অনার কিলিং: পাকিস্তানে মা পুড়িয়ে মারলো আপন মেয়েকে
বিদেশ ডেস্ক

মোবাইল ফোনে স্ত্রীর ছবিই এখন স্মৃতি হাসানের
জীনাত রফিকের বয়স ছিল মাত্র ১৭। এই বয়সেই নির্মমতম পন্থায় ‘অনার কিলিংয়ের’ শিকার হতে হলো তাকে।
সরকারি অনেক প্রতিরোধ সত্ত্বেও অনার কিলিং পাকিস্তান-ভারতের অনেক অঞ্চলে গা সওয়া বিষয়।
কাজটি নৃশংস, বেআইনি এবং ধিকৃত হওয়া সত্ত্বেও দেশ দুটির অনেক এলাকায় এর চল রয়েছে। পরিবারের পছন্দের বাইরে, তথাকথিত ‘ছোট জাতের’ কাউকে বিয়ে করলে সাধারণত প্রভাবশালী পরিবারের সন্তানটিকে (হোক ছেলে বা মেয়ে) হতে হয় অনার কিলিংয়ের শিকার। কখনো কখনো স্বামী-স্ত্রী দুজনকেই হত্যা করা হয় ‘পরিবারের ইজ্জত’ ‘নিলামে তোলার’ অপরাধে। নিজের বাপ-ভাই হত্যা করে ‘অপরাধী’ ছেলে বা মেয়েটিকে।
তবে জীনাতের ক্ষেত্রে বিষয়টি হয়েছে আরও ভয়াবহ। তার জন্মদাত্রী মা তাকে গায়ে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে হত্যা করেছে। এই পৈশাচিক নির্মমতা ঘটানোর আগে মা পারভীন ও ভাই আহমার মিলে তাকে শক্ত করে বেঁধেও নিয়েছিল যাতে কোনোভাবেই সে বাঁচতে না পারে।
পুলিশ জানায়, জিনাতকে একটি খাটে শক্ত করে বেঁধে ফেলেন তার আপন মা পারভীন।এরপর তাকে কেরোসিনে ভিজিয়ে চুপচুপে করে গায়ে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়।
পূর্বাঞ্চলীয় শহর লাহোরের ঘিঞ্জি বস্তি এলাকার এই ঘটনায় আশপাশের লোকজন জীনাতের ভয়াবহ আর্তচিৎকার শুনে ছুটে আসে। প্রতিবেশী নিঘাত বিবি জানান, কিন্তু জিনাতর পরিবারের সদস্যরা তাদের বাড়ির ভেতরে ঢুকতে দেয়নি।
খবর পেয়ে যথারীতি পুলিশ আসে ঘটনাস্থলে। তবে তারা এসে পায় জিনাতের পুড়ে কয়লা হয়ে যাওয়া শরীর। কয়লার স্তূপটা পড়েছিল বাড়ির ভেতরে সিঁড়ির পাশে।
পুলিশ ‘মমতাময়ী’ মা পরভীনকে গ্রেফতার করেছে।
জীনাতের স্বামী রফিক সংবাদ মাধ্যমকে জানান, তারা স্কুল জীবন থেকে পরস্পরের প্রেমে পড়ে। বড় হওয়ার পর একাধিকবার বিয়ের প্রস্তাব গেলেও তা নাকচ করে জিনাতের পরিবার। শেষে উপায় না দেখে গত মাসে তারা দুজন পালিয়ে গিয়ে বিয়ে করে।
স্থানীয় পুীলশ কর্মকর্তা শেখ হাম্মাদ জানান, পুত্র আহমারের সহায়তায় কন্যা জীনাতকে গত্যার কথা স্বীকার করেছে পারভীন। পুলিশকে পারভীন জানিয়েছেন, এ নিয়ে তার কোনো অনুশোচনা নেই।
প্রসঙ্গত, অতি রক্ষণশীল এই দেশটিতে বছরে গড়ে ১০০০ নারী অনার কিলিংয়ের বলি হন। দেশটির সরকার এবং মানবাধিকার সংগঠনগুলোর সামনে এটি একটি বড় চ্যালেঞ্জ। গত সপ্তাহে মারিয়া বিবি নামে এক স্কুল শিক্ষিকাকে পুড়িয়ে হত্যা করা হয়। তার ‘অপরাধ’ ছিল নিজের দ্বিগুণ বয়সী ব্যক্তিকে বিয়ে করতে অষ্বীকার করা। এ ঘটনায় প্রত্যাখ্যাত বরের পিতাসহ পাঁচজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
গত মাসে দেশটির একটি উপজাতীয় কাউন্সিলের ১৩ জন সদস্যকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তারা একটি মেয়েকে শ্বাসরোধে হত্যার পর গায়ে আগুন ধরিয়ে দেয়। তার অপরাধ ছিল সে তার এক বান্ধবীকে প্রেমিকের সঙ্গে পালিয়ে যেতে সহয়তা করেছিল। ১৭ বছর বয়সী আম্বরীন রিয়াসাত নামের ওই মেয়েটির পুড়ে কয়লা হওয়া দেহ একটি পুড়ে যাওয়া ভ্যান থেকে উদ্ধার কর হয়।
জীনাতের স্বামী হাসান জানান, হত্যাকাণ্ডের দিন তিনেক আগে তার শ্বাশুরী ও মামা শ্বশুর এসেছিলেন তাদের বাসায়। তখন তারা তাদের সম্পর্ক মেনে নেওয়ার কথা জানায় এবং জীনাতকে বাড়িতে নিয়ে তারা ধূমধাম করে হাসানের সঙ্গে বিয়ে দেবে যাতে কেউ তাদের নিয়ে বাজে কথা বলতে না পারে। এই প্রতিশ্রুতি দিয়ে তারা মেয়েকে বাড়ি নিয়ে যয়। তবে যাওয়ার সময় জীনাত বারবার তাকে বলছিল- আমাকে যেতে দিওনা। ওরা আমাকে মেরে ফেলবে।
হাসান এখন এই ভয়াবহ স্মতি নিয়ে বেঁচে আছে।
নিউজওয়ান২৪.কম/এসকে
- পাকিস্তানি পরমাণু হামলা ঠেকাতে পারবে না ভারত: রুশ বিশেষজ্ঞ
- ইমরান খানের স্ত্রী শুকরের মাংস পাকান!
- কুয়েতে সীমিত আকারে বাংলাদেশি পুরুষ গৃহকর্মী নিয়োগের অনুমোদন
- অভিযানে পিস্তল জ্যাম, দারোগা মুখে বললেন ‘ঠা ঠা’! (ভিডিও)
- ‘বিশেষ অঙ্গ’ বড় হওয়ায় আদালতে প্রেমিকার অভিযোগ!
- কে হবে শ্রেষ্ঠ ‘গাই সুন্দরী’!
- থাই-উপসাগরের তলায় শুয়ে আছে ফ্লাইটএমএইচ৩৭০!
- এবার সৌদিতে প্রকাশ্যে নারী নিগ্রহ
- যে তিন কারণে `মনহুশ` রাহুল!
- ভুটানের প্রধানমন্ত্রী হলেন ময়মনসিংহ মেডিকেলের ছাত্র
- নেপালে পাহাড়ি এলাকায় কলেজবাস খাদে, নিহত ২১
- ‘সিমেন্টের ব্যাগ’-এ বিয়ের পোশাক!
- শান্তিমিশনে যৌন হয়রানি: ২ ভারতীয় সেনার শাস্তি
- মস্কোর বিরুদ্ধে কঠোর নিষেধাজ্ঞা আসছে!
- পাপোষে হিন্দু দেবদেবী ও কোরানের ছবি: বিতর্কে অ্যামাজন