যেভাবে এলো জাতীয় পতাকা
নিজস্ব প্রতিবেদক
ফাইল ছবি
জাতীয় পতাকা প্রত্যেকটি দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের প্রতীক। এ পতাকার মাধ্যমেই দেশ-বিদেশে নির্দিষ্ট একটি জাতিগোষ্ঠী তথা স্বাধীন দেশের অস্তিত্ব প্রকাশ পায়। জাতীয় পতাকা ছাড়া বর্তমান বিশ্বে কোনো স্বতন্ত্র রাষ্ট্রের কথা কল্পনাই করা যায় না।
জাতীয় পতাকার বহু আগে যুদ্ধের ময়দানে বিভিন্ন দেশের সৈন্যরা নিজেদের স্বতন্ত্র উপস্থিতি প্রকাশের জন্য বিশেষ এক ধরনের পতাকা উত্তোলন করত। সাধারণত একটি লাঠি বা দণ্ডের মাথায় যে কোন রঙিন কাপড়ের টুকরা বেঁধে দন্ডটাকে পুঁতে দেয়া হতো। যাতে করে সৈন্যরা দূর হতে তাদের তাবু সনাক্ত করতে পারে।
যতদূর জানা যায়, এ ধরনের পতাকা ব্যবহারের প্রথম প্রচলন হয় আসিরীয় ও পারসিকদের মধ্যে এবং সময়টাও মধ্যযুগের বেশ খানিকটা আগে।কাপড়ের পতাকার আগে প্রাচীনকালে ব্যবহৃত হতো কাঠের গায়ে খোদাই করা এক ধরনের মূর্তি যাতে একেকটি গোত্র বা প্রাচীন রাষ্ট্রের স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্য প্রকাশ পেত। সেক্ষেত্রে রোম সাম্রাজ্যে কাপড়ের তৈরি পতাকা ব্যবহৃত হয় সর্বপ্রথম।আধুনিক চিন্তা-চেতনানুসারে ১২১৯ সালে প্রথম জাতীয় পতাকার প্রচলন হয় ডেনমার্কে।
পরবর্তীকালে, সুইজারল্যান্ডে জাতীয় পতাকার প্রচলন হয় ১২৪০ সালে। এরপর সে পথ অনুসরণ করতে থাকে যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপের অন্যান্য দেশ। তারই পরিপ্রেক্ষিতে ১৭৮৯ সালে ফরাসি বিপ্লবের পর সাম্য, মৈত্রী ও স্বাধীনতার চিহ্ন সংবলিত পতাকার প্রচলন করে ইতালি। অবশ্য জাতীয় পতাকা ব্যবহারের ক্ষেত্রে যে ব্যতিক্রম নেই তা নয়।সেটা হলো, বৃটেনের চারটি প্রদেশ ইংল্যান্ড, স্কটল্যান্ড ওয়েলস ও উত্তর আয়ারল্যান্ড স্বাধীন না হয়েও ব্যবহার করে আলাদা আলাদা নিজস্ব পতাকা!
বিশ্বের এক দেশের জাতীয় পতাকার সঙ্গে আরেক দেশের পতাকার হুবহু মিল নেই। তবে রঙের ব্যবহারের ক্ষেত্রে বহু দেশের পতাকায় মিল লক্ষ্য করা যায়।যেমন, চেক প্রজাতন্ত্র, রাশিয়া, স্লোভেনিয়া, ক্রোয়েশিয়া, অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড, যুক্তরাজ্য, নেদারল্যান্ডস ও যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় পতাকায় লাল, সাদা ও নীল রঙের সমন্বয় সাধন করা হয়েছে।আফ্রিকার দেশ ক্যামেরুন, মালি ও সেনেগালের জাতীয় পতাকা ব্যবহার করা হয় লাল, হলুদ ও সবুজ রং।
পক্ষান্তরে আরব দেশ বিশেষ করে মিশর, ইরাক ও ইয়েমেনের জাতীয় পতাকায় ব্যবহার করা হয় সাদা, লাল ও কালো রং। লিবিয়ার জাতীয় পতাকা একটি রঙের হলেও নর্দান মারিয়ানা আইল্যান্ডের পতাকায় কয়টি রঙের ব্যবহার আছে।তবে বিশ্বের তিনটি দেশের জাতীয় পতাকার আকারে বিশেষ বৈশিষ্ট্য রয়েছে। যেমন- নেপালের জাতীয় পতাকা আয়তাকার না হয়ে প্রায় ত্রিকোণাকার বিশিষ্ট দু’টি অংশের এবং দু’টি প্রতীকের সমন্বয়ে তৈরি। সুইজারল্যান্ড ও ভ্যাটিকান সিটির পতাকা আবার নিখুঁত বর্গাকৃতির।
নিউজওয়ান২৪/জেডএস
- বাঙালির বংশ পদবীর ইতিহাস
- গন্ধভাদালি লতার উপকারিতা
- মিশরীয় সভ্যতা এবং নীল নদ
- ‘ময়ূর সিংহাসন’
- ব্যবহারের আগে জানুন প্লাস্টিক বোতলে চিহ্নের মানে কী
- মধ্যযুগের ইতিহাস
- পবিত্র কাবা শরীফের অজানা যত তথ্য
- হ্যালুসিনেশন আসলে কী, রোগ না অন্য কিছু?
- পিরামিডের অজানা তথ্য…
- বিকাশ নগদ এবং রকেট’র ভুল নম্বরে টাকা চলে গেলে ফেরত পাবেন যেভাবে
- চুম্বকের আদ্যোপান্ত...
- ‘চুম্বন’ আদর ও ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশ
- ‘রক্ত’ রঙের রহস্য...
- ‘ধানমন্ডি’ নামকরণের ইতিহাস
- মানুষের পর বুদ্ধিমান প্রাণী...