`অনেক বছর যৌনতার শিকার হয়েছি`
বিশ্ব সংবাদ ডেক্স

ভারতের মুম্বাইয়ের সবচেয়ে প্রাচীন ও এশিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম পতিতালয় হচ্ছে কামাতিপুরা। ভারতীয় মেয়েদের একটি দল এই পতিতালয়ে বড় হয়েছে। যাদের প্রত্যেকের মা যৌনকর্মী।
সেখানকার ১৫ জন মেয়ের একটি দল সম্প্রতি যুক্তরাজ্যের সঙ্গীতবিষয়ক এডিনবার্গ ফ্রিঞ্জ ফেস্টিভ্যালে অংশ নেয়। সেখানে তারা তাদের সংগ্রামী জীবনের দুঃসহ গল্প সবার সঙ্গে শেয়ার করেছে।
তাদের একজনের নাম সন্ধ্যা, বয়স ২১ বছর। তিনি বলেন, আমাদের সম্প্রদায়ের মধ্যে বেড়ে ওঠা বিস্ময়কর। কারণ সেখানকার যৌনকর্মীরা আমাদের মায়ের মতো। বাইরের সামাজ ওই স্থানকে `অন্ধকার` বা `কালো` হিসেবে বিবেচনা করে। আপনাদের সেখানে যাওয়া উচিত নয়। এটি নিরাপদ জায়গা নয়।
বর্তমানে যেখানে আছেন সেটা তার জন্য পৃথিবীর সবচেয়ে নিরাপদ স্থান বলেও উল্লেখ করেন তিনি। সন্ধ্যা বলেন, `আমি অনেক বছর, বার-বার সেখানে যৌনতার শিকার হয়েছি। আমি ১০ বছর বয়সে ধর্ষণের শিকার হয়েছি। গায়ের রং কালো হওয়ায় হয়েছি বৈষম্যের শিকার।`
পতিতালয় ছেড়ে ওই মেয়ারা এখন একসঙ্গে একটি হোস্টেলে বসবাস করে। ক্রান্তি নামে একটি সংগঠন এই মেয়েদের দেখাশুনা করে, ভরণপোষণ দেয়। প্রান্তিক এসব মেয়েদের শিক্ষাদান ও ক্ষমতায়নের জন্য কাজ করছে সংগঠনটি।
১৬ বছর বয়সী রানি বলে, `আমার বয়স যখন ১১, তখন আমার বাবা মারা যায়। এতে মায়ের সঙ্গে আমি উদ্বিগ্ন হয়ে পড়ি। সকালে আমার বাবা মারা গেল, সেই দিন সন্ধ্যায় মা বাড়িতে নতুন এক পুরুষকে নিয়ে আসলো এবং মা আমাকে বললো, এটা তোমার নতুন বাবা। পরবর্তী দুইবছর ওই নতুন বাবা প্রায় প্রতিদিনই আমাকে এবং আমার মাকে খুবলে খেয়েছে। এরপর আমি ক্রান্তিতে আশ্রয় নিই। কিন্তু আমার মা এখনো সেই সহিংসতা মোকাবেলা করে যাচ্ছে।
ক্রান্তিতে আশ্রয় নেওয়া মেয়েরা এখন শিক্ষা, সাহিত্য ও সংস্কৃতিময় একটি পরিবেশের মধ্যদিয়ে বড় হচ্ছে্। তারা নাটকের মাধ্যমে নিজেদের অতীত জীবন ও বর্তমান জীবনের প্রতিচ্ছবি ফুটিয়ে তুলছে।
`আমাকে সেখানে যেতে হবে। আমার মায়ের জন্য কিছু একটা করতে হবে। এখন আমি বুঝতে পারি, তারাও মানুষ। তাদের উত্তম জীবন উপহার দেওয়া চেষ্টা চলছে। তবে কিছু সীমাবদ্ধতা আছে`- যোগ করে রানি।
ক্রান্তির প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে রানি বলে, `আমি শিখেছে-সবচেয়ে বড় উপহার, যা আপনারা আমাকে দিয়েছেন।` সে যদি ওই পতিতালয় এলাকায় না জন্মাতো, তবে আজ এখানে আসতো পরতো না বলেও মন্তব্য করে রানি।
আর তরুণী সন্ধ্যা বলেন, এই পৃথিবীতে প্রত্যেকের বিভিন্ন কিছুর মধ্যদিয়ে সংগ্রাম করছেন। যেখানে আশোর আলো অপেক্ষায় থাকে।
ক্রান্তির আশ্রয়ে থাকা মেয়ারা নতুন জীবনের সন্ধান পেয়েছে। তারা বিশ্বাস করে, অতীতের বিভীষিকাময় জীবন তাদের কখনোই দুর্বলতা নয়, বরং অতীত হচ্ছে তাদের ভবিষ্যৎ গড়ার শক্তি। অতীতে কী ঘটেছিল- সেটা বড় নয়, ভবিষ্যতে কী ঘটতে যাচ্ছে সেটাই বড়।
সূত্র: বিবিসি
নিউজওয়ান২৪.কম
- পাকিস্তানি পরমাণু হামলা ঠেকাতে পারবে না ভারত: রুশ বিশেষজ্ঞ
- ইমরান খানের স্ত্রী শুকরের মাংস পাকান!
- কুয়েতে সীমিত আকারে বাংলাদেশি পুরুষ গৃহকর্মী নিয়োগের অনুমোদন
- অভিযানে পিস্তল জ্যাম, দারোগা মুখে বললেন ‘ঠা ঠা’! (ভিডিও)
- ‘বিশেষ অঙ্গ’ বড় হওয়ায় আদালতে প্রেমিকার অভিযোগ!
- কে হবে শ্রেষ্ঠ ‘গাই সুন্দরী’!
- থাই-উপসাগরের তলায় শুয়ে আছে ফ্লাইটএমএইচ৩৭০!
- এবার সৌদিতে প্রকাশ্যে নারী নিগ্রহ
- যে তিন কারণে `মনহুশ` রাহুল!
- ভুটানের প্রধানমন্ত্রী হলেন ময়মনসিংহ মেডিকেলের ছাত্র
- নেপালে পাহাড়ি এলাকায় কলেজবাস খাদে, নিহত ২১
- ‘সিমেন্টের ব্যাগ’-এ বিয়ের পোশাক!
- শান্তিমিশনে যৌন হয়রানি: ২ ভারতীয় সেনার শাস্তি
- মস্কোর বিরুদ্ধে কঠোর নিষেধাজ্ঞা আসছে!
- পাপোষে হিন্দু দেবদেবী ও কোরানের ছবি: বিতর্কে অ্যামাজন