ঢাকা, ১৮ এপ্রিল, ২০২৪
সর্বশেষ:

ক্রেডিট কার্ডের বকেয়া : আড়াই মাস সুদ না নেয়ার নির্দেশ

নিউজ ডেস্ক

প্রকাশিত: ২২:৩৫, ১৫ এপ্রিল ২০২০  

ফাইল ফটো

ফাইল ফটো


করোনা ভাইরাসজনিত সৃষ্ট পরিস্থিতিতে ক্রেডিট কার্ডের গ্রাহকরা সঠিক সময়ে বিল পরিশোধ করতে পারছেন না। এ বিষয়ে তৎপর হয়েছে সরকার।

এর আগে বিল পরিশোধে বিলম্বের ওপর জরিমানা না করতে আদেশ জারি করেছিল বাংলাদেশ ব্যাংক। কিন্তু জরিমানা না করলেও বকেয়া বিলের ওপরে ১৪% থেকে ৩০% পর্যন্ত সুদ আরোপ করছিল ব্যাংকগুলো। তাই এবার সুদ আরোপও নিষিদ্ধ করলো কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

বুধবার (১৫ এপ্রিল) জারি করা এ সংক্রান্ত সার্কুলারে বলা হয়েছে, চলতি বছরের ১৫ মার্চ থেকে ৩১ মে পর্যন্ত ক্রেডিট কার্ডের বিলের ওপর কোনো সুদ আরোপ করা যাবে না।

প্রসঙ্গত  ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করে কেনাকাটার ক্ষেত্রে ৪৫ দিন পর্যন্ত বিনা সুদে বিল পরিশোধ করা য়ায়। কিন্তু ৪৫ দিন পার হয়ে গেলে বিলের ওপর কেনাকাটার প্রথম দিন থেকেই উচ্চহারে সুদারোপ শুরু করে ব্যাংকগুলো। শুধু তাই নয়, এই সুদহার চক্রবৃদ্ধি হারে বাড়তে থাকে। ব্যাংক ভেদে সুদের এই হার সর্বনিম্ন ১৪ শতাংশ থেকে সর্বোচ্চ ৩০ শতাংশ পর্যন্ত হয়ে থাকে।

অনেক সময়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংক জরিমানা মওকুফ করলেও ব্যাংকগুলো সুদ আরোপের সুযোগ পায়। কিন্তু বিল পরিশোধের ইচ্ছা থাকলেও বর্তমানে নির্দিষ্ট সময় ব্যাংক খোলা না থাকা এবং যাতায়াতের ব্যবস্থা সীমিত থাকায় গ্রাহকরা তা পারছেন না। গ্রাহকদের অকহায়ত্বের এই সুযোগ নিয়ে উচ্চহারে সুদ আরোপের সুযোগ পাচ্ছে ব্যাংকগুলো।

এ বিষয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সার্কুলারে বলা হয়, কোনো কোনো ব্যাংক অপরিশোধিত ক্রেডিট কার্ড বিলের ওপর মাসিক ভিত্তিতে চক্রবৃদ্ধি হারে সুদ আরোপ করছে যা সংকটময় পরিস্থিতিতে  কোনোভাবেই কাম্য নয়। তাই ১৫ মার্চ থেকে আগামী ৩১ মে পর্যন্ত ক্রেডিট কার্ডের বিলের ওপর দৈনিক বা মাসিক ভিত্তিতে চক্রবৃদ্ধি হারে সুদ আরোপ না করার জন্য নির্দেশ দেয়া হলো। ১৫ মার্চের পর যদি কোনো ব্যাংক সুদ আরোপ করে থাকে তাহলে তা ফেরত দেয়ার বা সমন্বয় করার নির্দেশ প্রদান করা হলো।

এর আগে কেন্দ্রীয় ব্যাংক গত চার এপ্রিল এক সার্কুলারে সংশ্লিষ্ট ব্যাংকগুলোকে নির্দেশ দেয় ১৫ মার্চ থেকে ৩১ মে পর্যন্ত ক্রেডিট কার্ডের বিল জমা দিতে গ্রাহকদের বিলম্বজনিত জরিমানা, দণ্ড, দণ্ড সুদ, অতিরিক্ত চার্জ বা ফি তা যে নামেই হোক- নেয়া যাবে না।

নিউজওয়ান২৪.কম/এমজেড

অর্থ-কড়ি বিভাগের সর্বাধিক পঠিত