ভুপালে জেলপালানো ৮ জনকে এনকাউন্টারে হত্যা, রাজনৈতিক বিতর্ক
বিশ্ব সংবাদ ডেস্ক

ভারতের মধ্যপ্রদেশের রাজধানী ভুপালের সেন্ট্রাল জেল ভেঙে পালানো আট সন্দেহভাজন জঙ্গিকেই এনকাউন্টারে হত্যা করেছে পুলিশ। নিহতরা সবাই স্টুডেন্টস ইসলামিক মুভমেন্ট অফ ইন্ডিয়া বা সিমির সদস্য বলে জানা গেছে। সোমবার ভুপাল শহরের উপকণ্ঠের এইনথখেড়ি গ্রামে পুলিশের গুলিতে ওই আটজনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে প্রশাসন।
প্রসঙ্গত, এই আট পলাতক জঙ্গির খোঁজে গত রবিবার রাত থেকেই ভুপাল ও আশেপাশের এলাকা জুড়ে ব্যাপক তল্লাশি চলে। পুলিশ ছাড়াও ঘটনার তদন্ত শুরু করে দিল্লির অ্যান্টি টেরর উইং এবং স্পেশাল সেল। তদন্তের জন্য তারা ভুপালে হাজির হয়। হাই অ্যালার্ট জারি করা হয় শহরের বাস স্ট্যান্ড ও রেল স্টেশনে। খতিয়ে দেখা হয় ভুপালের সব রাস্তার সিসিটিভি ফুটেজ।
ভারতীয় মিডিয়ায় প্রকাশিত খবর মোতাবেক, ব্যাপক তদন্ত ও সাঁড়াশি অভিযানের সূত্রে শেষ পর্যন্ত এইনথখেড়ি গ্রামে ওই আটজনের খোঁজ পায় পুলিশ। এই ঘটনার সঙ্গে ইন্ডিয়ান মুজাহিদিন, লস্কর-ই-তৈয়বার মতো জঙ্গি গোষ্ঠীর সংযোগ থাকতে পারে বলে সন্দেহ করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, গত রবিবার দিনগত রাত ২টা থেকে ৩টা পর্যন্ত সময়ের মাঝে দায়িত্বে থাকা জেলরক্ষীর গলা কেটে হত্যা করে ওই আট জঙ্গি। একাজে তারা স্টিলের থালা ও গ্লাস ব্যবহার করে। এরপর তারা বিছানার চাদর বেয়ে উঠে জেলের পাঁচিল ডিঙিয়ে পালায়।
এদিকে, এই ঘটনা নিয়ে রাজনৈতিক তুমুল বাদানুবাদ শুরু হয়েছে ভারত জুড়ে। বিজেপি শাসিত এই রাজ্যে একসঙ্গে আটজনকে বিতর্কিত `এনকাউন্টারে` হত্যার তীব্র প্রতিবাদ করছেন তারা। প্রকৃত ঘটনা জানতে নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি করেছেন কংগ্রেস মহাসচিব দিগ্বিজয় সিং। তিনি বলেছেন, এ ঘটনার পেছনে ষড়যন্ত্র রয়েছে। তিনি দাবি করেছেন, ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্ত করা হোক।
তিনি পুরো বিষয়টিতে সন্দেহ প্রকাশ করে বলেছেন- ওই সন্ত্রাসীদের কোনো ফন্দি করে পালাতে উদ্ধুদ্ধ করা হয়েছে।
কংগ্রেস নেতা কমলনাথ বলেছেন- যেহেতু সব সন্ত্রাসী নিহত হয়েছে এবং ঘটনার বিষয়ে কোনো তথ্য জানা যায়নি, তাই পুরো ঘটনার বিচার বিভাগীয় তদন্ত করা উচিৎ এটা জানতে যে তারা কীভাবে পালালো?
আম আদমি নেতা অলকা লাম্বাও এ ব্যাপারে প্রশ্ন তুলেছেন। পুলিশের এই এনকাউন্টার নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন এআইএমআইএম নেতা হায়দারাবাদের এমপি আসাদুদ্দিন ওবেসি, বামপন্থি নেতা বৃন্দা কারাতসহ অন্যরা। ওবেসি এ ঘটনায় সুপ্রিম কোর্টের তদন্ত দাবি করেছেন। বিরোধী নেতারা প্রশ্ন তুলেছেন, জেল পালানো কয়েদিরা অমন ফিটফাট পোশাকে কীভাবে থাকে। এছাড়া তাদের কাছে তো অস্ত্রও ছিল না।
নবভারতটাইমসের খবরে বলা হয় প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, সন্ত্রাসীদের হাতে চিল লাঠি এবং তারা পুলিশকে পাথর নিক্ষেপ করে।
তবে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ভুপেন্দ্র সিং বলেছেন, পুলিশের কাছে এছাড়া আর কোন পথ ছিল না। তিনি এ ঘটনাকে মধ্যপ্রদেশ পুলিশের বিরাট সাফল্য হিসেবে অভিহিত করেছেন এবং সরকার তাদের অভিনন্দিত করেছে বলে জানান।
তবে আলোচিত ঘটনায় সরকারকে দোষারোপ করে এটা সরকারের ষড়যন্ত্র বলে দাবি করছে কংগ্রেস, বামপন্থি দল, এআইএমআইএম, এএপি (আম আদমি পার্টি)।
নিউজওয়ান২৪.কম/একে
- পাকিস্তানি পরমাণু হামলা ঠেকাতে পারবে না ভারত: রুশ বিশেষজ্ঞ
- ইমরান খানের স্ত্রী শুকরের মাংস পাকান!
- কুয়েতে সীমিত আকারে বাংলাদেশি পুরুষ গৃহকর্মী নিয়োগের অনুমোদন
- অভিযানে পিস্তল জ্যাম, দারোগা মুখে বললেন ‘ঠা ঠা’! (ভিডিও)
- ‘বিশেষ অঙ্গ’ বড় হওয়ায় আদালতে প্রেমিকার অভিযোগ!
- কে হবে শ্রেষ্ঠ ‘গাই সুন্দরী’!
- থাই-উপসাগরের তলায় শুয়ে আছে ফ্লাইটএমএইচ৩৭০!
- এবার সৌদিতে প্রকাশ্যে নারী নিগ্রহ
- যে তিন কারণে `মনহুশ` রাহুল!
- ভুটানের প্রধানমন্ত্রী হলেন ময়মনসিংহ মেডিকেলের ছাত্র
- নেপালে পাহাড়ি এলাকায় কলেজবাস খাদে, নিহত ২১
- ‘সিমেন্টের ব্যাগ’-এ বিয়ের পোশাক!
- শান্তিমিশনে যৌন হয়রানি: ২ ভারতীয় সেনার শাস্তি
- মস্কোর বিরুদ্ধে কঠোর নিষেধাজ্ঞা আসছে!
- পাপোষে হিন্দু দেবদেবী ও কোরানের ছবি: বিতর্কে অ্যামাজন