হাত-পা বেঁধে ছাত্রীকে ধর্ষণকারী কোচিংওয়ালা ‘বন্দুকযুদ্ধে’ খালাস

ছাত্রীকে ধর্ষণে অভিযুক্ত কোচিং সেন্টারের মালিক সাইফুল ইসলাম কথিত বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছে। গতকাল রবিবার (২৮ এপ্রিল) দিনগত রাতে জট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলার উত্তর আমিরাবাদ এলাকায় এই ‘বন্দুকযুদ্ধের’ ঘটনা ঘটে। লোহাগাড়ায় বাড়িতে মা-বাবা বা ও অন্য স্বজনদের অনুপস্থিতিতে হাত-পা বেঁধে নবম শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ রয়েছে নিহত সাইফুলের রিুদ্ধে। 

র্যা বের চট্টগ্রাম জোন সহকারী পরিচালক এএসপি মাশকুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ধর্ষণে অভিযুক্ত কোচিং সেন্টারের মালিক সাইফুলকে গ্রেপ্তার করতে গেলে তার সঙ্গে  র্যা বের গোলাগুলি হয়। পরে ঘটনাস্থল থেকে তার গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধার করা হয়।
তিনি জানান, এসময় ঘটনাস্থল থেকে ২টি অস্ত্র ও ২৪ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করে র্যা ব।

গত ১২ এপ্রিল (শুক্রবার) হাত-পা বেঁধে ছাত্রী ধর্ষণের ওই ঘটনা ঘটায় অভিযুক্ত সাইফুল।পরে ঘটনা জানাজানি হলে কোচিং সেন্টার বন্ধ করে আত্মগোপনে চলে যায় সে। এ ঘটনায় ১৫ এপ্রিল লোহাগাড়া থানায় মামলা করেন ভিক্টিমের মা।

মামলার বিবরণে প্রকাশ, লোহাগাড়া উপজেলার উত্তর আমিরাবাদের আব্দুস সোবহানের ছেলে সাইফুল ইসলাম কিছুদিন আগে এলাকায় ‘সৃজনশীল’ নামে একটি কোচিং সেন্টার চালু করে। সাইফুলের অনুরোধে স্থানীয় একটি বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্রী, তার বোন ও দুই ভাইকে ওই কোচিং সেন্টারে ভর্তি করানো হয়। সেই থেকে সাইফুলের সঙ্গে পরিবারটির সঙ্গে তার সখ্যতা গড়ে ওঠে।

এরই ধারাবাহিকতায় গত ১২ এপ্রিল ওই স্কুলছাত্রীর মায়ের অনুপস্থিতে তাদের বাসায় যায় কোচিংওয়ালা সাইফুল। একপর্যায়ে অসহায় অবস্থায় একা পেয়ে মেয়েটিকে হাত-পা বেঁধে ধর্ষণ করে সে। এসময় আক্রান্তের আর্তচিৎকারে প্রতিবেশীরা এগিয়ে এলে ধর্ষক সাইফুল পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা মেয়েটিকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখান থেকে তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) ভর্তি করা হয়। দীর্ঘ এক সপ্তাহ চমেক হাসপাতালের ওসিসিতে চিকিৎসা নেয়ার পর গত ১৯ এপ্রিল বাড়ি ফেরে মেয়েটি।
নিউজওয়ান২৪.কম/আরকে