ঢাকা, ১৬ এপ্রিল, ২০২৪
সর্বশেষ:

মিজান হত্যা, দুইজনের বিরুদ্ধে চার্জশিট

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১৫:২১, ২৪ মার্চ ২০১৯  

ফাইল ছবি

ফাইল ছবি

হাইওয়ে রেঞ্জের সাভার সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) মিজানুর রহমান তালুকদার হত্যা মামলায় দুই ছিনতাইকারীর বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেছে পুলিশ।

রোববার মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (পশ্চিম) ইন্সপেক্টর সিরাজুল ইসলাম ঢাকা মহানগর হাকিম মোর্শেদ আল মামুন ভুঁইয়ার আদালতে এ চার্জশিট জমা দেন।

আদালত পলাতক আসামি ফারুক হাওলাদারের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে আগামী ২৫ এপ্রিল এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য দিন ধার্য করেছেন।

রূপনগর থানা আদালতের সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা (জিআরও) পুলিশের উপ-পরিদর্শক আলতাফ হোসেন পরিবর্তন ডটকমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

চার্জশিটভুক্ত দুই আসামি হলেন, শাহ আলম ও ফারুক হাওলাদার। শাহ আলম গ্রেফতার হয়ে কারাগারে আছেন। আর ফারুক পলাতক রয়েছেন। তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা। এ মামলায় ২১ জনকে সাক্ষী করা হয়েছে।

মারা যাওয়া দুই অভিযুক্তকে মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। তারা হলেন—জাকির হোসেন ও এনামুল হক। তারা গত ২৬ জুলাই পালাতে গিয়ে ডিবি পুলিশের গুলিতে নিহত হন।

পুলিশের দাবি, এএসপি মিজানুর রহমান তালুকদারকে চার ছিনতাইকারী মিলে হত্যা করে। আসামি ‘মিন্টু, কামাল ওরফে ফারুক, জাকির ও শাহ আলম ছিনতাইয়ের উদ্দেশ্যে ২০১৭ সালের ২১ জুন ফজরের আজানের পর উত্তরার তিন নম্বর সেক্টরে একটি মসজিদের পাশে প্রাইভেটকারে যাত্রীবেশে বসে ছিল।

মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, এএসপি মিজানুর রহমান সে সময় ওই পথ দিয়ে যাচ্ছিলেন। তখন ছিনতাইকারীরা তাকে গাড়িতে তুলে নেয়।

মিজানুর রহমান গাড়িতে ওঠার পর ফারুক বুঝতে পারে তিনি সরকারি সংস্থার লোক। এ অবস্থায় তারা গাড়িতে জোরে গান ছেড়ে ও লাইট বন্ধ করে গাড়ি চালিয়ে যায়। জসীম উদ্দিন রোড হয়ে প্রথমে হাউজ বিল্ডিং ও পরে উত্তরা ১০ নম্বর সেক্টরের দিকে যায়। গাড়ির পেছনের সিটে বসা মিন্টু এক পর্যায়ে এএসপি মিজানের মাথায় লাঠি দিয়ে আঘাত করে।

পেছনের সিটে বসা ফারুক ও মিন্টুও এএসপি মিজানের সঙ্গে ধস্তাধস্তি করছিল। এ সময় একজন গাড়িতে থাকা ঝুট কাপড়ের ফিতা দিয়ে মিজানের গলা পেঁচিয়ে ধরে থাকে। কিছুক্ষণ পর মিজানুর নিস্তেজ হয়ে পড়েন এবং তার সাড়া-শব্দ না পেয়ে ছিনতাইকারীরা ভয় পেয়ে যায়।

পুলিশের ভয়ে তারা ১০ নম্বর সেক্টর থেকে গলি পথ ধরে বেড়িবাঁধ এলাকায় মিজানের লাশ ফেলে পালিয়ে যায়।

২০১৭ সালের ২১ জুন রাজধানীর রূপনগর থানার মিরপুর বেড়িবাঁধের রাস্তার পাশ থেকে এএসপি মিজানুর রহমান তালুকদারের লাশ উদ্ধার করা হয়।

ওই দিন রাতেই নিহতের ছোট ভাই মাসুম তালুকদার রূপনগর থানায় অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন।

নিউজওয়ান২৪/ইরু

আরও পড়ুন
আইন আদালত বিভাগের সর্বাধিক পঠিত