ঢাকা, ০২ নভেম্বর, ২০২৫
সর্বশেষ:
টানা পাঁচদিন বৃষ্টির আভাস মুসলিম বিশ্বকে ‘ন্যাটো-ধাঁচের’ নিরাপত্তা কাঠামো গঠনের প্রস্তাব তিস্তা প্রকল্প বাস্তবায়নে কারিগরি বিশেষজ্ঞ দল পাঠাচ্ছে চীন

মন্ত্রিসভায় ইন হাওলাদার, আউট রাঙ্গা

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১৩:২০, ৭ নভেম্বর ২০১৮  

ফাইল ছবি

ফাইল ছবি

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে মন্ত্রিসভায় রদবদল আনছেন। এরইমধ্যে টেকনোক্র্যাট মন্ত্রীদের পদত্যাগের নির্দেশনা কার্যকর করা হয়েছে।

আগামী সপ্তাহের মধ্যেই শপথ নিতে পারে নতুন মন্ত্রী পরিষদ। মন্ত্রিসভার রদবদলে কপাল খুলতে পারে জাপা মহাসচিব এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদারের। আর তার বিপরীতে কপাল পুড়তে পারে পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী মসিউর রহমান রাঙ্গার।

জাতীয় পার্টির নীতি নির্ধারক পর্যায়ের একাধিক নেতা এমন আভাস দিয়ে নিউজওয়ান২৪কে জানিয়েছেন, মন্ত্রিসভায় থাকা জাতীয় পার্টির ৩ সদস্যের মধ্যে একজন বাদ পড়তে পারেন। আর নতুন করে আরো দুই মুখ যুক্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

জাতীয় পার্টি থেকে নতুন করে মন্ত্রিসভায় যোগ হওয়ার দৌড়ে এগিয়ে রয়েছেন মহাসচিব এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার ও প্রেসিডিয়াম সদস্য, সাবেক মহাসচিব জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলু। যদিও গত ৯ সেপ্টেম্বর সংসদ অধিবেশন চলাকালে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে নতুন আরো তিন জনকে মন্ত্রিসভায় স্থান দেয়ার সুপারিশ করেছিলেন এরশাদ।

ওই তালিকায় রুহুল আমিন হাওলাদার, জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলু ছাড়াও প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজী ফিরোজ রশীদের নাম প্রস্তাবনায় ছিল বলে বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রচার হয়। তবে এ বিষয়ে জাতীয় পার্টির পক্ষ থেকে কোনো প্রতিবাদ করা হয়নি। সে কারণে ধরে নেয়া হয় বিষয়টি সঠিক।

সে সূত্র ধরেই হাওলাদার ও বাবলুর মন্ত্রিসভায় যোগ হওয়ার উজ্জ্বল সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। তবে কাজী ফিরোজ রশীদের নাম প্রস্তাব করা হলেও সম্ভাবনা ক্ষীণ বলে জানা গেছে। সে ক্ষেত্রে নতুন অন্য কারো নাম আসতে পারে।

হাওলাদার ও বাবলু ২০১৪ সালের নির্বাচনকালীন সরকারেও ছিলেন। ওই সময় জাতীয় পার্টি থেকে পূর্ণ মন্ত্রী করা হয় বেগম রওশন এরশাদ (স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ), জিএম কাদের (বাণিজ্য), এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার (বিমান ও পর্যটন), ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ চৌধুরী (পানি সম্পদ), মন্ত্রী মর্যাদায় প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা ছিলেন জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলু, প্রতিমন্ত্রী ছিলেন মজিবুল হক চুন্নু (যুব ও ক্রীড়া), অ্যাডভোকেট সালমা ইসলাম (মহিলা ও শিশু)।

গতবারের সদস্যদের মধ্যে এবার বাদ পড়ছেন জিএম কাদের, ও সালমা ইসলাম। তাদের মন্ত্রিসভায় যোগদান করা বা নাম প্রস্তাবের বিষয়ে পার্টির মধ্যে কোনো আলোচনা নেই। তবে পার্টির একটি সূত্র জানায়, শেষ মুর্হূতে কাজী ফিরোজ রশীদের জায়গায় জি এম কাদের নাম যোগ হতে পারে। কিন্তু এর সবকিছু নির্ভর করছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সিদ্ধান্তের উপর।

এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার জাতীয় পার্টির দীর্ঘ সময় মহাসচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তাকেই একমাত্র সফল মহাসচিব মনে করা হয়। সে কারণে মন্ত্রিসভায় তার স্থান পাওয়া অনেকটা নিশ্চিত মনে করছেন জাপার নেতাকর্মীরা। তবে সম্প্রতি দুদক তাকে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে হাজির হওয়ার নোটিশ দেয়। তবে পরবর্তী সময় এ নিয়ে দুদকের তেমন তৎপরতা দেখা না গেলেও বিষয়টি হাওলাদারের পথের কাঁটা হয়ে দাঁড়ায় কি-না তা নিয়ে সংশয় রয়েছে দলীয় নেতাকর্মীদের মাঝে।

এ বিষয়ে পার্টির মহাসচিব এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার বলেন, মনে হচ্ছে মন্ত্রিসভায় আমার নাম রয়েছে।

দীর্ঘদিন ধরে নির্বাচনকালীন সরকার গঠনের কথা বলাবলি হচ্ছিল। সিনিয়র মন্ত্রীরা অনেকেই এ বিষয়ে কথা বলেন। কিন্তু সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনকালীন মন্ত্রিসভা গঠন থেকে কিছুটা সরে আসেন। গণভবনে এক সাংবাদিক সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, এতে উন্নয়ন কর্মকাণ্ড ব্যাহত হতে পারে।

তার বক্তব্যের পর ধরে নেয়া হয় আর হয়তো মন্ত্রিসভা রদবদল হচ্ছে না। কিন্তু মঙ্গলবার ৪ টেকনোক্র্যাট মন্ত্রীর পদত্যাগে নির্বাচনকালীন সরকার গঠনের বিষয়টি সামনে চলে আসে। আবার জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট থেকেও নির্বাচনকালীন সরকার গঠনের জোরালো দাবি রয়েছে।

নিউজওয়ান২৪/জেডএস

আরও পড়ুন
রাজনীতি বিভাগের সর্বাধিক পঠিত