ঢাকা, ২৪ মে, ২০২৫
সর্বশেষ:

ইইউ ছাড়ছে ব্রিটেন, ক্যামেরন ছাড়ছেন প্রধানমন্ত্রীত্ব

বিশ্ব সংবাদ ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৬:০৬, ২৪ জুন ২০১৬   আপডেট: ১৬:৪৮, ২৪ জুন ২০১৬

অভিব্যক্তিই বলে দিচ্ছে গণভোটে হার ক্যামেরনের সামনে কতোটা অস্বস্তিকর পরিস্থিতি তৈরি করেছে

অভিব্যক্তিই বলে দিচ্ছে গণভোটে হার ক্যামেরনের সামনে কতোটা অস্বস্তিকর পরিস্থিতি তৈরি করেছে

গণভোটে জনগণ রায় দিয়েছে- না, গোষ্ঠীবদ্ধ হয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নে (ইইউ) তারা থাকবে না। বিষয়টি নিশ্চত হওয়ার পর পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন।

ইইউ বিষয়ে ফয়সালা করতে এই গণভোটের প্রতিশ্রুতি ক্যামেরন নিজেই দিয়ছিলেন। গণভোটের প্রতিশ্রুতিতে ক্ষমতায় গেলেও ইইউতে থাকার পক্ষে অবস্থান নিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু ক্যামেরন ও কার পক্ষের লোকজনের হাজার অনুরোধ-আব্দার যেন পায়েই ঠেলে গণরায় গেল তার বিপক্ষে।

গতকাল (বৃহস্পতিবার) অনুষ্ঠিত গণভোটে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ে বিচ্ছেদপন্থিরা জয়ী হয়। এরপর থেকে প্রতিক্ষণে ক্যামেরনের ওপর পদত্যাগের চাপ বাড়ছিল।

ফল প্রকাশের পর শুক্রবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ১০ ডাউনিং স্ট্রিটের সামনে স্ত্রী সামান্থাকে নিয়ে উপস্থিত কিছুটা বিচলিত আর হতাশ ক্যামেরন।

এখানেই এক ভাষণে পদত্যাগের ঘোষণা দেন তিনি যা টিভিতে সম্প্রচার হয়।

পদ ছাড়ার ঘোষণাকালে যুক্তরাজ্যকে একটি জাহাজের সাথে তুলনা করে আবেগাক্রান্ত ক্যামেরন বলেন, এই জাহাজের এখন একজন নতুন ক্যাপ্টেন লাগবে। এমন দেশের প্রধানমন্ত্রীত্বের দায়িত্ব পালনকে গৌরবের বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

এসময় দেশের নয়া কাণ্ডারি বিষয়ে বলেন, আগামী অক্টোবরে ক্ষমতাসীন টোরি দলের কাউন্সিলে নতুন প্রধানমন্ত্রী ঠিক করা হবে।

গত বছর দ্বিতীয় মেয়াদে নিরবাচনের আগে যুক্তরাজ্য ইউরোপীয় ইউনিয়নে থাকবে কি না তা নিয়ে গণভোটের ঘোষণা দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় বসেন ৪৯ বছর বয়সী ক্যামেরন।

তবে ক্যামেরন ইইউর পক্ষে অবস্থান নিলেও তার নিজ দলের অনেক নেতাই ছিলেন বিপক্ষে।

মূলত ইউকে ইনডিপেনডেন্স পার্টির চাপের মুখেই ইউরোপের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক জোট ইইউ ছাড়ার গণভোটের দিকে যেতে হয় ক্যামেরনকে। যার জের ধরে শেষ তক তাকে গদি ছাড়তে হচ্ছে যুক্তরাজ্যকে ইইউমুক্ত করতে কিছু ডানপন্থি রাজনীতিকের উদ্যোগে ১৯৯১ সালে আত্মপকাশ করে ইউকে ইনডিপেনডেন্স পার্টি। ২০১৩ দলটি স্থানীয় কাউন্সিল নির্বাচনে সাফল্য পায় এবং যুক্তরাজ্যের চতুর্থ শক্তিশালী দলে পরিণত হয়।

অনেকটাই যেন আলগোছে ইনডিপেনডেন্স পার্টির এই উত্থান কনজারভেটিভ পার্টির জন্য অস্বস্বিস্তর কারণ হতে থাকে। দেখা যায় কনজারভেটিভ সমর্থকদের অনেকেই ইনডিপেনডেন্স পার্টির দিকে ঝুঁকে পড়তে থাকে। এরপর একজন কনজারভেটিভ এমপিও যখন দল বদলে ইনডিপেনডেন্স পার্টিতে যোগ দেয় তখন দলটি ইউরোপীয় ইউনিয়নবিরোধী প্রচারে শক্তি প্রয়োগ করে।

এমন পটভূমিতে ২০১৫ সালের সাধারণ নির্বাচনের আগে অনেকটা চাপে পড়ে যান ক্যামেরন। এ অবস্থায় ইইউ প্রশ্নে গণভোটের প্রতিশ্রুতি দিতে বাধ্য হন।

তবে গণভোটের আগে ব্রিটিশ নাগরিকদের সতর্ক করে ক্যামেরন বলেছিলেন, এই ভোটের ফলে যুক্তরাজ্য নিঃসঙ্গ হয়ে পড়তে পারে, যেখান থেকে ফিরে আসার পথ থাকবে না।

নিউজওয়ান২৪.কম/এসএল

আরও পড়ুন
বিশ্ব সংবাদ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত