ঢাকা, ১০ মে, ২০২৫
সর্বশেষ:

খুনের পর ‘আপনার স্ত্রী ও ছেলেকে গুলি করেছি স্যার’

নিউজ ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৩:৫৫, ১৫ অক্টোবর ২০১৮  

ফাইল ছবি

ফাইল ছবি

ভারতের হরিয়ানা রাজ্যের গুরুগ্রাম শহরে খুনের পর খুনি নিজেই ফোন করে জানালেন কৃতকর্মের কথা। বললেন, ‘আপনার স্ত্রী-ছেলেকে গুলি করেছি স্যার’। এর পরেই ফোনটা কেটে দেন তিনি। শনিবার বিচারকের স্ত্রী-সন্তান দুজনকে গুলিবিদ্ধ করে বিষয়টি অতিরিক্ত দায়রা জজ কৃষ্ণকান্ত শর্মাকে জানিয়েছেন তারই দেহরক্ষী মহীপাল সিংহ।

পুলিশ জানিয়েছে, বিচারকের স্ত্রী-ছেলেকে গুলি করার পর মা এবং আরো পরিচিত কয়েক জনকে ফোন করে বিষয়টি জানান মহীপাল। এদিকে, সন্ধ্যায় তাকে গুরুগ্রাম-ফরিদাবাদ রোড থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ। 

পুলিশের ধারণা, মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন মহীপাল। তবে কেন গুলি করলেন তা জানার চেষ্টা চালাচ্ছেন তারা। 

হরিয়ানার মহেন্দ্রগড়ের বাসিন্দা মহীপালের বাড়িতে মা, স্ত্রী ও দুই সন্তান। তার স্ত্রী শিক্ষিকা।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, মহীপাল তার সার্ভিস রিভলভার থেকে প্রথমে বিচারকের স্ত্রীর বুকে গুলি করেন, তার পর ছেলের (ধ্রুব) মাথা লক্ষ্য করে গুলি ছোড়েন। ফলে তার মাথায়, কান ও ঘাড়ে গুলি লাগে। রাস্তায় লুটিয়ে পড়ে সে। এর পরই ধ্রুবকে টেনে গাড়ির ভিতর ঢোকানোর চেষ্টা করেন মহীপাল। কিন্তু না পেরে তাদের দু’জনকে রাস্তায় ফেলে গাড়ি নিয়ে চম্পট দেন তিনি।

পরে রিতু ও ধ্রুবকে স্থানীয়রা হাসপাতালে নিয়ে যায়। তারা বর্তমানে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তবে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন তারা আশঙ্কামুক্ত।

এদিকে, গ্রামবাসীরা জানান, মামাবাড়িতেই মানুষ হয়েছেন মহীপাল। বাবা মদ্যপ হওয়ার কারণে তার জন্মের আগেই মা বাপের বাড়িতে চলে আসেন। সেখানেই জন্ম হয় মহীপালের। ছোটবেলা থেকেই খুব রাগী স্বভাবের তিনি। ২০০৭-এ হরিয়ানা পুলিশে যোগ দেন মহীপাল। কিন্তু গ্রামের ছেলে যে এমন কাণ্ড ঘটিয়ে বসেছে সেটা যেন কেউই বিশ্বাসই করতে পারছেন না।

গত দু’বছর ধরে বিচারকের ব্যক্তিগত দেহরক্ষী হিসাবে কাজ করছেন মহীপাল। 

অপরদিকে শনিবার বিকেলে শপিং করতে যাবেন বলে ছেলেকে নিয়ে গাড়িতে করে বেরিয়ে ছিলেন বিচারকের স্ত্রী রীতু। সঙ্গে মহীপালও ছিলেন। গুরুগ্রামের সেক্টর ৪৯-এর সামনে বাজারে গাড়ি থেকে নামার পরই বিচারকের স্ত্রী রীতু ও ছেলে ধ্রুবকে লক্ষ্য করে গুলি চালান মহীপাল। এরপরে ফোন দিয়ে বিচারককেও জানান তিনি।

নিউজওয়ান২৪/জেডএস

আরও পড়ুন
বিশ্ব সংবাদ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত