ঢাকা, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪
সর্বশেষ:

মাশরাফির কণ্ঠে দুটি আক্ষেপ

প্রকাশিত: ১২:৪৯, ২১ জুন ২০১৯  

ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে মাশরাফি (ছবি : সংগৃহীত)

ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে মাশরাফি (ছবি : সংগৃহীত)

ক্রিকেট বিশ্বকাপের নিজেদের পঞ্চম ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে লড়াই করেও হেরেছে বাংলাদেশ। 

অজিদের দেয়া ৩৮২ রানের জবাবে টাইগাররা করেছে ৩৩৩। ৪৮ রানে জয় পায় অ্যারন ফিঞ্চের দল।

বাংলাদেশকে যদি ৩২০ বা ৩৪০ রানের টার্গেট দিত অজিরা তাহলে হয়ত জয়টা পেত লাল সবুজের প্রতিধিনিরা! কিন্তু রানটা তো পাহাড়সম, এই স্কোর টপকানো মুখের কথা নয়! ম্যাচ শেষে টাইগার দলপতি মাশরাফি বিন মর্তুজার মুখে ৪০ থেকে ৫০ রান বেশি হওয়ার আফসোস দেখা গেছে!   

উইন্ডিজের বিপক্ষে ৩২১ রানের জবাবে দুর্দান্ত জয় পায় বাংলাদেশ; কিন্তু আবার দেখুন ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ৩৮৬ রানের স্কোর টপকাতে পারেনি টাইগাররা। যদি এই ম্যাচে ইংলিশরা ৩২০ ঊর্ধ্ব রান করত তাহলে হয়ত জয়ের জন্য আত্মবিশ্বাসী থাকত টাইগাররা।

ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে ম্যাশ বলেন, 'ইংল্যান্ড ম্যাচের পরও আমরা একটা জিনিস আলোচনা করেছি, এই উইকেটে যদি আমরা রান ৩০০ বা ৩২০ পর্যন্ত রাখতে পারি (টার্গেট পাই) তাহলে হয়তো আমরা এই স্কোর টপকাতে পারব। কেননা ব্যাটসম্যানদের এরকম মনোভাব রয়েছে; উইকেট আসলে যেভাবে আচরণ করে আর ড্রেসিং রুমেও আমরা এই নিয়ে আলোচনা করছিলাম, আমাদের বিশ্বাস ছিল এমনটা। যেমন উইন্ডিজের বিপক্ষে আমরা ঠাণ্ডা মাথায় ছিলাম যে, ভালো একটা পার্টনারশিপ পেলে হয়ত আমরা জিতে যাব; তাই হলো। এই (অজিদের বিপক্ষে) ম্যাচে আমরা এটাই ফোকাস করছিলাম; যদি বেশি রানও হয় তবে যেন ৩৪০ এর বেশি না যায়! যেমনটা ইংল্যান্ড বা আজকের ম্যাচে (অস্ট্রেলিয়া) হয়েছিল (৩৮১ রান)। আমরা আসলে এত রান চেজ করতে পারিনি। যদি ৩০০বা ৩২০ হতো তাহলে হয়ত ম্যাচ জয়ের সম্ভাবনা থাকত।'   

৪০ ওভারে অজিদের রান ছিল ২৫০ এ; সেখান থেকে শেষ ১০ ওভারে তাদের গিয়ে দাঁড়ায় ৩৮১ তে! মানে ৬০ বলে ১৩১ রান! এই রান যদি হতো ৮০ কিংবা ৯০ তাহলে টাইগাররা টার্গেট পেত ৩৩০ বা ৩৪০। কিন্তু শেষের ১০ ওভারে বাজে বোলিংয়ে অজিরা পাহাড়সম রান দাঁড় করায় বাংলাদেশের সামনে। এই ব্যাপারটি নিয়ে তাই আক্ষেপ ঝরেছে মাশরাফির কণ্ঠে।

নড়াইল এক্সপ্রেস বলেন, 'আমার মনে হয় আমরা ফিল্ডিংয়ে ৪০ থেকে ৫০ রান বেশি দিয়েছি, বিশেষ করে ৪০ ওভারের পর। তা না হলে লক্ষ্য তাড়াটা অন্যরকম হতো, ব্যাটসম্যানদের মাইন্ড সেটআপ অন্যরকম হতো। তবে ডেভিড ওয়ার্নার ও অস্ট্রেলিয়ার অন্য ব্যাটসম্যানদের কৃতিত্ব দিতে হবে।'

এই ম্যাচে দলে ছিল দুটি পরিবর্তন পেস অলরাউন্ডার মোহাম্মাদ সাইফউদ্দিনের বদলে প্রথমবার দলে জায়গা পান রুবেল হোসেন। সাইফ থাকলে হয়তো সঠিক সময়ে ব্রেক থ্রু এনে দিতেন; ম্যাশও তাই মনে করেন-' সাইফ ইনজুরিতে আসলে ম্যাচের ভিতরে (ফিজিও) তাকে দেখার সুযোগ পাইনি। অবশ্যই সে প্রতিটি ম্যাচ উইকেট পাচ্ছিল; কঠিন সময়ে বোলিং করে ব্রেক থ্রু দিয়েছে; শুরুতেও ব্রেক থ্রু দিয়েছে। যেকোনো ইনফর্ম পেলে মিস করা দলের জন্য কঠিন। আর ওর তো ভালো যাচ্ছিল; অবশ্যই সাইফকে মিস করেছি। আশা করি পরবর্তী ম্যাচে তাকে আমরা পাব।'  

বাংলাদেশ হারলেও এ দিন দুর্দান্ত খেলেছেন মুশফিকুর রহীম ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। শেষ পর্যন্ত লড়াই চালিয়েছেন মুশি। পেয়েছেন ক্যারিয়ারের সপ্তম ও বিশ্বকাপের প্রথম সেঞ্চুরি। মুশি ছাড়াও দুর্দান্ত খেলে রিয়াদ খেলেছেন ৬৯ রানের ইনিংস। 

আগামী ২৪ জুন সাউদাম্পটনে আফগানিস্তানের বিপক্ষে নিজেদের সপ্তম ম্যাচে মাঠে নামবে বাংলাদেশ। পয়েন্ট টেবিলের বাংলাদেশের অবস্থান পাঁচে; ছয় ম্যাচে দুই জয়ে আর তিন হারে টাইগারদের পয়েন্ট ৫ (একটি ম্যাচ পরিত্যক্ত)!

নিউজওয়ান২৪.কম/এসডি

খেলা বিভাগের সর্বাধিক পঠিত