ঢাকা, ২৩ এপ্রিল, ২০২৪
সর্বশেষ:

প্রাণঘাতী কিছু উদ্ভিদ!

নিউজ ডেস্ক

প্রকাশিত: ১২:৪১, ২৪ নভেম্বর ২০১৮  

ফাইল ছবি

ফাইল ছবি

 

সব সময় যে গাছপালা আমাদের উপকার করবে এমনটি নয়। উদ্ভিদের কিছু প্রজাতি রয়েছে যেগুলো মানুষের জীবন কেড়ে নিতে সক্ষম। এমনকি এই সকল ফল গাছের ছায়ায়ও আপনি কোনো দিন মাড়াতে চাইবেন না।

জীবনের জন্য হুমকিস্বরূপ এমনই কিছু গাছ সম্পর্কে জেনে নিন-

৫. গিমপি স্টিংগার

1.উদ্ভিদ যখন প্রাণঘাতী!

অস্ট্রেলিয়া জঙ্গলে বাস করা এই উদ্ভিদটি পৃথিবীর সবচেয়ে ভয়ঙ্কর উদ্ভিদ এর মধ্যে একটি। খুবই আকর্ষণীয় দেখতে পাতায় লেগে থাকা চুলের মতন কাঁটাগুলো এতই বিষাক্ত যে তা বলার অপেক্ষা রাখে না। কেউ যদি এই পাতাটি স্পর্শ করে তাহলে সঙ্গে সঙ্গে কাঁটাগুলোর গাঁয়ে লেগে থাকা বিষে আক্রান্ত হয়ে যায়, ধীরে ধীরে আক্রান্ত স্থানটি অবশ হয়ে যেতে থাকে এবং লাল লাল দাগ হয়ে যায়, ধীরে ধীরে ব্যাথা এতোটাই প্রকট হয় যে ৭২ ঘণ্টা পরেও আপনি তার যন্ত্রণায় ঘুমাতে পারবেন না। ব্যথা কমার ওষুধ খেয়ে যাবেন কিন্তু সেটা পুরোপুরি সারবে না এমন কি এক বছরও সহ্য করতে হতে পারে। যদিও এই গাছটি খুব সুস্বাদু ফল থাকে যেটা কাটা ছাড়িয়ে খাওয়া যায়।

৪. সার্বেরা অডলাম

2.উদ্ভিদ যখন প্রাণঘাতী!

সার্বেরা অডলাম গাছটির ব্যাপক পরিচিতি রয়েছে। তবে এটি সুইসাইড ট্রি নামেই বেশি পরিচিত। এশিয়া মহাদেশের ভারতসহ বেশ কিছু দেশে এই গাছটি পাওয়া যায়। এই গাছটিতে আলতারাঙা নামক ফল আসে যেটি খুবই বিষাক্ত। যদি কাউকে খাবারের সঙ্গে এটি মিশিয়ে খাওয়ানো হয় তবে সঙ্গে সঙ্গে তার মুখে জ্বালাপোড়া শুরু হওয়া ছাড়াও বমি এবং হার্টবিট বেড়ে মারা গিয়ে থাকেন। এমনকি পোস্টমর্টেম করার পরেও মৃত্যুর কারণ জানা যায় না যার ফলে অনেকেই মার্ডার বা সুইসাইডে এই ফলটি ব্যবহার করে থাকে।এই ফল থেকে ডিওড্রেন্ট এবং এর বীজ থেকে ডিজেল বানানো হয়।

টেক্সাস বাকাটা

3.উদ্ভিদ যখন প্রাণঘাতী!

ইউরোপ, যুক্তরাষ্ট্র এবং এশিয়ার বেশ কিছু দেশে পাওয়া যায় এই গাছটি। ইউকে নামেও পরিচিত গাছটি ২০ মিটার পর্যন্ত লম্বা হয়ে থাকে এবং এটির ফল ব্যতীত সর্বত্র টিক সাইন নামক এক ধরনের বিষাক্ত পদার্থের উপস্থিতি রয়েছে যদি এই বিষাক্ত পদার্থ কারো শরীরে লাগিয়ে দেয়া হয় তাহলে সে বুঝতেও পারবেনা যে বিষক্রিয়া তার মৃত্যু ঘটেছে ঘন্টাখানেকের মধ্যে আক্রান্ত ব্যক্তিটি মাথা ঘুরিয়ে পড়ে যাবে এবং তার মৃত্যু ঘটবে।

স্ট্রেচনিই ট্রি

4.উদ্ভিদ যখন প্রাণঘাতী!

এই গাছটি এশিয়াতে পাওয়া যায়। মাঝারি আকৃতির গাছটিতে এমন এক ধরনের ফল আসে যেটা এক কথায় বলতে গেলে মারাত্মক বিষাক্ত। এতে স্ট্রিকনিন ও বুসিন নামক এক ধরনের বিষাক্ত পদার্থ থাকায় এটা খুবই তেতো স্বাদের হয়ে থাকে। স্ট্রিকনিন এমন এক ধরনের বিষ যেটার উপস্থিতি মানুষের নার্ভ সিস্টেমকে অকেজো করে দেয়। যার ফলে দুশ্চিন্তা, অনিদ্রা, দুর্বলতা ও ধনুষ্টংকারের মতো শারীরিক সমস্যা হয়ে থাকে এমনকি মাঝে মাঝে নিঃশ্বাস বন্ধ হয়েও আক্রান্ত ব্যক্তি মারা যায়।

পোসামউড

5.উদ্ভিদ যখন প্রাণঘাতী!

বোমের আবিষ্কার প্রকৃতি থেকেই হয়েছে এই কথাটি বললেও বোধ হয় ভুল হবে না। উত্তর ও দক্ষিণ আমেরিকায় খুঁজে পাওয়া যায় পোসামাউড নামক একটি উদ্ভিদ। এই গাছটিতে ধরা ফলটি যখন পেকে যায় তখন সে বোমের মতো ব্লাস্ট হয়ে যায়। গাছটির বীজ বাতাসের সঙ্গে ছড়িয়ে পড়ে এমনকি সেটার গতি হয়ে থাকে ঘণ্টায় ২৪০ কিলোমিটার যেটা কোনো প্রাণীর ক্ষতির জন্য যথেষ্ট।

সমৃদ্ধির বাংলাদেশ/আরএডব্লিউ