ঢাকা, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪
সর্বশেষ:

নন্দীগ্রামে মমতাই জিতলেন

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৭:৩১, ২ মে ২০২১  

সংগৃহীত ছবি

সংগৃহীত ছবি

নন্দীগ্রামে চূড়ান্ত রাউন্ডের গণনা শেষে শেষ হাসি হেসেছেন তৃণমূল কংগ্রেসের প্রধান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ১৬ রাউন্ড ভোট গণনার শেষে মাত্র ৬ ভোটে শুভেন্দু অধিকারীর চেয়ে পিছিয়ে পড়েন তিনি। চূড়ান্ত রাউন্ড গণনার শেষে পশ্চিমবঙ্গের হট সিট হিসেবে খ্যাত এই আসন জিতে নেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী। বার্তা সংস্থা এএনআই জানিয়েছে, এক হাজার ২০১ ভোটে নন্দীগ্রামে জিতেছেন মমতা।

কলকাতাভিত্তিক আনন্দবাজার পত্রিকা ও এবিপি আনন্দের হিসাবে, ক্ষমতাসীন তৃণমূল বর্তমানে ২০৭ আসনে এগিয়ে রয়েছে। আর মোদি-অমিত শাহের ব্যাপক প্রচারণার পরও বিজেপি এগিয়ে আছে মাত্র ৭১ আসনে। বিজেপিকে সকালে খানিক স্বস্তি দেয় নন্দীগ্রামে তৃণমূল প্রধান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পিছিয়ে থাকার খবর। পরে অবশ্য একসময়ের ঘনিষ্ঠ সহযোগী থেকে ‘বিশ্বাসঘাতকে’ পরিণত হওয়া শুভেন্দু অধিকারীর চেয়ে প্রায় সাড়ে তিন হাজার ভোটে এগিয়ে যান তিনি।

১৬ রাউন্ড গণনা শেষে দেখা যায় মাত্র ছয় ভোটে এগিয়ে গেছেন শুভেন্দু অধিকারী। তবে শেষ রাউন্ডের গণনার শুরুতে ফের মমতা এগিয়ে গেলেই স্বস্তি ফিরতে শুরু করে তৃণমূল শিবিরে।

সকালে নন্দীগ্রামের ব্লক-১-এর ভোট গণনায় এগিয়ে যান শুভেন্দু অধিকারী। সেখানে সব ধর্মের মানুষদেরই বাস। তৃণমূল সূত্রগুলোর দাবি, ব্লক-২-এর ভোট গণনা শুরু হতেই চিত্র পাল্টাতে থাকে। দ্রুত আগাতে থাকেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

২০১১ সালে শুভেন্দু ছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডান হাত। কৃষকদের ভূমি অধিকারের পক্ষে আন্দোলন করে পরের কয়েক বছর তিনি এই আসন থেকে বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে নির্বাচিত হন। কিন্তু এবারে তিনি যোগ দিয়েছেন বিজেপিতে।

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ৫০ হাজারের বেশি ভোটে হারাতে না পারলে রাজনীতি ছেড়ে দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ‘সাবেক মুখ্যমন্ত্রী’ লেখার জন্য প্রস্তুত থাকতে বলেন তিনি।

শুভেন্দুকে ‘বিশ্বাসঘাতক’ আখ্যা দিয়ে তার শক্ত ঘাঁটিতেই প্রতিদ্বন্দ্বিতার সিদ্ধান্ত নেন মমতা। কলকাতার ভবানীপুরের নিজ আসন ছেড়ে দেন তিনি। মমতা বলেন, নন্দীগ্রাম আন্দোলনের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতেই তিনি সেখান থেকে নির্বাচনের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। আর প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, আর কখনোই এই আসন ছাড়বেন না তিনি।

বিশ্ব সংবাদ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত