ঢাকা, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪
সর্বশেষ:

গণধর্ষক জামিনে মুক্ত হয়ে ধর্ষণ করলো মাদ্রাসাছাত্রীকে

প্রকাশিত: ১২:১৮, ৬ মে ২০১৯  

গুণধর ধর্ষক সুমন                  -ফাইল ফটো

গুণধর ধর্ষক সুমন -ফাইল ফটো

গণধর্ষণ মামলার আসামি ছিল কুমিল্লার হোমনার সুমন সরকার (২৯)। এলাকার চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী আর সন্ত্রাসী এই সুমনকে পুলিশ গ্রেপ্তারও করেছিল। কিন্তু জামিনে বের হয়ে এবার সে ধর্ষণ করেছে নবম শ্রেণির এক মাদরাসাছাত্রীকে। 

থানা ও স্থানীয় সূত্র জানায়, ভিকটিম ওই ছাত্রী উপজেলা সদরের একটি দাখিল মাদরাসার নবম শ্রেণির ছাত্রী। গত শুক্রবার সকালে জমিতে কাজে থাকা বাবার জন্য খাবার নিয়ে গিয়েছিল সে। সেখান থেকে বাড়ি ফেরার পথে একই উপজেলার দাড়িগাঁও গ্রামের রেজাউল করিম ওরফে রাজা মিয়ার ছেলে সুমন সরকার তাকে ভংগারচর গ্রামের রজ্জব আলী মাস্টারের কাঠ বাগানের কাছে পাকড়াও করে। এসময় মুখ চেপে ধর্ষণ করে সে মেয়েটিকে। 

ঘটনা এথানেই থেমে থাকেনি। ধর্ষণের ঘটনা প্রকাশ না করার জন্য হুমকিও দিয়ে যায় সিরিয়াল ধর্ষক সুমন। মেয়েটি বাড়ি গিয়ে তার মাকে ঘটনা জানায়। ভিকটিমের বাবা বাদী হয়ে গতকাল রবিবার হোমনা থানায় ধর্ষণ মামলা করেছেন।

কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভিকটিমের ডাক্তারি পরীক্ষা হয়েছে। তবে মামলা প্রত্যাহার করতে ধর্ষক ও তার সহযোগীরা মেয়েটির পরিবারকে হুমকি দিচ্ছে বলে জানা গেছে।

স্থানীয়রা জানান, ধর্ষক সুমনের বিরুদ্ধে হোমনা থানায় গত ২০১৭ সালে একটি গণধর্ষণ, ২০১৩, ১৭ ও ১৮ সালে তিনটি মাদক মামলা এবং ২০১৫ সালে তিনটি মারামারির মামলা রয়েছে। সম্প্রতি জামিনে মুক্কত হয়ে এসে গত শুক্রবার নবম শ্রেণির ওই ছাত্রীকে ধর্ষণ করে সে। এলাকাবাসী অবিলম্বে সিরিয়াল ধর্ষক সুমনকে গ্রেফতার দাবি করেন।

ভিকটিমের বড় ভাই বলেন, মামলা করার পর থেকে সুমন ও তার লোকজন আমাদের নানাভাবে ভয়ভীতি দেখাচ্ছে। মেরে ফেলার হুমকি দিচ্ছে।

এ ব্যাপারে স্থানীয় মাথাভাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান নাজিরুল হক ভূঁইয়া জানান, সুমন এলাকার একজন চিহ্নিত সন্ত্রাসী। এই ধরনের ঘটনা কোনোভাবে মানতে পারি না, তাকে অবিলম্বে গ্রেপ্তার ও সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি করছি।

হোমনা থানা পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) কাজী নাজমুল হকও জানান, সুমন এলাকার একজন চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী ও সন্ত্রাসী। তার বিরুদ্ধে এর আগেও গণধর্ষণ, মাদকসহ নানা অভিযোগে থানায় সাতটি মামলা রয়েছে। তাকে গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

নিউজওয়ান২৪.কম/আরকে

আরও পড়ুন
অপরাধ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত