ঢাকা, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪
সর্বশেষ:

‘দক্ষিণ-ভারতের চেয়ে পাকিস্তান শ্রেষ্ঠ’, নয়া জটিলতায় সিধু

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

প্রকাশিত: ২০:২৬, ১৩ অক্টোবর ২০১৮  

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

মাস দুয়েক আগে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত হয়ে গিয়েছিলেন ভারতীয় সাবেক ক্রিকেটার নবজ্যোত সিং সিধু। 

বর্তমানে ভারতীয় পাঞ্জাব সরকারের মন্ত্রী সিধু ওই অনুষ্ঠানে পাকিস্তানি সেনাপ্রধান জেনারেল কামার জাভেদ বাজওয়ার সঙ্গে কোলাকুলি করে নিজের দেশে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েন। 

কট্টর পাকিস্তানবিরোধী সমালোচকরা তাকে পাকিস্তান-প্রেমি বলে অভিহিত করেন। 

সেই বিতর্ক ঠাণ্ডা হতে না হতেই দুই মাসের মাথায় সিধুর ‘পাকিস্তান প্রেমের নয়া এপিসোড’ প্রকাশ পেয়েছে। অবশ্য এটা কোনো ফিল্ম বা সিরিয়াল নয়- সিধুর একটি মন্তব্যই এই আবহের সৃষ্টি করেছে। 

তিনি নিজ দেশ ভারতের একটি অঞ্চলকে পাকিস্তানের তুলনায় নিকৃষ্ট বলেছেন। দক্ষিণ ভারতকে নিয়ে তার বিতর্কিত মন্তব্যটি হচ্ছে- দক্ষিণ ভারতে যাওয়ার চেয়ে পাকিস্তান যাওয়া উত্তম। 

সম্প্রতি তিনি পরলোকগত বিখ্যাত সাংবাদিক-সাহিত্যিক খুশবন্ত সিংয়ের স্মরণে আয়োজিত খুশবন্ত লিটফেস্ট-এ আমন্ত্রিত হন। উত্তর ভারতের হিমাচল রাজ্যের পার্বত্য শহর কাসৌলিতে আয়োজিত ওই সাহিত্য উৎসবে পাঞ্জাবী সিধু শের-শায়েরি দিয়ে তার বক্তব্য শুরু করেন। 

একপর্যায়ে তিনি বলেন, পাকিস্তানে না ভাষা বদলায় না মানুষ। অথচ আমাদের দক্ষিণ ভারতে গেলে ভাষা থেকে নিয়ে খানাপিনাসহ সবকিছু বদলে যায়। সেখানে থাকতে হলে আপনাকে তেলেগু না হয় ইংরেজি শিখতে হবে। কিন্তু পাকিস্তানে এর প্রয়োজন নেই।

সিধু আরো বলেন, দক্ষিণ ভারতে যাওয়ার চেয়ে পাকিস্তান যাওয়া উত্তম। যদি আমি তামিলনারু যাই- সেখানকার ভাষা বুঝবো না। আমি তাদের খাবার পছন্দ করি না এটা বলবো না, তবে দীর্ঘদিন তা খাওয়া আমার পক্ষে অসম্ভব। তাদের কালচার পুরোই আলাদা। কিন্তু আমি যদি পাকিস্তানে যাই সেখানে কোনো সমস্যা নাই। সেখানে একই ভাষা আর সবকিছুই চমৎকার!  

তার এমন বক্তব্যে এখন ভারতীয়দের তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েছেন তিনি।

এদিকে, সিধু পাকিস্তানি সেনাপ্রধানের সঙ্গে বুক মেলানোর ‘রহস্য’ উন্মোচন করেছেন। তিনি বলেন, এটা হঠাৎই ঘটে গেছে… পাকিস্তানি সেনাপ্রধান কথাবার্তার ফাঁকে পাকিস্তানে অবস্থিত শিখ তীর্থস্থল করতারপুর সীমান্তের করিডোর খুলে দেওয়ার প্রস্তাব দেন। একথায় আনন্দের আতিশয্যে আমি তাকে বুকে জড়িয়ে ধরি। 

সিধু বলেন, এই করিডোর খুলে দেওয়ার বিষয়টি শিখদের জন্য একটি স্বপ্ন। যদি করাচি আর মুম্বাইয়ের মাঝে ব্যবসায়িক সম্পর্ক হতে পারে তবে অমৃতসর আর লাহোরের মধ্যকার দূরত্বও দূর করা যেতে পারে। 

তবে পাকিস্তানি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মোহাম্মদ ফয়সাল দু’দেশের মাঝে এ ধরনের কোনো বাতচিত হওয়ার কথা নাকচ করে দিয়েছেন। এর ফলে সত্যিকারেই বেকায়দায় পড়ে গেছেন কংগ্রেস নেতা ও পাঞ্জাবের পর্যটন ও সংস্কৃতি মন্ত্রী সিধু।

তার পক্ষের লোকজন বলছেন, তিনি আসলে পাকিস্তানি পাঞ্জাবের সঙ্গে ভারতীয় পাঞ্জাবের সংস্কৃতিগত মেলবন্ধন তুলে ধরতে চেয়েছেন ওই কথঞার মাধ্যমে। কিন্তু বিরোধীরা কী আর মানবে এ কথা?

ফার্সটপোস্ট,রিপাবলিকওয়াল্র্ড, জনসত্তা 

নিউজওয়ান২৪

বিশ্ব সংবাদ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত