ঢাকা, ১৯ মার্চ, ২০২৪
সর্বশেষ:

হজের ফরজ, ওয়াজিব ও সুন্নত

ধর্ম ডেস্ক

প্রকাশিত: ১২:৫১, ১২ জুলাই ২০২০  

ইসলামের চতুর্থ রোকন হজ। হজ গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত, জান মালের ইবাদত।

ইসলামের চতুর্থ রোকন হজ। হজ গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত, জান মালের ইবাদত।


মহান রাব্বুল আলামিন আল্লাহ তায়ালা বলেছেন, ‘মক্কা শরিফ পর্যন্ত পৌঁছাতে সক্ষম প্রত্যেক ব্যক্তির ওপর আল্লাহর জন্য হজ আদায় করা ফরজ’ (সূরা: আলে ইমরান, আয়াত: ৯৭)।

কিছুদিন পর আকাশে জিলহজের চাঁদ উঁকি মারবে। হজযাত্রীরা প্রস্তুতি নেবে হজের। যদিও সীমিত পরিসরেই এবারের হজ আয়োজন। তবে হজ করার আগে হজের পরিপূর্ণ বিধান জানা আবশ্যক।

ইসলামের চতুর্থ রোকন হজ। হজ গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত, জান মালের ইবাদত। হজ কবুল হলে দুধের শিশুর মতো নিষ্পাপ বান্দা। তাই মুমিন হৃদয়ে হজের তামান্না, কাবা দর্শনে চোখ শীতলের বাসনা। আল্লাহ যাকে কবুল করেন তাকেই পবিত্র ভূমি দর্শনে নিয়ে যান। শুধু অর্থ নয়, চোখের পানির বদৌলতেও অনেক গরিব মিসকিন বান্দা আল্লাহর ঘর তওয়াফের সৌভাগ্য লাভ করেন। প্রিয় নবীর রওজা মোবারক জিয়ারত করেন।

হজ পালন করার জন্য কিছু বিধানাবলী রয়েছে। হজ আদায়ে ইচ্ছুক ব্যক্তিদের জন্য এসব বিধানের প্রতি লক্ষ রাখা আবশ্যক। 

হজের ফরজ:

হজের ফরজ তিনটি। যথা:- (১) ইহরাম বাঁধা  (২) উ’কুফেউক (আরাফার ময়দানে অবস্থান করা) (৩) তাওয়াফে জিয়ারাত (চার চক্কর পরিমাণ)।

(১) ইহরাম বাঁধা অর্থাৎ হজের নিয়ত করা: হে আল্লাহ! আমি হজ উমরা এবং কাবাগৃহ তাওয়াফের জন্য নিয়ত করলাম। তুমি তা কবুল কর।

ইহরাম বাঁধার নিয়ম: হজ ও ওমরাহর আমলগুলোর মধ্যে সর্বপ্রথম আমল হলো ইহরাম বাঁধা। ইহরাম বাঁধার নিয়ম হলো, হজ অথবা ওমরাহর নিয়তে সেলাইকৃত কাপড় খুলে সেলাইবিহীন দুটি চাদর পরিধান করে ‘তালবিয়াহ’ পাঠ করা, শরীয়তের পরিভাষায় একেই ‘ইহরাম’ বলা হয়। ইহরাম বাঁধার উত্তম পদ্ধতি হলো, যখন ইহরাম বাঁধার ইচ্ছা করবে তখন প্রথমে গোসল অথবা ওজু করবে, নখ কাটবে, বগল ও নাভির নিচের চুল পরিষ্কার করবে এবং মাথা ও দাড়ি চিরুনি করে সর্ববিষয়ে পরিচ্ছন্নতা অর্জন করবে। 

ইহরামের জন্য দুটি নতুন অথবা ধোলাই করা পরিষ্কার চাদর হওয়া সুন্নত। একটি চাদর দিয়ে লুঙ্গি বানাবে অন্যটি দিয়ে চাদর বানাবে। ইহরামের কাপড় পরিধান করার পর নামাজের মাকরুহ সময় না হলে মাথা ঢেকে দুই রাকাআত নফল নামাজ আদায় করা মুস্তাহাব। নামাজ পড়ে মাথার কাপড় খুলে ফেলবে এবং যেই হজের ইচ্ছা করবে মনে মনে সেই হজের নিয়ত করে ইহরামের ‘তালবিয়াহ’ পাঠ করবে।

তালবিয়ার উচ্চারণ: 

‘লাব্বাইকা আল্লাহুম্মা লাব্বাইক, লাব্বাইকা লা-শারিকালাকা লাব্বাইক, ইন্নাল হামদা ওয়ান নি’মাতা, লাকা ওয়াল মুল্‌ক লা-শারিকালাক’।

(২) আরাফাহ ময়দানে অবস্থান করা:  জিলহজ মাসের ৯ তারিখ ফজরের পর থেকে সূর্যাস্ত যাওয়া পর্যন্ত আরাফাতের ময়দানে অবস্থান করা।

(৩) তাওয়াফে জিয়ারাত:  অর্থাৎ মক্কা শরিফ পৌঁছার পর সর্বপ্রথম কাজটি হলো চারবার কাবাগৃহটি প্রদক্ষিণ করা আবার হজের কাজ শেষ করে বাড়িতে ফেরার সময় সর্বশেষ কাজ হলো তিনবার কাবাগৃহ প্রদক্ষিণ করে রওনা হওয়া।

হজের ওয়াজিব:

হজের মধ্যে ওয়াজিব কাজ মোট ৮ টি যথা:- 

(১)  মিকাত থেকে ইহরাম বাঁধা: ইবনু ‘আববাস (রা.) থেকে বর্ণিত যে, নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মদিনাবাসীদের জন্য মিকাত নির্ধারণ করেন যুল-হুলায়ফাহ, সিরিয়াবাসীদের জন্য জুহফা, ইয়ামানবাসীদের জন্য ইয়ালামলাম ও নাজদবাসীদের জন্য ক্বারণ। উল্লিখিত স্থানসমূহ হজ ও ‘ওমরাহ’র নিয়তকারী সে স্থানের অধিবাসী এবং সে সীমারেখা দিয়ে অতিক্রমকারী অন্যান্য এলাকার অধিবাসীদের জন্য ইহরাম বাঁধার স্থান। আর যে মীকাতের ভেতরের অধিবাসী সে নিজ বাড়ি হতে ইহরাম বাঁধবে। এমনকি মক্কাবাসীরা মক্কা হতেই ইহরাম বাঁধাবে। (সহিহ বুখারী,হাদিস নম্বর:১৫২৯)।

(২) সূর্য অস্ত যাওয়া পর্যন্ত আরাফাতে অবস্থান করা: হজরত আলী (রা.) সূত্রে বর্ণিত তিনি বলেন, অতঃপর তিনি (নবী সা.) উসামাহকে বাহনের পেছনে বসিয়ে মধ্যম গতিতে উষ্ট্রী চালিয়ে গেলেন। এ সময় লোকেরা তাদের উটকে ডানে-বামে মারধর করে হাঁকিয়ে নিয়ে যাচ্ছিল। কিন্তু তিনি তাদের দিকে ভ্রুক্ষেপ না করে বলতে লাগলেন, শান্ত গতিতে চলো হে মানুষজন! অতঃপর সূর্য ডুবার পরই তিনি আরাফা থেকে প্রত্যাবর্তন করেন। (সুনানু দাউদ, হাদিস নম্বর: ১৯২২)।

(৩) আরাফায় অবস্থান করা: আরাফার দিন শেষে ঈদের রাত ফজর পর্যন্ত মুযদালিফায় অবস্থান করা যতক্ষণ আকাশ প্রস্ফুটিত না হয়। তবে নারী ও দুর্বল পুরুষদের জন্য মধ্য রাতের পর মুযদালিফা ত্যাগ করা বৈধ আছে। 

আবদুল্লাহ ইবনু ওমার (রা.) তাঁর পরিবারের দুর্বল লোকদের আগেই পাঠিয়ে দিয়ে রাতে মুযদালিফাতে মাশ‘আরে হারামের নিকট অবস্থান করতেন এবং সাধ্যমত আল্লাহর জিকির করতেন। অতঃপর ইমাম (মুযদালিফায়) অবস্থান করার ও রওয়ানা হওয়ার আগেই তারা (মিনায়) ফিরে যেতেন। তাদের মধ্যে কেউ মিনাতে আগমন করতেন ফজরের সালাতের সময় আর কেউ এরপরে আসতেন, মিনাতে এসে তারা কঙ্কর মারতেন। ইবনু ‘ওমার রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু বলতেন, তাদের জন্য রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কড়াকড়ি শিথিল করে সহজ করে দিয়েছেন। (সহিহ বুখারি, হাদিস নম্বর: ১৬৭৬)।

(৪) আইয়ামে তাশরিকের অর্থাৎ (১১.১২ ও ১৩ তারিখের ) রাত্রিগুলি মিনা এলাকায় কাটানো: ইবনু ‘ওমার (রা.) হতে বর্ণিত যে, ‘আববাস (রা.) পানি পান করানোর জন্য মিনার রাতগুলোতে মক্কায় অবস্থানের ব্যাপারে নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট অনুমতি চাইলেন। তিনি তাকে অনুমতি দিলেন। (সহিহ বুখারি, হাদিস নম্বর: ১৭৪৫)।

(৫) আইয়ামে তাশরিকের দিনগুলোতে তিন জামারাতেই কঙ্কর তথা পাথর নিক্ষেপ করা:
ইবনু ওমার (রা.) হতে বর্ণিত যে, তিনি প্রথম জামরায় সাতটি কঙ্কর নিক্ষেপ করতেন এবং প্রতিটি কঙ্কর নিক্ষেপের সঙ্গে তাকবির বলতেন। তারপর সামনে অগ্রসর হয়ে সমতল ভূমিতে এসে কিবলামুখী হয়ে দীর্ঘক্ষণ দাঁড়াতেন এবং উভয় হাত তুলে দোয়া করতেন। অতঃপর মধ্যবর্তী জামরায় কঙ্কর মারতেন এবং একটু বাঁ দিকে চলে সমতল ভুমিতে এসে কিবলামুখী দাঁড়িয়ে উভয় হাত উঠিয়ে দোয়া করতেন এবং দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকতেন। এরপর বাতনে ওয়াদী হতে জামরায়ে ‘আকাবায় কঙ্কর মারতেন। এর কাছে তিনি বিলম্ব না করে ফিরে আসতেন এবং বলতেন, আমি নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে এরূপ করতে দেখেছি।  (সহিহ বুখারি, হাদিস নম্বর: ১৭৫১)।

(৬) দশ তারিখ ঈদের দিনে জামারাতুল আকাবাতে বা সর্বশেষ বড় পাথর মারার স্থানে পাথর নিক্ষেপ করে মাথার চুল মুণ্ডন করা অথবা ছোট করা: আবদুল্লাহ ইবনু ওমার (রা.) হতে বর্ণিত তিনি বলেন, নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মাথা কামালেন এবং সহাবিদের একদলও। আর অন্য একটি দল চুল ছোট করলেন। (সহিহ বুখারি, হাদিস নম্বর: ১৭২৯)। 

(৭) শুধু মাত্র কিরান ও তামাততু হজ পালনকারীদের জন্য হাদয়ী তথা হজের কোরবানি করা। 

৮. সবার জন্য বিদায়ী তাওয়াফ করা: ইবনু ‘আববাস (রা.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, লোকেদের আদেশ দেয়া হয় যে, তাদের শেষ কাজ যেন হয় বাইতুল্লাহর তাওয়াফ। তবে এ হুকুম ঋতুকালীন নারীদের জন্য শিথিল করা হয়েছে। (সহিহ বুখারি, হাদিস নম্বর: ১৭৫৫)।

হজের সুন্নতসমূহ:

(১) মিকাতের বাইরে থেকে আগত ইফরাদ ও কেরান হজ পালনকারীর জনু তাওয়াফে কুদুম করা। (ইফরাদ হজ পালনকারী মক্কা পৌঁছে এবং কেরা হজ পালনকারী ওমরার কার্য সম্পাদন করে মাথার চুল না কেটেই তাওয়াফে কুদুম করবে। 

(২) তাওয়াফে কুদুমের পর যদি হজের সায়ী করার ইচ্ছা থাকে, তবে তাতে রমল ও ইযতিবা করা (আর তাওয়াফে কুদুমের পরে হজের সায়ী করার ইচ্ছা না থাকলে তাতে রমল ও ইযতিবা করতে হবে না।

(৩)  সাফা মারওয়ায় সায়ীর সময় সবুজ দুপিলারের মধ্যবর্তী স্থান পুরুষের জন্য দৌঁড়ে অতিক্রম করা এবং অবশিষ্ট স্থান হেঁটে চলা।

(৪)  ৮ জিলহজ বাদ ফজর মিনার উদ্দেশ্যে রওয়া হওয়া এবং তথায় পাঁচ ওয়াক্ত সালাত (নামাজ) আদায় করা। (ভিড় এড়াবার লক্ষ্যে বা অন্য কোনো কারণে ফজরের পূর্বে ও রাতে রওনা দেয়াও জায়েজ।)

(৫) ৯ জিলহজ সূর্যোদয়ের পর মিনা হতে আরাফার উদ্দেশ্যে রওয়ানা হওয়া। পূর্বে ও রাতে যাওয়াও  দিবাগত রাত্রে মুযদালিফায় থাকা। (কোনো অসুবিধার কারণে বা  ভিড় এড়াবার লক্ষ্যে বা অন্য কোনো কারণে ফজরের পূর্বে ও রাতে রওনা হওয়াও জায়েজ।)

(৬) আরাফা থেকে সূর্যাস্তের পর ধীরস্থীরভাবে মুযদালিফার উদ্দেশ্যে রওয়ানা হওয়া। 

(৭) ৯ যিলহজ্জ সূর্যাস্তের পর আরাফা থেকে মুযদালিফায় এসে রাতযাপন করা। (উল্লেখ্য, মুযদালিফায় সুবহে সাদিক থেকে সূর্যোদয় পর্যন্ত সময়ের মধ্যেই কিছুক্ষণ উকুফ বা অবস্থান করা ওয়াজিব, সুবহে সাদিকের পূর্বে অবস্থান করা সুন্নাতে মুয়াক্কাদাহ।)

(৮) আরাফার ময়দানে গোসল করা। 

(৯)  ৮ যিলহজ দিনগত রাতসহ মিনায় অবস্থানের দিনগুলোয়তে রাতযাপনও মিনাতে করা। উক্ত সুন্নতসমূহ থেকে কোনো সুন্নত স্বেচ্চায় ছেড়ে দেয়া ঠিক নয়। অবশ্য ছেড়ে দেয়ার দ্বারা সদকা ইত্যাদিও ওয়াজিব হবে না, তবে সওয়াব থেকে বিরত হবে। এ ছাড়াও বিভিন্ন আমলের মাঝে আরো অনেক সুন্নত রয়েছে।

ইহরাম অবস্থায় বর্জনীয় বা নিষিদ্ধ কাজ: 

ইহরাম অবস্থায় ব্যক্তিকে যে বিষয়গুলো থেকে বিরত থাকতে হয়। যেমন-

(১) মাথার চুল মুণ্ডন করা: ‘আর তোমরা ততক্ষণ পর্যন্ত মাথা মুণ্ডন করবে না, যতক্ষণ না কোরবানির পশু যথাস্থানে পৌঁছে যাবে।’ (সূরা: আল বাকারা, আয়াত: ১৯৬)। আলেমরা মাথার চুলের সঙ্গে শরীরের সমস্ত পশমকে অন্তর্ভুক্ত করেছেন। অনুরূপভাবে নখ কাটা ও ছোট করাকেও এর অন্তর্ভুক্ত করেছেন।

(২) ইহরাম বাঁধার পর সুগন্ধি ব্যবহার করা: কাপড়ে হোক কিংবা শরীরে হোক, খাবারদাবারে হোক কিংবা গোসলের সামগ্রীতে হোক কিংবা অন্য যেকোনো কিছুতে হোক। অর্থাৎ ইহরাম অবস্থায় সুগন্ধি ব্যবহার করা হারাম। 

(৩) সহবাস করা: ‘হজের নির্দিষ্ট কয়েকটি মাস আছে। যে ব্যক্তি সেসব মাসে নিজের ওপর হজ অবধারিত করে নেয় সে হজের সময় কোনো যৌনাচার করবে না, কোনো গুনাহ করবে না এবং ঝগড়া করবে না।’ (সূরা: আল বাকারা, আয়াত: ১৯৭)।

(৪) উত্তেজনাসহ স্ত্রীকে ছোঁয়া। 

(৫) কোনো শিকার হত্যা করা: ‘হে ঈমানদাররা! তোমরা ইহরাম অবস্থায় শিকার বধ করো না।’ (সূরা: মায়েদা, আয়াত: ৯৫)।

(৬) ইহরাম অবস্থায় পুরুষের জন্য বিশেষ নিষিদ্ধ বিষয়াবলীর মধ্যে রয়েছে, জামা, টুপি, পায়জামা, পাগড়ি ও মোজা পরিধান করা। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে যখন জিজ্ঞেস করা হয়েছে মুহরিম কি পরিধান করবে; তখন তিনি বলেন, ‘মুহরিম ব্যক্তি জামা, টুপি, পায়জামা, পাগড়ি ও মোজা পরিধান করবে না। তবে যে ব্যক্তির পরার মতো লুঙ্গি নেই নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে পায়জামা পরার অনুমতি দিয়েছেন এবং যার জুতা নেই তাকে মোজা পরার অনুমতি দিয়েছেন।

(৭) ইহরাম অবস্থায় নারীদের জন্য বিশেষ নিষিদ্ধ বিষয়াবলীর মধ্যে রয়েছে নেকাব। নেকাব হচ্ছে এমনভাবে মুখ ঢাকা যাতে চোখ দুটো ছাড়া আর কিছু দেখা যায় না। অনুরূপভাবে স্কার্ফ পরাও নিষিদ্ধ। ইহরাম অবস্থায় নারীরা নেকাব বা স্কার্ফ পরবে না। নারীর মুখ খোলা রাখা শরীয়তসঙ্গত। তবে বেগানা পুরুষের পাশ দিয়ে অতিক্রমকালে মুখ ঢেকে নেবে; যে কাপড় দিয়ে মুখ ঢাকবে সেটা যদি মুখ স্পর্শ করে তাতে কোনো অসুবিধা নেই। 

তথ্যসূত্র: হজের ফজিলত ও মাসায়েল

নিউজওয়ান২৪.কম/এমজেড