ঢাকা, ১৯ মার্চ, ২০২৪
সর্বশেষ:

২২ বছর আগে নিখোঁজ উইলিয়ামকে পাওয়া গেল গুগল ম্যাপে!

নিউজ ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৭:১০, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৯  

ফাইল ফটো

ফাইল ফটো

১৯৯৭ সালে ৪০ বছর বয়সী মার্কিন নাগরিক উইলিয়াম আর্ল মোল্ডট খোঁজ হন। তারপর থেকে দীর্ঘ ২২টি বছরে সন্ধান মেলেনি তার উইলিণয়াম বেঁচে আছেন না মোরা গেছেন কিছুই নিশ্চত হওয়া যাচ্ছিল না। তবে সম্প্রতি গুগল আর্থ তাঁর সন্ধান দিয়েছে। গুগলের স্যাটেলাইট ক্যামেরা একটি আবাসিক এলাকার পুকুরে উইলিয়ামের ব্যবহৃত গাড়িটির খোঁজ পায়। আর সেখানেই সন্ধান সন্ধান মেলে উইলিয়ামের, তবে জীবিত নয়- মৃত উইলিয়ামের দেহাবশেষের সন্ধান মিলেছে সেখানে।

প্রকাশিত খবরে জানা গেছে, ১৯৯৭ সালের নভেম্বরের এক সন্ধ্যায় ফ্লোরিডা অঙ্গরাজ্যের ল্যান্টানার একটি নাইট ক্লাবে গিয়েছিলেন উইলিয়াম। সচরাচর তিনি মদ্যপান না করলেও ওই ক্লাবে তিনি প্রায়ই সময় কাটাতেন।

সেদিন নাইট ক্লাব থেকে বের হওয়ার আগে গার্লফ্রেণ্ডকে ফোন করে শিগগিরই বাড়ি ফিরবেন বলে জানান উইলিয়াম। কিন্তু কথামতো তিনি আর বাড়িতে ফিরে আসেননি। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল মিসিং অ্যান্ড আনআইডেন্টিফায়েড পার্সনস সিস্টেম থেকে জানা যায়, ওই রাতে উইলিয়াম মদ্যপান করেননি। কিন্তু নাইট ক্লাব থেকে বের হয়ে তিনি কোথায় মিলিয়ে গেলেন তা আর জানা যায়নি। 

সম্প্রতি ফ্লোরিডার ওয়েলিংটনের এক সাবেক বাসিন্দা গুগল আর্থের মাধ্যমে ওই এলাকাটি পর্যবেক্ষণ করছিলেন। একপর্যায়ে উল্লেখিত পুকুরটি জুম করতেই পুকুরে একটা গাড়ি দেখতে পান। এরপর তিনি ওই এলাকার একজন বর্তমান বাসিন্দার সঙ্গে যোগাযোগ করে ড্রোনের মাধ্যমে পুকুরে গাড়িটির অবস্থান সম্পর্কে নিশ্চিত হন। পরবর্তীতে পুলিশে খবর দেওয়া হলে তারা এসে গাড়িটি উদ্ধার করে। আর গাড়ির ভিতরেই ছিল উইলিয়ামের কঙ্কাল। তনি যখন নিখোঁজ হন অর্থাৎ ১৯৯৭ সালে ওই আবাসন এলাকায় নির্মাণ কাজ চলছিল। পুকুরটি তখনও ছিল সেখানে।

জানা গেছে, ২০০৭ সাল থেকে গুগল আর্থের ছবিতে ওই গাড়িটি দেখা যাচ্ছিল। কিন্তু ২০১৯ সাল পর্যন্ত কেউ-ই সেটি খুঁটিয়ে পরখ করেননি। 

উদ্ধার হওয়া গাড়ির ছবি ও পুরনো তথ্য মিলিয়ে পুলিশ উইলিয়ামের দেহাবশেষের ব্যাপারে নিশ্চিত হয়। সেই সঙ্গে ২২ বছরের পুরনো একটি নিখোঁজ রহস্যের আংশিক সমাধানও হলো। কিন্তু ইউলিয়াম কিভাবে, কেন মারা গেলেন, বা কারা তাকে হত্যা করেছিল তিা জানা যায়ীন এখনও। প্রাথমিকভাবে ধারণা হচ্ছে নিয়ন্ত্রণ হারেয়ে গাড়িসহ পুকুরে পড়ে যান তিনি। তবে এই কারণে তার মৃত্যু নাও হয়ে থাকতে পারে- এটাও মানতে হবে।

প্রসঙ্গত, ল্যান্টানা থেকে দুর্ঘটনাস্থল ওয়েলিংটনের দূরত্ব প্রায় ৩২ কিলোমিটার। ল্যান্টানার ওই নাইট ক্লাব থেকে বাড়ি ফিরবেন বলে বেরিয়ে ওয়েলিংটনের আবাসন এলাকায় কেন গেলেন উইলিয়াম কিংবা কে বা কারা তাকে নিয়ে গেল- সেই রহস্যের সমাধান হয়নি এখনও।
নিউজওয়ান২৪.কম/আরএস