ঢাকা, ১৬ এপ্রিল, ২০২৪
সর্বশেষ:

মুশফিকের ব্যাটে ডাবল সেঞ্চুরির রেকর্ড

স্পোর্টস ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৫:২৮, ১২ নভেম্বর ২০১৮  

ডাবল সেঞ্চুরির পর মুশফিকের উল্লাস

ডাবল সেঞ্চুরির পর মুশফিকের উল্লাস


সিকান্দার রাজার করা বলটি মিড উইকেটে ঠেলে দিয়ে দ্রুত প্রান্ত বদল করেন মুশফিকুর রহিম। এই সিঙ্গেলের মধ্য দিয়ে ডাবল সেঞ্চুরি পূর্ণ হলো ডানহাতি এই ব্যাটসম্যানের।

ডাবল সেঞ্চুরি পূর্ণ হওয়ার পরপরই বাঁধভাঙা উদযাপনে মাতেন মুশফিক। হোম অব ক্রিকেটের গ্যালারিতে থাকা দর্শকরাও করতালি দিয়ে পালটা অভিবাদন জানায় মুশফিককে। আর জানাবেই বা না কেন? চোখ জুড়িয়ে যাওয়া ব্যাটিংয়ে মুশফিক যে মুগ্ধ করেই রেখেছিলেন গ্যালারির প্রত্যেকটি দর্শককে। নিঃসন্দেহে টিভি সেটের সামনে বসে থাকা দর্শকদের চোখও জুড়িয়েছে মুশফিকের এমন নান্দনিক ব্যাটিংয়ে।

মনোমুগ্ধকর এই ডাবল সেঞ্চুরি দিয়ে একটি রেকর্ডের চূড়াতেও জায়গা করে নিয়েছেন মুশফিক। মিরপুর টেস্ট দিয়ে একমাত্র বাংলাদেশি হিসেবে টেস্টে দুইবার ডাবল সেঞ্চুরি করার রেকর্ড গড়েছেন মুশফিক।

এর আগে ২০১৩ সালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে তাদের মাটিতে মুশফিক পেয়েছিলেন ক্যারিয়ারের প্রথম ডাবল সেঞ্চুরির স্বাদ। যা বাংলাদেশের ক্রিকেট ইতিহাসেও ছিল প্রথম ডাবল সেঞ্চুরি। পাঁচ বছর পর আবারও ডাবল সেঞ্চুরির স্বাদ পেয়েছেন মুশফিক। সবমিলিয়ে এটা বাংলাদেশের ক্রিকেট ইতিহাসে চতুর্থ ডাবল সেঞ্চুরি। মাঝে নিউজিল্যান্ড ও পাকিস্তানের বিপক্ষে ডাবল সেঞ্চুরির স্বাদ পেয়েছিলেন সাকিব আল হাসান ও তামিম ইকবাল।

অসাধারণ ধারাবাহিকতার জন্য মুশফিককে ডাকা হয় ‘মিস্টার ডিপেন্ডেবল’ নামে। বাংলাদেশ দল যখনই বিপদে পড়ে, তখনই হেসে ওঠে তারর ব্যাট। খাদের কিনারা থেকে দলকে যে কতবার টেনে তুলেছেন তার হিসাব নেই। ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় ডাবল সেঞ্চুরির পথেও দলকে খাদের কিনারা থেকেই টেনে তুলেছেন মুশফিক।

দলীয় ২৬ রানে তিন উইকেট হারালেও মুমিনুল হক ও মুশফিকুর রহিমের ব্যাটে এই টেস্টের প্রথম দিনটা নিজেদের করে নেয় বাংলাদেশ। দিন শেষে পাঁচ উইকেট হারিয়ে স্কোরকার্ডে জমা হয় ৩০৩ রান। মুশফিক-মুমিনুল দুজনই পান সেঞ্চুরি। সেই সঙ্গে চতুর্থ উইকেটে গড়েন রেকর্ড ২৬৬ রানের জুটিও।

মুমিনুল ১৬১ রানে ফিরে গেলেও ১১১ রানে অপরাজিত থেকেই মাঠ ছাড়েন মুশফিক। দ্বিতীয় দিনের শুরুতে সাবধানী ছিলেন মুশফিক। জিম্বাবুয়ের বোলারদেরকে সামলাতে ওই সময় রানের চাকা কিছুটা মন্থরই ছিল বাংলাদেশের। তবে দ্বিতীয় সেশনে খোলস ছেড়ে বেরিয়ে আসেন মুশফিক।

৩৩৪ বলে ১৩ বাউন্ডারিতে দেড়শ ছুঁয়ে ফেলেন মুশফিক। দেড়শ পেরোনোর পর আরেকটু আক্রমণাত্মক হন মিডল অর্ডারে বাংলাদেশ দলের এই ভরসা। দ্বিতীয় সেশন শেষ হওয়ার আগে ৩৯৩ বলে মুশফিকের রান ছিল ১৯৫ রান। দিনের শেষ সেশনে চার ওভার খেলা হতেই ডাবল সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন মুশফিক। 

৪০৭ বলে মুশফিক পূর্ণ করেন ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় ডাবল সেঞ্চুরি। ছিল ১৬টি চার ও একটি ছক্কার মার। ষষ্ঠ উইকেটে মাহমুদউল্লাহর সঙ্গে গড়েছিলেন ৭৩ রানের জুটি। অষ্টম উইকেটে মেহেদী হাসান মিরাজের সঙ্গে গড়েন ১০৮ রানের জুটি। এখনও ব্যাট করে চলেছে এই জুটি। হাফ সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন মিরাজও।

মুশফিক-মিরাজের ব্যাটে চড়ে বড় সংগ্রহের পথেই এগোচ্ছে বাংলাদেশ। ১৫৪ ওভার শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ সাত উইকেটে ৪৮৬ রান। মুশফিক ২০০ ও মিরাজ ৫১ রানে অপরাজিত আছেন।

নিউজওয়ান২৪/এমএম

খেলা বিভাগের সর্বাধিক পঠিত