ঢাকা, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪
সর্বশেষ:

করোনা ভাইরাসের দেখা এবার দিল্লিতে

ডেস্ক রিপোর্ট

প্রকাশিত: ১৭:৩৭, ২ মার্চ ২০২০  

ফাইল ফটো

ফাইল ফটো

বৃহৎ দেশ ভারতে নতুন করে আরও দু’জন করোনা ভাইরাস আক্রান্ত রোগী শনাক্ত করা হয়েছে। এদের মধ্যে একজনের সন্ধান মিলছে রাজধানী দিল্লিতে অপরজন দক্ষিণের তেলেঙ্গানা রাজ্যে।

ভারত সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এখন পর্যন্ত দেশটিতে মোট পাঁচজন করোনা আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছে। এদেরমধ্যে তিনজন আগেই শনাক্ত হয়।

নতুন আক্রান্ত দু’জনের শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল রয়েছে বলা হয়, তাদের নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে সোমবার এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, দিল্লিতে আক্রান্ত ওই ব্যক্তি ইতালি থেকে এসেছেন। আর তেলেঙ্গানায় আক্রান্ত ব্যক্তি আরব আমিরাতের (ইউএই) দুবাই থেকে সম্প্রতি ভারতে আসেন।

গত ৩০ জানুয়ারি দক্ষিণাঞ্চলীয় প্রদেশ কেরালায় এক শিক্ষার্থীর শরীরে প্রথমবারের মতো দেশটিতে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। পরে ২ ফেব্রুয়ারি একই প্রদেশে প্রাণঘাতী ওই ভাইরাসে আক্রান্ত দ্বিতীয় রোগী শনাক্ত হয়। দক্ষিণের এ প্রদেশটিতে ৩ ফেব্রুয়ারি আরেকজনের শরীরে কভিড১৯ এর উপস্থিতির প্রমাণ মেলে। এখন আগের এই তিনজনের সঙ্গে নতুন দুই আক্রান্ত মিলিয়ে দেশটিতে কেরানা ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়ালো ৫-এ।

এশিয়ার অপর বৃহৎ দেশ চীনের হুবেই প্রদেশে প্রথম করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। এখন বিশ্বের ৬০টিরও বেশি দেশ ও অঞ্চলে এই ভাইরাসের প্রকোপ ছড়িয়ে পড়েছে। বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাসে এখন পর্যন্ত ৩ হাজার ৩৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। আক্রান্ত হয়েছে ৮৬ হাজার ৫২৯ জন। এছাড়া আক্রান্তদের মধ্যে ৪১ হাজার ৯৫৮ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছে।
 
পরিসংখ্যানে জানা গেছে, শুধুমাত্র চীনের মূল ভূখণ্ডেই করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা এখন ৭৯ হাজার ৮২৪ জন। অপরদিকে, মৃত্যু হয়েছে ২ হাজার ৯১২ জনের। দক্ষিণ কোরিয়ায় এখন পর্যন্ত করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ৪ হাজার ২১২ এবং এ ভাইরােস মৃত্যু হয়েছে ১৭ জনের।

অপরদিকে ইউরোপের দেশগুলোর মধ্যে কভিড২৯ ভাইরাসে সবচেয়ে বেশি আক্রান্তের দেশ এখন ইতালিতে। সেখানে ১ হাজার ১২৮ জন আক্রান্ত হয়েছে এবং তাদের মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ২৯ ব্যক্তির।

এদিকে ভারতের স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষবর্ধন জানিয়েছেন, করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে দেশটির বড় এয়ারপোর্টে সতর্কবস্থা নেওয়া হয়েছে। এছাড়া আরো ১২টি বড় বন্দর ও ৬৫টি ছোটো বন্দরে করোনার সন্ধানে স্ক্যানিং চলছে। গত কয়েকদিনে দেশটির এয়ারপোর্টগুলোতে পাঁচ লাখ ৫৭ হাজার ৪৩১ জনের স্ক্রিনিং করা হয়েছে।
নিউজওয়ান২৪.কম/আরকে

বিশ্ব সংবাদ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত