ঢাকা, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪
সর্বশেষ:

এবার আইসিইউতে কিশোরীকে হাত-পা বেঁধে গণধর্ষণ

প্রকাশিত: ০১:০৯, ৪ নভেম্বর ২০১৮  

এবার আইসিইউতে ভর্তি এক নাবালিকাকে গণধর্ষণ করা হলো ভারতে। উত্তর প্রদেশের বেরেলির বদায়ুন রোডে অবস্থিত এক প্রাইভেট ক্লিনিকে এই পৈশাচিক ঘটনা ঘটেছে। 

পুলিশ এ ঘটনায় ওই ক্লিনিকের পাঁচ কর্মচারীর বিরুদ্ধে মামলা করেছে। যখন ওই বর্বরোচিত ঘটনা ঘটাচ্ছিল হাসপাতালের কর্মী নামক পিশাচরা তখন ভিক্টিমের মুখে অক্সিজেন মাস্ক লাগানো ছিল। 

হাসপাতালের সিসিটিভি ফুটেজ দেখে অপরাধীদের শনাক্ত করা হয়। 

পুলিশ এ ঘটনায় প্রথম দিকে মামলা নিতে চায়নি। পরে স্থানীয় বিধায়ক রাজেশ মিশ্রের হস্তক্ষেপে মামলা নেয় এবং তদন্ত শুরু করে।

তদন্তে জানা যায়, ওই নাবালিকা রোগীর মুখে অক্সিজেন মাস্ক লাগানো ছিল। এমন অবস্থায় হাসপাতালেরই পাঁচ কর্মী তার চোখে পট্টি বেঁধে দেয়। তারা তার হাত-পা শক্ত করে বেঁধে নেয়। এরপর বারবার নারকীয় ধর্ষণ চালায় ওই পাঁচ নরপিশাচ।

ওই ভয়াবহ ঘটনা স্বজনদের জানাতে মেয়েটি তিনদিন ছটফট করে কাটায়। কিন্তু কেউ বুঝতে পারেনি সে কী কষ্ট লুকিয়ে আইসিইউর কক্ষে পড়ে ছিল। তিনদিন পর তার মুখ থেকে অক্সিজেন মাস্ক সরানোর পর সে তার দাদীর কাছে ঘটনা জানায়। 

ভারতীয় হিন্দি সংবাদ মাধ‌্যম এনবিটি জানায়, ভামৌরা এলাকার এক ব‌্যক্তির ১৬ বয়সী কন‌্যাকে বিষাক্ত কীটে কামড় দেয়। এরপর স্থানীয় কয়েকজন ডাক্তার তার চিকিৎসা করলেও পরিস্থিতি খারাপের দিকে মোড় নেয়। এমন অবস্থায় গত সোমবার তাকে ওই ক্লিনিকে ভর্তি করানো হয়। বুধবার পর্যন্ত তাকে ভেন্টিশেনে রাখা হয়। এসময় তার অবস্থার কিছুটা উন্নতি হলে ভেন্টিলেটর খুলে নেওয়া হয়। তবে মুখে অক্সিজেন মাস্ক ছিল। কিন্তু ওই রাতেই ক্লিনিকের পাঁচ কর্মচারী হাত-পা-চোখ বেঁধে তাকে সংঘবদ্ধভাবে ধর্ষণ করে।

অভিযোগে মেয়েটি জানায়, তার মুখে মাস্ক পরানো ছিল অক্সিজেনের। এ সূত্রে তাকে ঘুম পাড়ানোর ইনজেকশন দেওয়া হয়। ওষুধের প্রভাবে সে বেহুঁশ হচ্ছিল। এমন সময়ে তার চোখ ও চার হাত-পা বেঁধে ফেলা হয়। এরপর হাসপাতালের একজন কম্পাউন্ডার ও ৪ জন পরিচ্ছন্ন কর্মী মিলে তাকে পর্যায়ক্রমে ধর্ষণ করে। 

শনিবার সুভাষনগর থানায় মামলা হয়। ভিক্টিমের মেডিকেল পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। তবে পুলিশ ওই পাঁচ অপরাধীর কাউকে এখন পর্যন্ত গ্রেপ্তার করেনি। পুলিশ জানিয়েছে মেডিকেল রিপোর্ট ও অন‌্যান‌্য জরুরি কিছু তদন্তের পর অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করা হবে।  

  

আরও পড়ুন
অপরাধ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত