ঢাকা, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪
সর্বশেষ:

সিরিজ সমতায় টাইগাররা

স্পোর্টস ডেস্ক

প্রকাশিত: ২১:১৪, ২০ ডিসেম্বর ২০১৮  

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

টেস্ট ও ওয়ানডে সিরিজ খুয়িয়ে টি-টোয়েন্টিতে ঘুরে-দাঁড়িয়েছে সফরকারী ওয়েস্ট ইন্ডিজ। প্রথম ম্যাচে আট উইকেটের বড় ব্যবধানে হারের পর সিরিজে টিকে থাকতে আজ জয়ের কোনো বিকল্প ছিল না টাইগারদের। আগে ব্যাট করে বড় স্কোর সংগ্রহ করে বাংলাদেশ। আর এই বড় সংগ্রহে সিরিজে সমতা আনল। টি-টোয়েন্টি সিরিজে ১-১ সমতায় আছে বাংলাদেশ- উইন্ডিজ।

টাইগাররা জয়ের জন্য ২১২ রানের বড় লক্ষ্য দেয় উইন্ডিজের সামনে যা ক্যারিবীয়দের বিপক্ষে সর্বোচ্চ রান। বড় রানের জবাবে ব্যাটিংএ নেমে ঝড় দেখালেও শেষ পর্যন্ত হারল সফরকারীরা। ১৯.২ ওভারে সব উইকেট হারিয়ে ১৭৫ রানে থেমে যায় ক্যারিবীয়রা। ৩৬ রানের জয় পায় টাইগাররা।

শুরুতেই মাঠে আসেন এভিল লুইস ও শাই হোপ। কিন্তু টাইগার তোপে দাড়াতেই পারলেন না। মাত্র ১ রানে আবু হায়দার রনির বলে লিটন দাসের হাতে বল তুলে দিয়ে ফিরে গেলেন। কিন্তু হোপ-পুরানের ব্যাটে দলীয় অর্ধশত পার করল ক্যারিবীয়রা। সাকিবের বলেই ক্যাচ তুলে দিয়ে ফিরল নিকোলেস পুরান। সাকিবের পর ক্যারিবীয় শিবিরে মিরাজের আঘাত।

বিদায় করলেন ভয়ংকর হোপকে। মিরাজের বলে লিটন দাসের হাতে বল তুলে দিয়ে ৩৬ রানে ফিরে গেলেন হোপ। ক্যারিবীয় শিবিরে দ্বিতীয় সাকবের দ্বিতীয় আঘাত ফিরলেন হেটমেয়ার। হেটমেয়ারের পরে আবার সেই সাকিব। ফেরালেন ব্রাভোকে। সাকিবের চতুর্থ শিকার হলেন ক্যারিবীয় ক্যাপটেন ব্রেথওয়েট। মাত্র ৭ রানে ফিরতে হলো তাকে। আবারো সাকিব। ফেরালেন ফেবিয়ান এলেনকে। তুলে নিলেন পাঁচ উইকেট। পাওয়েলে আশা দেখছিল সফরকারীরা। কিন্তু তা থামিয়ে দিল কাটার মাস্টার মুস্তাফিজ। ৫০ রানে ফিরালেন তাকে। আবারো মুস্তাফিজ ফেরালেন পলকে। এরপর আসেন মাহমুদউল্লাহ। থমাসকে আউট করে ১৭৫ রানে থামিয়ে দেন ক্যারিবীয়দের ইনিংস।

তিন ম্যাচ সিরিজের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নামে বাংলাদেশ। আগের দিনের ব্যাটিং ব্যর্থতা ভুলে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতেই ঘুরে দাঁড়ায় ব্যাটসম্যানরা। শুরুতে লিটন-সৌম্যের পর সাকিব-রিয়াদের দায়িত্বপূর্ণ কিন্তু ঝড়ো ইনিংসে বড় সংগ্রহ গড়ে বাংলাদেশ।

শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করে বাংলাদেশ। ঝড়ো সূচনা করেন লিটন দাস। চার ছয় ও পাঁচ চারে তুলে নিয়েছিলেন অর্ধশতক। তবে শেষ পর্যন্ত আর বড় করতে পারেননি ইনিংস। সৌম্য সরকারের বিদায়ের পর কটরেলের বলে সরাসরি বোল্ড হয়ে ফিরেছেন তিনি। যাওয়ার আগে খেলেছেন ৩৪ বলে ৬০ রানের দারুণ এক ইনিংস। অন্য প্রান্তে ঝড় তোলা শুরু করেছিলেন সৌম্যও। তার ২২ বলে ৩২ রানের ইনিংসটি শেষ হয় কটরেলের বলে রোভম্যানের এক দুর্দান্ত ক্যাচে। কভারে জোড়ালো তার শটটি বেশ দুর্দান্তভাবে ক্যাচ ধরেন তিনি।

লিটন দাসের পর ম্যাচের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে না নিয়ে আক্রমণ শানাতে যান মুশফিক। থমাসের বলে মিড অনে অ্যালেনের হাতে ধরা পড়েছেন। এরপর অবশ্য সাকিব-রিয়াদে ভর করে রানের চাকা সচল রাখে বাংলাদেশ। শেষ পর্যন্ত সাকিব ২৬ বলে ৪২ ও রিয়াদ ২৩ বলে ৪৩ রানে অপরাজিত থাকেন।

এর আগে তামিম ইকবাল ১৫ রানে কটরেলের বলে অ্যালেনকে ক্যাচ দিয়ে ফিরেছেন। ব্যাট করতে নেমে ম্যাচের তৃতীয় ওভারেই জীবন পান তামিম ইকবাল। কটরেলের অফ সাইডের বলটি শট খেলবেন কি খেলবেন না করতে করতেই কভারে ক্যাচ দিয়ে বসেন তামিম। কিন্তু ভাগ্য সুপ্রসন্নই বলতে হবে। কভারে দাঁড়িয়ে থাকা ফিল্ডার অ্যালেন তালুবন্দি করতে পারেননি।

নিউজওয়ান২৪/এএস

খেলা বিভাগের সর্বাধিক পঠিত