ঢাকা, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪
সর্বশেষ:

এই অদ্ভুত কম্পিউটারটি বদলাবে পৃথিবী!

নিউজ ডেস্ক

প্রকাশিত: ২০:৩৭, ১০ নভেম্বর ২০১৮  

ফাইল ছবি

ফাইল ছবি

সাধারনত আমরা যেসব কম্পিউটারে কাজ করি সেগুলো বাইনারি সংখ্যা দিয়েই নিয়ন্ত্রিত হয়। বাইনারি পদ্ধতিত মানেই দুটি মাত্র সংখ্যা: ০ ও ১। আর এই দুটি সংখ্যা দিয়েই যাবতীয় কাজ করে বর্তমান সময়ে কম্পিউটার। এই কম্পিউটারগুলো প্রতিবার হয় ০ নতুবা ১ ব্যবহার করতে পারে। কিন্তু কোয়ান্টাম কম্পিউটার একই সময়ে ০ ও ১ দুটিরই প্রতিনিধিত্ব করতে পারে। বিশেষ এই কম্পিউটারের মৌলিক একককে বলা হয় কিউবিটস।

সহজ কথায় কোয়ান্টাম কম্পিউটার হল এমন একটি কম্পিউটার যেটা কোয়ান্টাম মেকানিক্স এর বিভিন্ন ধর্মকে সরাসরি কাজে লাগিয়ে সব কাজ করে। এছাড়াও কোয়ান্টাম লেভেলের কণিকায় তথ্য সংরক্ষণ করে রাখতে পারে, যাদেরকে বলা হয় কোয়ান্টাম ইনফরমেশন। বাইনারি সংখ্যা হিসেবে ০ ও ১ ব্যবহারের অনবদ্য বৈশিষ্ট্যের কারণেই কোয়ান্টাম কম্পিউটার জটিল গাণিতিক সমস্যার দ্রুত সমাধান করতে পারে।

ইকোনমিস্ট এর এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দুর্বোধ্য ও জটিল কোয়ান্টাম মেকানিক্স এর উপর নির্ভরশীল কোয়ান্টাম কম্পিউটার। কোয়ান্টাম মেকানিক্স সুপারপজিশন এবং এনট্যাংগেলমেন্ট পদ্ধতি ব্যবহার করে কাজ করে এই কম্পিউটার। খুব বেশি সংখ্যক গাণিতিক সমস্যার সমাধান এই কম্পিউটার করে না। তবে যে অল্প সংখ্যক জটিল গাণিতিক সমস্যার সমাধান করে, সেগুলো বর্তমানের কম্পিউটারের পক্ষে করা অত্যন্ত কঠিন এবং সময় সাপেক্ষ ব্যাপার। আবার কিছু কিছু ক্ষেত্রে অসম্ভবও।

সংবাদ মাধ্যম ওয়্যারড বলছে, কোয়ান্টাম বিটস বা কিউবিটস নানা পদ্ধতিতে গঠিত হতে পারে। তবে এগুলো সবসময়ই ০ ও ১ এর প্রতিনিধিত্ব করে এবং এই পুরো প্রক্রিয়া ইলেকট্রনিকভাবে নিয়ন্ত্রণ করা যায়। তবে প্রথাগত কম্পিউটার বিটসের চেয়ে বহু গুণ বেশি কাজ করতে পারে কিউবিটস। কোয়ান্টাম কম্পিউটার ক্ল্যাসিক ক্রিপ্টোগ্রাফি ব্যবস্থাকে বিশাল ঝুঁকির মুখে ফেলবে।

কোয়ান্টাম কম্পিউটার দেখতে কেমন?
সাধারণত ডেস্কটপ কম্পিউটারে চৌকোনা বক্সের সিপিইউ থাকে। এছাড়াও থাকে মনিটর, কীবোর্ড ও মাউস। কিন্তু বিজ্ঞানীরা এখন এমন একটি কম্পিউটার তৈরিতে ঘাম ঝরাচ্ছেন, যা দেখতে হবে উল্টো কেকের মত! চার পাঁচ স্তরের কেক উল্টো করে ঝুলিয়ে দিলে যেমনটা হয়, ঠিক তেমন। থাকবে অনেক ধাতব সিলিন্ডার এবং প্যাঁচানো তার। আর সব কিছুর নিচে থাকবে ছোট একটি কালো চিপ। কিম্ভূতকিমাকার এই বস্তুটিকেই বলা হচ্ছে কোয়ান্টাম কম্পিউটার। বিজ্ঞানীদের ধারণা, এই কোয়ান্টাম কম্পিউটার বদলে দেবে পুরো প্রযুক্তি বিশ্ব!

কেন কোয়ান্টাম কম্পিউটার ভয়ংকর?
এই জায়গাতেই যতোসব কিন্তু। বর্তমান কম্পিউটার ব্যবস্থার তুলনায় কোয়ান্টাম কম্পিউটার সম্পূর্ণ নতুন। যে সমস্ত গাণিতিক সমস্যা থেকে মানুষ দূরে থাকতো এবং সুপার কম্পিউটারের করতেও বছরের পর বছর সময় লেগে যেতো, সেই সব সমস্যা এক তুড়িতে সমাধান করতে পারবে এই কোয়ান্টাম কম্পিউটার। নতুন নতুন ঔষুধ আবিষ্কার করতে সহায়তা করবে এটি। নতুন পদার্থ আবিষ্কারে আসবে বৈপ্লবিক গতি। এক কথায় কোয়ান্টাম কম্পিউটার প্রযুক্তি বিশ্বে এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা করবে। পুরো কম্পিউটার ব্যবস্থায় বদলে যাবে।

কোয়ান্টাম কম্পিউটার তৈরি করতে কে কার আগে যাবে, তা নিয়ে ইঁদুর দৌড়ে নেমেছে সবাই। আবার হাতের উল্টো পিঠও আছে, কোয়ান্টাম কম্পিউটারের বিপত্তি অনেক। বর্তমানে ইন্টারনেট এর মাধ্যমে পুরো বিশ্ব মানুষের হাতের মুঠোয় চলে এসেছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যক্তিগত জীবনের ছোট ছোট অনুভূতি প্রকাশ করা থেকে শুরু করে ব্যাংকের যাবতীয় কাজ গুলোও নির্ভরশীল এই অন্তর্জালের উপর। বর্তমানের এই ইন্টারনেট ব্যবস্থা কিছু নির্দিষ্ট এনক্রিপশন অনুসরণ করে।

ক্রিপ্টোগ্রাফি বা সংকেত লিখন পদ্ধতি ব্যবহার করে এইসব এনক্রিপশন তৈরি হয়। এনক্রিপটেড থাকার কারণে ইন্টারনেটে ব্যবহারকারী নিরাপদে থাকে এবং ব্যবহারকারীর তথ্য বেহাত হওয়া প্রতিরোধ করে। কিন্তু সমস্যা হলো, ভবিষ্যতের কোয়ান্টাম কম্পিউটার বর্তমানের ইন্টারনেট এনক্রিপশন এর যমে পরিণত হবে। এই কম্পিউটার এক তুড়িতে বর্তমানের ইন্টারনেট ক্রিপ্টোগ্রাফি হ্যাক করতে পারবে। তাই কোয়ান্টাম কম্পিউটার প্রযুক্তি যদি অসৎ হ্যাকার এর হাতে পড়ে, তবে বিশ্বজুড়ে কোটি কোটি ইন্টারনেট ব্যবহারকারী এর তথ্য ঝুঁকিতে পড়ে যাবে!

এমনকি রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ তথ্যও নিরাপদ থাকবে না। গোপন গোয়েন্দা ও প্রতিরক্ষা তথ্য আর গোপন থাকবে না। কোয়ান্টাম কম্পিউটার তৈরিতে এখন কোমর বেঁধে নেমে পড়েছে যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্রসহ ইউরোপের বিভিন্ন দেশ। আবার ঐদিকে তলোয়ারে শাণ দিচ্ছে চীন। কোয়ান্টাম কম্পিউটার তাদেরও যে চাই। তবে কোয়ান্টাম কম্পিউটার সংক্রান্ত গবেষণায় সবচেয়ে বেশি তাড়াহুড়ো করছে গুগল, আইবিএম, মাইক্রোসফটসহ আরও নানা টেক জায়ান্ট।

কারণ খুবই স্পষ্ট, যে কোম্পানি বা প্রতিষ্ঠান এই প্রতিযোগিতায় জিতবে অর্থাৎ প্রথম কোয়ান্টাম কম্পিউটার তৈরি করতে পারবে, সেই প্রতিষ্ঠান নতুন প্রজন্মের প্রযুক্তি ব্যবসায় আধিপত্য প্রতিষ্ঠা করতে পারবে। এটি অনেকটা লটারির জ্যাকপট জেতার মত! তাই দেদার খরচ হচ্ছে কোয়ান্টাম কম্পিউটার গবেষণায়।

কোয়ান্টাম কম্পিউটার এর সুফল:
টেলিগ্রাফ বলছে, কার্যকরভাবে কোয়ান্টাম কম্পিউটার অসীম সম্ভাবনার দুয়ার খুলে দিতে পারে। নতুন টেকসই নির্মাণ সামগ্রী তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে কোয়ান্টাম কম্পিউটার। ক্যানসার বা এইডসের মত দুরারোগ্য ব্যাধির পথ্য তৈরিতে সহায়তা করবে এটি।

মাইক্রোসফটের কর্মকর্তা ক্রিস্তা সোরে বলেন, এর প্রভাব হবে অভাবনীয়। কোয়ান্টাম কি করতে পারে সেই সম্ভাবনার বিশাল সমুদ্রের কেবল উপরিভাগে আমরা আছি। কোয়ান্টাম কম্পিউটারের সাহায্য নিয়ে বৈশ্বিক উষ্ণতার সমস্যার প্রকৃতি বুঝতে পারবো আমরা। একই সাথে কিভাবে কার্বন ধরে রাখা যাবে এবং আমাদের পৃথিবীকে বাঁচানো যাবে, তাও জানতে পারব।

প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান আইবিএম এর কোয়ান্টাম বিভাগের ভাইস প্রেসিডেন্ট বব সুটর মনে করেন, কোয়ান্টাম কম্পিউটার প্রযুক্তিতে নতুন বিপ্লবের সূচনা করবে। তিনি বলেন, সাধারণ মানুষ এখনো এই বিষয়ের বিস্তৃতি আঁচ করতে পারছে না। কোয়ান্টাম কম্পিউটারের কল্যাণে মানুষ আরো ভাল পণ্য হাতে পাবে, খাবারে আসবে নতুন স্বাদ। তৈরি হবে নতুন নতুন ঔষুধ। জটিল গাণিতিক সমস্যার সমাধানের মাধ্যমে বর্তমানের উড়োজাহাজকে আরো দ্রুতগামী করা যাবে। এইসব উন্নত উড়োজাহাজে আবার জ্বালানিও কম খরচ হবে।

বিজ্ঞানীদের ধারণা, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার বিকাশে যুগান্তকারী ভূমিকা রাখতে পারে এই কোয়ান্টাম কম্পিউটার। এতে করে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাকে আরো নিখুঁত করে তোলা সম্ভব হবে। কোয়ান্টাম কম্পিউটার বদলে দেবে পুরো প্রযুক্তি বিশ্ব!

কোয়ান্টাম কম্পিউটার এর কুফল:
কথায় আছে, সৎ সঙ্গে স্বর্গবাস অসৎ সঙ্গে সর্বনাশ। ঠিক তেমনি ভাল মানুষের হাতে কোয়ান্টাম কম্পিউটার পড়লে এর সম্ভাবনার শেষ নেই। আর ভুল মানুষের হাতে পড়লে এই কোয়ান্টাম কম্পিউটার হয়ে দাঁড়াবে সীমাহীন ভোগান্তির কারণ। একবার ভেবে দেখুন, আপনার মোবাইল ফোনের কন্টাক্ট লিস্ট থেকে শুরু করে এটিএম পাসওয়ার্ডও চলে গেছে অন্যের হাতে!

টেলিগ্রাফ বলছে, কোয়ান্টাম কম্পিউটার বর্তমানের ইন্টারনেট এর ক্রিপ্টোগ্রাফি নিমেষে ব্রেক করতে পারবে। ফলে অপরাধীদের নিয়ন্ত্রণে এই কম্পিউটার থাকলে এতদিন ধরে চলে আসা ইন্টারনেট ব্যবস্থা পুরোপুরি ভেঙে পড়তে পারে। কোটি কোটি লোকের ব্যক্তিগত তথ্য বেহাত হয়ে যাবে। এমনকি হ্যাক করা যাবে সরকারি ডেটাবেইস। ব্যাংকিং ব্যবস্থায় ধস নামবে। ইন্টারনেট ভিত্তিক অর্থ লেনদেন নিয়ন্ত্রণ করে আঙুল ফুলে কলাগাছ হতে পারবে অসৎ হ্যাকাররা। আবার রাষ্ট্রীয় প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাও ধসিয়ে দেওয়া যাবে।

নটিংহাম ট্রেন্ট ইউনিভার্সিটির কোয়ান্টাম কম্পিউটিং বিশেষজ্ঞ কলিন উইলমট বলেন, যে পক্ষ সবার আগে এই কোয়ান্টাম কম্পিউটারের মালিক হবে, সেই পক্ষই এই অসীম ক্ষমতার অধিকারী হবে। এবং এই কোয়ান্টাম কম্পিউটার ক্ল্যাসিক ক্রিপ্টোগ্রাফি ব্যবস্থাকে বিশাল ঝুঁকির মুখে ফেলবে।

ইকোনমিস্ট বলছে, কোয়ান্টাম কম্পিউটারের অপব্যবহার বিশ্ব ব্যাপী দুই ট্রিলিয়ন ডলার মূল্যমানের ইকমার্স শিল্পকে ধ্বংস করে দিতে পারে। কারণ, বর্তমানে প্রচলিত ইন্টারনেট ক্রিপ্টোগ্রাফি ব্যবহার করেই এইসব আর্থিক লেনদেন করা হয়ে থাকে। এই ক্রিপ্টোগ্রাফি রাষ্ট্রীয় তথ্যের গোপনীয়তাকেও সুরক্ষিত রাখে। সুতরাং এই ক্রিপ্টোগ্রাফি ব্যবস্থাকে ভেঙে ফেলতে পারলে ডেবিট ও ক্রেডিট কার্ডের বিস্তারিত তথ্য, ব্যাংকে লেনদেন, যাবতীয় ইমেইল এক কথায় ইন্টারনেট সংশ্লিষ্ট সব তথ্যই অরক্ষিত হয়ে পড়বে। তখন যেকেউ এসব তথ্যে নাক গলাতে পারবে, পারবে চুরিও করতে।

সমস্যা আছে রাষ্ট্রযন্ত্র নিয়েও। নেদারল্যান্ডস এর রাডবাউন্ড ইউনিভার্সিটির ক্রিপ্টোগ্রাফার পিটার সোয়েব বলেন, আজ থেকে ১০ বা ২০ বছর পর কেউ যদি আমার আজকের খুদে বার্তা বা ব্যাংক হিসাব দেখতে পান, তবে আমার মত সাধারণ মানুষের হয়তো কিছু যাবে আসবে না। কিন্তু একবার ভেবে দেখুন, আমি যদি একটি দমন মূলক রাষ্ট্রের নাগরিক হই, তখন কী হবে? এটি কি তখন দমনের অন্যতম হাতিয়ার হয়ে উঠবে না?

কোয়ান্টাম কম্পিউটার তৈরিতে কে যাবে কার আগে?
কোনো কোনো বিশেষজ্ঞ মনে করছে, আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে ইন্টারনেটে ব্যবহারের উপযোগী কোয়ান্টাম কম্পিউটার তৈরি হয়ে যেতে পারে। আবার অনেকে অবশ্য বলছেন, আরো ১২ বা ১৫ বছরের পূর্বে পূর্ণাঙ্গ ও কার্যকর কোয়ান্টাম কম্পিউটার পাওয়ার আশা নেই। তবে যেভাবে বিভিন্ন শক্তিশালী রাষ্ট্র ও প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলো কোমর বেঁধে লেগেছে, তাতে ধারণা করা হচ্ছে, সেদিন আর খুব বেশি দূরে নেই।

যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ার মাউন্টেন ভিউয়ে কড়া পাহারায় কোয়ান্টাম কম্পিউটার নিয়ে গবেষণা চালাচ্ছে প্রযুক্তি জায়ান্ট গুগল। বসে নেই মাইক্রোসফট ও আইবিএম। এই দুটি প্রতিষ্ঠান জোরেশোরে চালাচ্ছে কোয়ান্টাম সংক্রান্ত গবেষণা। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অন্যদের তুলনায় কিছুটা এগিয়েই আছে গুগল। আন্তর্জাতিক প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান গুলোর এই প্রতিযোগিতায় শামিল হয়েছে চীনা আলিবাবা এবং হুয়াওয়ে।

শক্তিশালী রাষ্ট্র গুলোও নাম লিখিয়েছে এই রেসে। টেলিগ্রাফের দাবি, কোয়ান্টাম গবেষণায় যুক্তরাজ্য নাকি সব চেয়ে বেশি অর্থ বিনিয়োগ করেছে! ব্রিটিশ সরকার ২০১৩ সালে জাতীয় কোয়ান্টাম প্রযুক্তি কর্মসূচির গবেষণা কাজে মোট ২৭০ মিলিয়ন পাউন্ড বিনিয়োগের ঘোষণা দেয়। কোয়ান্টাম প্রযুক্তির উন্নতির জন্য ১০ বছর মেয়াদি বিনিয়োগের প্রকল্প আনছে যুক্তরাষ্ট্র। অন্যদিকে ২০২০ সালের মধ্যে জাতীয় পর্যায়ে কোয়ান্টাম ইনফরমেশন সায়েন্স ভিত্তিক পরীক্ষাগার প্রতিষ্ঠা করতে ১০ বিলিয়ন ডলার বরাদ্দ করেছে চীন।

সুতরাং, বুঝায় যাচ্ছে কোয়ান্টাম কম্পিউটার তৈরিতে কে কার আগে যাবে, তা নিয়ে ইঁদুর দৌড়ে নেমেছে সবাই। টেক জায়ান্ট বা শক্তিধর রাষ্ট্র কারও মধ্যেই তফাত নেই। তবে যে পক্ষই এই কোয়ান্টাম জ্যাকপটে প্রথম হাত দিতে পারবে, তারাই বিশ্বের অর্থনৈতিক ও প্রাযুক্তিক নেতৃত্বে আসতে পারবে। তবে প্রযুক্তি প্রেমী তথা সাধারণ মানুষের আশা একটাই, কোয়ান্টাম কম্পিউটার যেন হ্যাকারদের হাতে না পড়ে।

নিউজওয়ান২৪/এএস

মোবাইল-পিসি-টেক বিভাগের সর্বাধিক পঠিত