ঢাকা, ২৯ মার্চ, ২০২৪
সর্বশেষ:

যে দেশের জেলখানায় একজন কয়েদিও নেই!

প্রকাশিত: ১৪:২৫, ১০ মার্চ ২০১৯  

কয়েদিহীন জেলখানা

কয়েদিহীন জেলখানা

২০১৬ সালে দেশটিতে মোট কয়েদির সংখ্যা ছিল মাত্র ১৯ জন। ২০১৮ তে এসে তা দাঁড়ায় শূন্যের কোঠায়। অর্থাৎ বর্তমানে দেশটির কোনো জেলখানায় ‘হারিকেন দিয়ে খুঁজেও’ একজন কয়েদির সন্ধান পাবেন না আপনি। 

সোজা কথায় বলা যায়, বর্তমানে দেশটির কারারক্ষীরা ‘মাছি মারা’ ছাড়া আর কাজ পাচ্ছে না। দেশটির সরকার জানিয়েছে, আগামী ৫ বছরের মধ্যে সেখানে অপরাধ কর্মকাণ্ড কমে আসবে ০.৯%। এমন অবস্থায় দেশটির জেলকর্মীরা চাকরি হারানোর শঙ্কায় রয়েছেন। 

এক কোটি ৭১ লাখ জনসংখ্যার এই দেশটির নাম নেদারল্যান্ডস। 

সম্প্রতি টেলিগ্রাফের এক প্রতিবেদনে জানা যায়, নেদারল্যান্ডসের সবগুলো জেলখানা এখন কয়েদিশূন্য সুনসান অবস্থায় রয়েছে। দেশটির জেলখানাগুলোয় মোটমাট দুই হাজার কর্মচারী নিযুক্ত ছিল। কিন্তু বন্দিখানাগুলোয় কয়েদি কমতে থাকায় তাদের মধ্য থেকে ৭০০ জনকে সরকারের অন্যান্য সংস্থায় বদলি করা হয়। কিন্তু কয়েদিসংখ্যা শূন্যের কোটায় নেমে আসায় এখন বাদবাকি ১৩০০ জনের চাকরি টিকে থাকাও শংকার মুখে পড়েছে। নেদারল্যান্ড সরকার তাদের জন্য অন্যত্র চাকরির তালাশ করছে। 

প্রসঙ্গত, নেদারল্যান্ডসকে দুনিয়ার নিরাপদতম স্থানগুলোর একটি হিসেবে ধরা হয়। এখানে সাজা পাওয়া কয়েদিদের নিজ নিজ বাড়িতেই বন্দি বা গৃহবন্দি থাকতে হয়। দেশজুড়ে ইলেক্ট্রনিক অ্যাঙ্কল মনিটরিং সিস্টেম চালু করা হয়েছে যার সূত্রে এসব সম্ভব হচ্ছে। 

এই পদ্ধতিতে কয়েদির পায়ে একটি বিশেষ ধরনের ইলেক্টনিক ডিভাইস পরানো হয়। যদি কোনো কয়েদি তার জন্য নির্দিষ্ট করে দেওয়া স্থান থেকে বাইরে বেরোতে যায় তবে একটি বিশেষ রেডিও ফ্রিকোয়েন্সি (বেতার তরঙ্গ) চলে যায় সংশ্লিস্ট দপ্তরের রিসিভারে। এর ফলে পুলিশ দ্রুতই তাকে ধরে ফেলতে পারে। 

কয়েদিদের বন্দি রাখার এই পদ্ধতির কারণে দেশটিতে ক্রমশ খালি হয়ে যেতে থাকে কয়েদখানাগুলো; একই সঙ্গে অপরাধের মাত্রাও কমতে থাকে। খালি হয়ে যাওয়া জেলখানার বেশ কয়েকটিতে আজকাল খোলা হয়েছে স্কুল ও কফিশপ।