ঢাকা, ১০ মে, ২০২৫
সর্বশেষ:

খাশোগি হত্যাকাণ্ডের সত্য প্রকাশে সৌদির প্রতি তুরস্কের আহবান

বিশ্ব সংবাদ ডেস্ক

প্রকাশিত: ০৯:৪৩, ৩০ অক্টোবর ২০১৮  

ফাইল ছবি

ফাইল ছবি

সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের অন্যতম সমালোচক হিসেবে পরিচিত সাংবাদিক জামাল খাশোগির হত্যাকাণ্ডের সব সত্য প্রকাশের জন্য সৌদি আরবের প্রতি আহবান জানিয়েছেন তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেভলুত কভুসগলু। গতকাল সোমবার আঙ্কারায় সৌদি পাবলিক প্রসিকিউটর সৌদ আল-মোজেব ও ইস্তাম্বুলের প্রধান পাবলিক প্রসিকিউটর ইরফান ফিদানের মধ্যে বৈঠকের পর তিনি এ আহবান জানান। 

বৈঠকে খাশোগি হত্যাকাণ্ডের সর্বশেষ অগ্রগতি নিয়ে আলোচনা হয়। তবে আলোচনার বিস্তারিত কিছুই জানানো হয়নি। আল-জাজিরার খবরে বলা হয়, তুরস্কের পক্ষ থেকে হত্যাকাণ্ড সংক্রান্ত ১৫০ পৃষ্ঠার তথ্য-উপাত্ত সৌদি পাবলিক প্রসিকিউটরের কাছে হস্তান্তর করার কথা রয়েছে। এ ছাড়া আবারো সৌদি কনস্যুলেট ও কনসাল জেনারেলের বাসভবনে তল্লাশির জন্য সৌদি আরবের প্রতি আহবান জানিয়েছে তুরস্ক।
 
সাবেক স্ত্রীর সঙ্গে বিচ্ছেদের সনদ নিতে গত ২ অক্টোবর ইস্তাম্বুলস্থ সৌদি কনস্যুলেটে প্রবেশের পর থেকে নিখোঁজ হন সাংবাদিক জামাল খাশোগি। গত ২০ অক্টোবর সৌদি আরব প্রথমবারের মতো স্বীকার করে যে কনস্যুলেট ভবনে মৃত্যু হয়েছে খাশোগির। পরে জানায়, তিনি খুন হয়েছেন। তবে খাশোগির মরদেহের কী হয়েছে এবং কে তাকে হত্যার নির্দেশ দিয়েছে সে ব্যাপারে কোনো উত্তর দিতে পারেনি সৌদি আরব। 

এ ঘটনায় তুরস্ক ও সৌদি আরব যৌথভাবে তদন্তের কথা জানিয়েছে। এ বিষয়ে  আলোচনার জন্য রবিবার রাতে তুরস্কে পৌঁছান সৌদি প্রসিকিউটর। গতকাল তুর্কি পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, দুই দেশের পাবলিক প্রসিকিউটরের মধ্যে তথ্যের আদান-প্রদান গুরুত্বপূর্ণ। সৌদি আরবের উচিত দ্রুততম সময়ের মধ্যে তদন্ত শেষ করা এবং সব সত্য প্রকাশ করা।
 
এদিকে তুরস্কের কোর্ট অব ক্যাসাশনের ফার্স্ট সিভিল চেম্বার এর সাবেক প্রধান সালিহ জেকি ইসকান্দার বলেছেন, খাশোগির মরদেহ ছাড়াই এ ঘটনায় অভিযোগপত্র দায়ের করা সম্ভব। সেক্ষেত্রে হত্যার বিষয়টি অন্য তথ্য দিয়ে প্রমাণ করতে হবে। তবে অপরাধের প্রকৃতি নির্ধারণে মরদেহ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তিনি জানান, সৌদি আরব অনেক প্রমাণ নষ্টের চেষ্টা করেছে। প্রকৃতপক্ষে তারা বিচার করতে সমর্থ হবে কিনা তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে। 

আন্তর্জাতিক আইনের অধ্যাপক হাসান কনি আল জাজিরাকে বলেন, তুরস্ক ও সৌদি আরবের মধ্যে কোনো বন্দি বিনিময় চুক্তি নেই। এ জন্য অপরাধীদের তুরস্কে এনে বিচার করা কঠিন। ন্যায় বিচার নিশ্চিতে তুরস্কের অনেক প্রচেষ্টা আন্তর্জাতিক আইন ও কূটনৈতিক সীমাবদ্ধতার কারণে আটকে যেতে পারে।

নিউজওয়ান২৪/এএস

আরও পড়ুন
বিশ্ব সংবাদ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত