ঢাকা, ২৯ মার্চ, ২০২৪
সর্বশেষ:

জাতিসংঘের আদালতে রোহিঙ্গা গণহত্যা মামলার শুনানি শুরু

নিউজ ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৭:১৬, ১০ ডিসেম্বর ২০১৯  

ফাইল ফটো

ফাইল ফটো

রোহিঙ্গা গণহত্যা ও নিপীড়নের ঘটনায় জাতিসংঘের সর্বোচ্চ আদালত ‘ইন্টারন্যাশনাল কোর্ট অব জাস্টিস (আইসিজে)‘ – মিয়ানমারের বিরুদ্ধে পশ্চিম আফ্রিকার দেশ গাম্বিয়ার করা মামলার শুনানি শুরু হয়েছে।

মঙ্গলবার নেদারল্যান্ডসে’র হেগে শহরে অবস্থিত এ আদালতে শুরু হওয়া শুনানির ধারা বিবরণী সরাসরি প্রচার করছে আন্তর্জাতিক বিচারিক আদালত।

চলতি বছরের নভেম্বরে মুসলিম রাষ্ট্রগুলোর সংস্থা ওআইসি’র প্রতিনিধি হিসেবে এ মামলা করে গাম্বিয়া। মামলা পরিচালনা করছেন দেশটির বিচারমন্ত্রী ও অ্যাটর্নি জেনারেল আবুবকর মারি তামবেদ্যু। অন্যদিকে মিয়ানমারের পক্ষ থেকে মামলায় লড়ছেন দেশটির স্টেট কাউন্সিলর অং সান সুচি।

শুনানির শুরুতে প্রধান বিচারক সোমালিয়ার নাগরিক আব্দুলকায়ি আহমেদ ইউসুফ অভিযোগ পড়ে শোনান। এরপরে গাম্বিয়া ও মিয়ানমারের পক্ষে দুইজন অ্যাডহক বিচারক নিয়োগ দেন প্রধান বিচারপতি। তিনি তাদেরকে মনে করিয়ে দেন, তারা যেন নিরপেক্ষভাবে তাদের দায়িত্ব পালন করেন।

গত বছর বাংলাদেশে অর্গানাইজেশন অব ইসলামিক কো-অপারেশনের (ওআইসি) মন্ত্রী পর্যায়ের সম্মেলন হয়। এই সম্মেলনে গাম্বিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রীর আসার কথা ছিল। কিন্তু শেষ মুহূর্তে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর স্থলে দেশটির অ্যাটর্নি জেনারেল ও বিচারমন্ত্রী আবুবকর মারি তামবেদ্যুকে পাঠানো হয়। ঢাকায় পৌঁছানোর পরে তামবেদ্যু অন্য দেশের মন্ত্রীদের সঙ্গে কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্প সফর করেন।

২০১৮ সালের ৫ ও ৬ মে অনুষ্ঠিত ওই মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকে মুসলিম দেশগুলো সিদ্ধান্ত নেয় রোহিঙ্গাদের মানবাধিকার লঙ্ঘনের দায়বদ্ধতা নিশ্চিত করার জন্য গাম্বিয়ার নেতৃত্বে একটি অ্যাডহক কমিটি করা হবে এবং এ সংক্রান্ত যাবতীয় কাজ গাম্বিয়া সম্পন্ন করবে।

বাংলাদেশসহ অন্য আরো কয়েকটি দেশ এই কমিটির সদস্য, সবার সহযোগিতা নিয়ে গাম্বিয়া এ বছরের ১১ নভেম্বর মামলা করে।

গাম্বিয়ার আরেকটি সুবিধা হচ্ছে আন্তর্জাতিক বিচারিক আদালত ও গণহত্যা বিষয়ক বিচার প্রক্রিয়া বিষয়ে অগাধ জ্ঞান আছে দেশটির বিচারমন্ত্রী আবুবকর মারি’র। ৪৭ বছর বয়সী ব্যারিস্টার আবুবকর রুয়ান্ডা গণহত্যা সংক্রান্ত মামলার কৌঁসুলি হিসেবে কাজ করেছেন।

এছাড়া জাতিসংঘের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা হিসেবে কাজ করার সুবাদে আন্তর্জাতিক বিচারিক আদালত যা জাতিসংঘের কোর্ট হিসাবে পরিচিত সে বিষয়েও ভালো ধারণা আছে তার। মামলা পরিচালনার কাজে আবুবকরকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রখ্যাত আইনি প্রতিষ্ঠান ফলি হগ সহায়তা করছে। এই ফলি হগ সমুদ্র সীমানা বিরোধ নিষ্পত্তির মামলায় বাংলাদেশের পক্ষে আইনি প্রতিষ্ঠান ছিল।

বিশ্ব সংবাদ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত