ঢাকা, ২৪ মে, ২০২৫
সর্বশেষ:

মিয়ানমারে ফের সেনাসদস্যদের ধর্ষণের শিকার সংখ্যালঘু নারীরা

বিশ্ব সংবাদ ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৫:২৭, ২৮ অক্টোবর ২০১৬   আপডেট: ২১:১২, ৩১ অক্টোবর ২০১৬

১৯ অক্রাটোবর এএফপি’র তোলা ছবিতে রাখাইনের একটি গ্রামে মিয়ানমার সেনাসদস্যদের টহল

১৯ অক্রাটোবর এএফপি’র তোলা ছবিতে রাখাইনের একটি গ্রামে মিয়ানমার সেনাসদস্যদের টহল

মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে নিরপত্তারক্ষীদের বেপরোয়া ধর্ষণের শিকার হয়েছেন নারীরা। দেশটির মানবাধিকার গ্রুপসমূহের সূত্র মতে, চলতি অক্টোবরে ওই রাজ্যে মুসলিমদের বিরুদ্ধে সহিংসতারোধে সেনাসদস্যদের পাঠানোর পর এই অমানবিক ঘটনার খবর পাওয়া যায়।

রোহিঙ্গা রাইটস অর্গানাইজেশনের আরাকান প্রজেক্ট পরিচালক ক্রিস লিবা জানান, গত ১৯ অক্টোবর একটি গ্রামেই ৩০ জন মুসলিম নারীকে সেনারা ধর্ষণ করে বলে খবর পাওয়া গেছে। অস্ত্রের মুখে ধর্ষণ-গণধর্ষণই ছাড়াও তারা লুটপাট-অগ্নিসংযোগও করছে বলে অভিযোগে জানা গেছে।

বাংলাদেশ সীমান্তের কাছে রাখাইন রাজ্যে পুলিশ ক্যাম্পে হামলার অভিযোগে চলতি মাসে সেনা মোতায়েন করে। মিয়ানমার সরকারের অভিযোগ- রোহিঙ্গা মুসলিমরা ওইসব হামলা চালাচ্ছে। রয়টার্সের সূত্র উল্লেখ করে প্রেসটিভি.কম জানায়, ১৯ অক্টোবর রাখাইন রাজ্যের দুর্গম ইউ শেই কিয়া গ্রামে দেড়শ সেনাসদস্য হামলা চালায়।

মিয়ানমার টাইমস প্রকাশিত খবরের সূত্র উল্লেখ করে শুক্রবার নবভারতটাইমস.কম জানায়, ওই এলাকায় প্রবেশে সেনাবাহিনী কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করায় সেখানে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার গোষ্ঠীর লোকজনের প্রবেশাধিকার নেই। এর ফলে উল্লেখিত ঘটনার খবর তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি।

লিবা আরও জানান, পাশের আরেকটি গ্রামের ১৬-১৮ বছর বয়সী পাঁচজন মেয়েকে ধর্ষণের খবর পেয়েছেন তিনি। ন্যাক্কারজনক এ ঘটনা ঘটে ২৫ অক্টোবর। এর আগে ২০ অক্টোবর আরেকটি গ্রামের দুটি মেয়েকে ধর্ষণ করা হয়।

এদিকে, বার্মা হিউম্যান রিইটস নেটওয়ার্ক (বিএইচআরএন) ২৫ অক্টোবর এক বিবৃতিতে জানায়, সেনা তৎপরতা শুরুর পর থেকে মেংডুতে ১০টি ধর্ষণের ঘটনা সামনে এসেছে। ওই ১০টি ধর্ষণ ঘটনার একটিতে ঘটনার শিকার নারী তিন মাসের গর্ভবর্তী ছিলেন। নির্যাতনের ফলে তার গর্ভপাত ঘটে যায়।

বিএইচআরএন কর্মকর্তা ইউ ক্যান বিনের মতে, সরকার জেনে বুঝেই আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করছে। তারা বিশ্ববাসীকে দেওয়া ওয়াদা সিন্দুকে রেখে অপরাধ করে যাচ্ছে। এন্ড সেক্সচুয়াল ভায়োলেন্স ইন কনফ্লিক্ট (যুদ্ধ-হানাহানিকালে যৌন অপরাধ রোধ)-এ প্রতিশ্রুতিবদ্ধতার বিষয়ে ইঙ্গিত করে তিনি একথা বলেন।

প্রসঙ্গত, নোবেল বিজয়ী নারীদের উদ্যোগে গড়ে তোলা হয় ‘এন্ড সেক্সচুয়াল ভায়োলেন্স ইন কনফ্লিক্ট’ আন্দোলন যাতে সমর্থন দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র-ব্রিটেনসহ শতাধিক দেশ।

নিউজওয়ান২৪.কম/এসকে

আরও পড়ুন
বিশ্ব সংবাদ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত