ঢাকা, ২৮ মার্চ, ২০২৪
সর্বশেষ:

ভাইপন্থীদের নিয়ে বিব্রত বিএনপি’র হাইকমান্ড

নিউজ ডেস্ক

প্রকাশিত: ১১:৫১, ১ জুলাই ২০২০  

বিএনপি- ফাইল ফটো

বিএনপি- ফাইল ফটো


বিএনপির মহানগর কমিটি বিগত আন্দোলন-সংগ্রাম, সাংগঠনিক ও নির্বাচনী কার্যক্রমসহ প্রতিটি ক্ষেত্রে ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে। রাজনীতিতে ভাইপন্থী অনুসারী প্রথা, অভ্যন্তরীণ কোন্দল, বহিরাগতদের নেতৃত্বে বসানো এবং জবাবদিহি না থাকায় বিব্রত দলটির নীতিনির্ধারকরা।

এসব কারণে দলটি ব্যর্থ হচ্ছে বলে মনে করেন তারা। তাই আগামীতে কাউন্সিলে এসব বিষয় সামনে রেখে নগর কমিটি সংস্কারের চিন্তাভাবনা করছে দলটির হাইকমান্ড।

দলীয় সূত্র মতে, বিএনপিতে প্রথম ভাইপন্থী অনুসারী সৃষ্টি করেন অবিভক্ত ঢাকা মহানগর বিএনপির সাবেক দুই নেতা মির্জা আব্বাস ও সদ্য প্রয়াত নেতা সাদেক হোসেন খোকা। সেই থেকে নগর বিএনপির নেতাকর্মীরা বিভক্ত।

বর্তমান ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ বিএনপির নেতাকর্মীরা কয়েকটি ভাগে বিভক্ত। ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির নেতাকর্মীরা আব্দুল কাইয়ুম, সদ্য প্রয়াত আহসানুল্লাহ এবং আব্দুল আউয়াল মিন্টু পন্থীতে বিভক্ত। আর ঢাকা মহানগর দক্ষিণের নেতাকর্মীরা প্রধানত মির্জা আব্বাস, হাবিব উন নবী খান সোহেল, ইশরাক হোসেন ও আবুল বাশার পন্থীতে বিভক্ত।

বিএনপি’র একাধিক দায়িত্বশীল ও সিনিয়র নেতারা বলেন, অবিভক্ত ঢাকা মহানগর বিএনপি নেতা সাদেক হোসেন খোকা ও মির্জা আব্বাস এর পর থেকে ঢাকা মহানগর কমিটির নেতৃত্বে যারাই এসেছেন, প্রত্যেকেই নিজের অনুসারী সৃষ্টি করেছেন। বর্তমান নগর কমিটিতেও সেই ভাইপন্থী অনুসারী প্রথার রাজনীতি বহাল রয়েছে।

তারা বলেন, সবার আগে বিএনপিকে একটি ফ্রেমে আনতে হবে। সবার পরিচয় হবে বিএনপি নেতা হিসেবে। এছাড়া বহিরাগতদের বাদ দিয়ে স্থানীয়দের নেতৃত্বে আনলে এবং নির্বাচনকেন্দ্রিক বিরোধী রাজনৈতিক শক্তির সঙ্গে গোপন আঁতাতকারী নেতা-কর্মীদের কঠোর শাস্তির আওতায় নিয়ে আসলে  আন্দোলন ও নির্বাচন সব ক্ষেত্রে সফলতা আসবে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিএনপির সিনিয়র একজন নেতা বলেন, মহানগর বিএনপিতে এই ভাই অনুসারীদের কারণে কোনো অনুষ্ঠান বা কর্মসূচি সঠিকভাবে পালন করা যায় না। 

তিনি বলেন, কোনো কর্মসূচি আয়োজন করা হলে সেখানে দলীয়  স্লোগান বাদ দিয়ে সবাই ভাইদের নামে স্লোগান দিতে থাকে। দলের চেয়ারপার্সন বা চেয়ারম্যানের নাম বাদ দিয়ে তারা অমুক ভাই, তমুক ভাই নিয়ে ব্যস্ত। এতে ভীষণভাবে বিব্রত হন দলের সিনিয়র নেতারা।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, মহানগর কমিটির যেসব বিষয়ে সংস্কারের প্রস্তাব উঠেছে সেগুলো দলের নিজস্ব ব্যাপার। এর মধ্যে কিছু বিষয় আছে যেগুলো এখন হবে, আর কিছু বিষয়ে পরবর্তীতে কাউন্সিলের সময় সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। এটা স্বাভাবিকভাবেই একটা চলমান প্রক্রিয়া।

২০১৭ সালের ১৮ এপ্রিল ঢাকা মহানগর বিএনপিকে উত্তর ও দক্ষিণে দুই ভাগে ভাগ করা হয়। এরপর হাবিব-উন-নবী খান সোহেল ও কাজী আবুল বাশারকে যথাক্রমে ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক এবং আব্দুল কাইয়ুম ও আহসানউলহকে ঢাকা মহানগর উত্তরের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব দেয়া হয়। সদ্য আহসানউল্লাহর মৃত্যুর ১৪ দিনের মাথায় দলের সহ-সভাপতি আব্দুল আলী নকীকে দায়িত্ব দিয়ে তার শূন্যস্থান পূরণ করা হয়েছে।

নিউজওয়ান২৪.কম/এমজেড

আরও পড়ুন