ঢাকা, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪
সর্বশেষ:

প্রেমের ফাঁদে ৩মাস চক্করে তানভীর চিনলেন...ঢাকার সুন্দরীচক্র

প্রকাশিত: ২০:২৭, ৫ জানুয়ারি ২০১৯  

ফাইল ছবি

ফাইল ছবি

রাজধানীতে সুন্দরী নারীরা  প্রেমের ফাঁদে ফেলে  সব বয়সি পুরুষদেরকে ঘায়েল করে হাতিয়ে নিচ্ছে মোটা অংকের অর্থ- থানায় এমনি অভিযোগ করেছেন তৌহিদুল ইসলাম তানভীর নামের এক ব্যক্তি।

তার অভিযোগে জানা গেছে, কোনো সামাজিক অনুষ্ঠান বা রেস্টুরেস্টে প্রথম দেখার সাক্ষাতের সুযোগে রূপের বাণে মুগ্ধ করে শিকার ধরে এই ধরনের নারীরা। তার আগে যোগাযোগটা স্থাপন হয় মোবাইল ফোনের রং নম্বরের উসিলায়।

তানভীরের মতে- যারা এমন কাজ করে পুরুষদের ফাঁদে ফেলে বিষয়টি তাদের জন্য লাভজনক বটে। অন্যায়ভাবে অর্থ আয়ের একটা সহজ কায়দা তাদের এটা। কিন্তু যে পুরুষটির সঙ্গে এমনটি ঘটে সে কিন্তু মানসিক ও আর্থিকভাবে শেষ হয়ে যায়। কারণ, সে তো আর স্বার্থ-হাসিলের অভিনয় করতে যায় না।
 
তানভীরের অভিযোগে জানা গেছে, তিনমাস আগে তার সঙ্গে পরিচয় হয় স্মার্ট ও সুন্দরী এক মেয়ের। মুঠোফোনে যোগাযোগ, পরে সম্পর্ক গড়ায় গভীরে। তখনও তিনি জানতে পারেননি যে মেয়েটি বিবাহিতা বা প্রতারক। 

হঠাৎ গত ২৫ ডিসেম্বর রাজধানীর বনানীর একটি রেস্টুরেন্টে নাজ জিয়া (২৯) নামের ওই নারীকে সঙ্গে দুটি বাচ্চা ও এক লোকের সঙ্গে দেখে মাথায় যেন বজ্রপাত হয় তার। এতদিন তার প্রেমে হাবুডুবু খাওয়া তানভীর জানতে পারেন নাজ বিবাহিতা। শুধু তিনিই নন আরও অন্তত ডজনখানেক যুবকের সঙ্গে একইভাবে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে হাতিয়ে নিয়েছেন মোটা অংকের টাকা। এ ঘটনায় আদালতে মামলা ও পল্টন মডেল থানায় জিডি করেছেন ভুক্তভোগী তানভীর। 

অভিযোগে বলা হয়, গত ১ জানুয়ারি পল্টন এলাকার কড়াই গোস্ত রেস্টুরেন্টে খেতে যান তানভীর। এসময় নাজ জিয়াকে অপর এক ব্যক্তির সঙ্গে দেখে তার কাছে জানতে চান ওই ব্যক্তি সম্পর্কে। এ নিয়ে নাজের সঙ্গে তানভীরের কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে নাজ ওই লোককে নিয়ে চলে যান। 

এর প্রায় ২০ মিনিট পর তানভীর খাওয়া দাওয়া শেষে রেস্টুরেন্টের নিচে নামলে নাজ ওই লোককে নিয়ে তার ওপর হামলা চালায় বলে দাবি করেন তিনি। 

তানভীর জানান, তারা তার শার্টের কলার ধরে তাকে অপমান ও মারধর করে। এ নিয়ে বাড়াবাড়ি করলে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করে তারা। 

বর্তমানে তৌহিদুল ইসলাম তানভীর নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন জানিয়ে  ৪ জানুয়ারিতে  পল্টন থানায়  একটি সাধারন ডায়েরি (জিডি) করেন যার নম্বর ২০২। তদন্ত কর্মকর্তা উপপরিদর্শক (এসআই) আলাউদ্দীনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমি জিডির কাগজ পেয়েছি। এই ব্যাপারে তদন্ত করে প্রমাণ পেলে তার বিরুদ্ধে আইন গতভাবে ব্যবস্থা নেবো। 

তানভীর এ বিষয়ে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার দ্রুত হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন ।

 সাধারন ডায়েরি (জিডি) (সংগৃহীত)

প্রসঙ্গত, এভাবে প্রেমের ফাঁদে ফেলার প্রতারণামূলক ঘটনা প্রায়ই সংবাদ শিরোনাম হয়। এমসন অনেক ঘটনায় অনেকের মৃত্যুও হয়েছে । রাজধানীসহ সারাদেশে এই ধরনের ঘটনাগুলো হরদম ঘটে চলছে। এই ‘প্রেমের ফাঁদ’ চক্রটির পেছনে  শক্তিশালি একটি গ্রুপ রয়েছে বলে ধারণা করা যায়। তাদের ইন্ধনে বখে যাওয়া সুন্দরী নারীদের একটি গ্রুপ একের পর এক করে পার পেয়ে যাচ্ছে যার অসহায় শিকার হচ্ছেন তানভীরের মতো যুবকরা। 

আরও পড়ুন
অপরাধ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত