ঢাকা, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪
সর্বশেষ:

ইভ্যালিকে ক্যাশ অন ডেলিভারির নির্দেশ দিলো বাণিজ্য মন্ত্রণালয়

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ২১:২২, ১০ মার্চ ২০২১  

ইভ্যালি

ইভ্যালি


ইভ্যালিকে ক্যাশ অন ডেলিভারি পদ্ধতি অনুসরণ করার নির্দেশ দিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। পাশাপাশি অগ্রিম মূল্য পরিশোধ করা পণ্য একই শহরের মধ্যে হলে সর্বোচ্চ পাঁচ দিনের মধ্যে এবং ভিন্ন শহর বা গ্রামে হলে ১০ দিনের মধ্যে ডেলিভারি করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

গত (৪ মার্চ) এ সংক্রান্ত একটি চিঠি ইভ্যালির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ রাসেলের কাছে পাঠিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। মন্ত্রণালয়ের সহকারী পরিচালক-১ এস এম নাজিয়া সুলতানা স্বাক্ষরিত চিঠিতে এসব নির্দেশনা বাস্তবায়ন করে তা বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে অবহিত করতে বলা হয়েছে। তাদের ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন ও জাতীয় ডিজিটাল কমার্স নীতিমালা সঠিকভাবে মেনে ব্যবসা পরিচালনা করারও নির্দেশনা রয়েছে চিঠিতে।

পুলিশ সদর দপ্তরেরে একটি তদন্ত প্রতিবেদনে ইভ্যালির বিরুদ্ধে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন, ২০০৯ এবং দণ্ডবিধি ১৮৬০ এর বিভিন্ন ধারা লঙ্ঘন করার তথ্য উঠে আসার পর এ চিঠি পাঠালো বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। বিদ্যমান দু’টি আইনের সংশ্লিষ্ট ধারাগুলো লঙ্ঘনের দায়ে তিন বছর পর্যন্ত কারা দণ্ডাদেশের বিধান রয়েছে।

এ বিষয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ডাব্লিউটিও সেলের মহাপরিচালক ও কেন্দ্রীয় ডিজিটাল কমার্স সেলের প্রধান হাফিজুর রহমান বলেন, ‘ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন মেনে ইভ্যালিকে ব্যবসা পরিচালনা করার নির্দেশনা দিয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছে।’

তিনি আরো বলেন, ‘জাতীয় ডিজিটাল কমার্স নীতিমালা, ২০১৮ অনুযায়ী ই-কমার্স সহজীকরণ এবং ভোক্তা ও ব্যবসায়ী উভয়পক্ষের অসন্তোষ নিরসনের স্বার্থে ক্যাশ অন ডেলিভারি পদ্ধতি অব্যাহত রাখতে ইভ্যালিকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।’

চিঠিতে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন ও জাতীয় ডিজিটাল কমার্স নীতিমালা মেনে ব্যবসা পরিচালনা করতে প্রয়োজনে ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ইক্যাব) এর সঙ্গে সমন্বয় করতে ইভ্যালিকে নির্দেশনা দিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।

গত মাসে বাংলাদেশ ব্যাংককে চিঠি দিয়ে ইভ্যালির বিরুদ্ধে আর্থিক ব্যবস্থাপনার ত্রুটি খতিয়ে দেখতে চিঠি দিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। ইভ্যালির বিরুদ্ধে পাওয়া বিভিন্ন অভিযোগ সিআইডির অর্গানাইজড ক্রাইম বিভাগ দ্বারা তদন্ত করে প্রতিবেদন দিতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগেও চিঠি পাঠানো হয়েছে। 
এ ছাড়া ইভ্যালি প্রতিমাসে কী পরিমাণ পণ্যের অর্ডার সংগ্রহ করছে এবং কী পরিমাণ পণ্য ডেলিভারি দিচ্ছে, তা মনিটরিং করতে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরকে চিঠি দিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।

এই সময়ের মধ্যে পণ্য ডেলিভারি না পেলে ক্রেতা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইনে কোম্পানির বিরুদ্ধে মামলা করতে পারবে, এক্ষেত্রে কোম্পানিকে পণ্যমূল্যের দ্বিগুণ অর্থ জরিমানা দিতে হবে।

শুরুর দিকে ভাউচার নামক একটি পদ্ধতি চালু করে ইভ্যালি। এ পদ্ধতির আওতায় বিভিন্ন পণ্যে ২০০-৩০০% পর্যন্ত ক্যাশব্যাক করতো। বর্তমানে ১০০-১৫০ পর্যন্ত এবং কিছু কিছু ক্ষেত্রে ৪০% পর্যন্ত ক্যাশব্যাক সুবিধা দিয়ে থাকে। ক্যাশব্যাকসহ বিভিন্ন লোভনীয় অফারে আকৃষ্ট হয়ে ক্রেতারা ইভ্যালির দিকে ঝুঁকছে।

নিউজওয়ান২৪.কম/আরএডব্লিউ

অর্থ-কড়ি বিভাগের সর্বাধিক পঠিত