ঢাকা, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪
সর্বশেষ:

ঘুড়ি উৎসব...

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১৪:১৯, ২ জানুয়ারি ২০১৯  

ফাইল ছবি

ফাইল ছবি

ঘুড়ি উড়ানো পুরো পৃথিবীজুড়ে একটি মজার খেলা হলেও বহু দেশে ঘুড়ি উড়ানোর উৎসব ও প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়।

দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান, আফগানিস্তান প্রভৃতি দেশে ঘুড়ি উড়ানো একটি বিনোদনমূলক খেলা। বাংলাদেশে, বিশেষ করে পুরনো ঢাকায় পৌষ মাসের শেষ দিন অর্থাৎ পৌষ সংক্রান্তিতে ঘুড়ি উড়ানোর উৎসব (সাকরাইন উৎসব) পালন করা হয়।

বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান, আফগানিস্তান- ভারতবর্ষীয় এসব এলাকায় ঘুড়ি উড়ানোর বিশেষ উৎসব অনুষ্ঠিত হয়।

প্রতিবছর ভারতের পশ্চিমাঞ্চলের আহমেদাবাদ শহরে জাকজমক ভাবে আয়োজন করা হয় আন্তর্জাতিক ঘুড়ি উৎসব। এই অনুষ্ঠান চলে সাতদিন ব্যাপী। গত বছর ৩১টি দেশ থেকে আসা নানা বয়সী মানুষ বিভিন্ন নকশার ১শ’ ৮০ টি ঘুড়ি নিয়ে হাজির হন আন্তর্জাতিক এ ঘুড়ি উৎসবে। 

বড়, ছোট বিভিন্ন আকারের ঘুড়ির দেখা মিলে আহমেদাবাদ শহরের আকাশে। অনুষ্ঠানটিকে ঘিরে দর্শকের মাঝে থাকে ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনা। প্রত্যেক বছর আয়োজিত এই ঘুড়ি উৎসবে তাই ঢল নামে অনেক দর্শনার্থীর। হিন্দুদের বিশেষ অনুষ্ঠান মকর সংক্রান্তি উপলক্ষে এ ঘুড়ি উৎসব পালন করা হয়।

সকাল ১০ টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত প্রতিদিন এই উৎসব চলে থাকে। চলতি বছরের ৬ জানুয়ারি থেকে শুরু হয়ে ঘুড়ি উৎসব চলবে ১৪ জানুয়ারি পর্যন্ত।

আজ থেকে প্রায় ২ হাজার ৮০০ বছর আগে চীনে ঘুড়ি উড়ানো শুরু হয়। পরবর্তীকালে এটি এশিয়ার অন্যান্য দেশ- বাংলাদেশ, ভারত, জাপান এবং কোরিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে। 

এছাড়াও ইউরোপে ঘুড়ি উড়ানো খেলাটির প্রচলন ঘটে প্রায় ১৬শ’ বছর আগে। কাগজ দিয়েই সাধারণত ঘুড়ি বানানো হয়। এর ফ্রেম তৈরিতে ব্যবহার হয় বাঁশের কাঠি বা শক্ত অথচ নমনীয় কাঠ। এছাড়াও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হিসেবে সুতা কিংবা পাতলা দড়ির ব্যবহার তো আছেই। আধুনিককালের ঘুড়িগুলোয় সিনথেটিক জাতীয় পদার্থের প্রচলনও রয়েছে। 

বর্তমানে বিভিন্ন ধরনের ঘুড়ি বিশ্বের বিভিন্ন দেশে প্রচলিত। কোনোটি আকারে খুব বড় ও দেখতে খুব সুন্দর। আবার কোনোটি আকারে খুবই ছোট, কিন্তু দ্রুত উড়তে পারে।

নিউজওয়ান২৪/আরএডব্লিউ

বিশ্ব সংবাদ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত