরু হওয়ার কথা ছিল শাকিব খানকে নিয়ে নতুন ছবি ‘বীর’ এর শুটিং। সেটার কী হবে? উত্তরে পরিচালক কাজী হায়াৎ বলেন, এখনো বলতে পারছি না। কবে থেকে ছবির শুটিং শুরু করবো আর কীভাবে করবো। চলতি মাসের শেষ সপ্তাহে আমেরিকায় যাবো। ১০ জানুয়ারি ফিরে আসবো ইনশা আল্লাহ। 

উল্লেখ্য, ২০০৪ সালে হৃৎপিন্ডে দুটি রিং বসানো হয়েছিল কাজী হায়াতের। এরপর ২০০৫ সালে তার ওপেন হার্ট সার্জারি করা হয়। এরপর গত বছরের জানুয়ারিতে আবারো হৃৎপিন্ডে সমস্যা দেখা দিলে বরেণ্য এই নিমার্তা প্রধানমন্ত্রীর কাছে সাহায্যের জন্য আবেদন করেন। তারপর চলতি বছর প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে ১০ লাখ টাকা অনুদান পান কাজী হায়াৎ।

নিউজওয়ান২৪/জেডআই