ঢাকা, ০৯ জুলাই, ২০২৫
সর্বশেষ:

পুতিনের হস্তক্ষেপে ইংল্যান্ডকে ঠেকালো রুশ ফুটবলাররা!

খেলা ডেস্ক

প্রকাশিত: ১১:৫৪, ১২ জুন ২০১৬   আপডেট: ১৩:০৭, ১২ জুন ২০১৬

পোল্যান্ডের ওয়ারশে ২০১২ সালের জুনে পোলিশ-রুশ ম্যাচের আগে স্টেডিয়ামে ওড়ানো রুশ সমর্থকদের আধা টন ওজনের দানবীয় ব্যানার। এটি তারা মস্কো থেকে বয়ে আনে

পোল্যান্ডের ওয়ারশে ২০১২ সালের জুনে পোলিশ-রুশ ম্যাচের আগে স্টেডিয়ামে ওড়ানো রুশ সমর্থকদের আধা টন ওজনের দানবীয় ব্যানার। এটি তারা মস্কো থেকে বয়ে আনে

ঘুরিয়ে পেঁচিয়ে দেখলে ঘটনাটার সেরকম একটা রূপ দেওয়াও যেতে পারে। কারণ, পুতিন হস্তক্ষেপ না করলে আগের রাতে রুশ ফুটবলাররা হোটেলে শান্তিতে ঘুমাতে পারতো না।

ঠিকমতো ঘুম না হলে কেইউ তার স্বাভাবিক পারফর্শেন্সটা দেখাতে পারে না। তারওপর অপেক্ষাকৃত দুর্বল রুশ টিম! ঘটনার পটভূমি জানার আগে আসুন ঝটপট জেনে নেই খেলার সংক্ষিপ্ত বর্ণনা।

ফিফা র্যা ঙ্কিংয়ে ২৯তম স্থানে থাকা রাশিয়া প্রতিপক্ষ ইংলিশ গোলে শট নেয় মাত্র একটি। আর একই সময়ে সব মিলিয়ে নয়বার ইংল্যান্ডের খেলোয়াড়রা রুশ গোলবারে শট নেয়, কিন্তু সাফল্য অধরাই রয়ে যায়। কোনো পক্ষই প্রথমার্ধে সফল হয়নি। তবে খেলার ধারা দেখে মনে হয়েছিল, দ্বিতীয়ার্ধে ইল্যান্ড কমপক্ষে দুটি গোল তো পাবেই।

গোল অবশ্য দ্বিতীয়ার্ধে দুটো ঠিকই হয়েছে, কিন্তু এর একটি ইংলিশ গোলপোস্টে ঢুকেছে। অধিকাংশ সময় নিজেদের রক্ষণ সামলাতেই ব্যতিব্যস্ত রুশরা এক গোল খেয়ে শক্তিধর ইংলিশদের চরম হতাশায় ডুবিয়ে তা ফেরতও দিয়ে দেয়- তা্ও অতিরিক্ত সময়ের গোল! ১-১ গোলে শেষ হয় গ্রুপ-বি’র এই খেলা।

অবশ্য এটাও সত্য, দ্বিতীয়ার্ধে সামর্থের অতিরিক্ত ক্ষমতায় যেন জ্বলে উঠেচিল রুশরা। এটা কি পুতিনের স্নেহের উজ্জীবনী শক্তি? কে জানে!

খেলার ফলাফলে ইংলিশ সমর্থকরা হয় হতাশ আর বিস্মিত বাকি সবাই, এমনকি রুশরাও। কারণ, এই ইংল্যান্ডই বাছাইপর্বে শতভাগ সাফল্য দেখায়। পর পর তিনটি প্রস্তুতি ম্যাচে দারুণ পারফরম্যান্সে ‘ফেভারিট’ তকমা এঁটে ইউরো অভিযানে নামে হসনের শিষ্যরা।

মোটামুটি খেলার কাহিনী এটাই। তবে শনিবার হয়তো ইংলিশদের বিরুদ্ধে দুর্বল রুশদের আরও দুর্বলতা নিয়ে মাঠে নামতে হতো। কারণ, ফ্রান্সের মার্সেই শহরে যেখানে রুশ টিমকে রাখা হয়েছে- তার পাশে আয়োজন চলছিল বিশাল কনসার্টের আয়োজন। পরদিন খেলা আর আগের রাতে কানের পাশে এমন উপদ্রুপ!

সারারাত ধুন্ধুমার বাজনার চেঁচামেচিতে ঘুমের বারটা-তেরটা যে বেজে যাবে তা বুঝতে পেরে আতঙ্কিত হয়ে পড়ে রুশ শিবির। অন্য কোনো উপায় নেই- এসময় শেষ চেষ্টা চালায় তারা, দ্বারস্থ হয় বিশ্বের সবচেয়ে প্রভাবশালী মানুষটির।

ঘটনা শুনে রুশ প্রধানমন্ত্রী হাতে ফোন তুলে নেন- যে করেই হোক, ফ্রান্সে অবস্থানরত তার দেশের খেলোয়াড়দের রাতের ঘুম নিশ্চিত করতে হবে। পুতিনের অনুরোধে দ্রুতই অন্যত্র সরিয়ে নেওয়া হয় কনসার্টকে।

এ প্রসঙ্গে মার্শেই শহরের মেয়র জিন ক্লদ গদিন কূটনৈতিক রসিকতাসুলভ ভঙ্গিতে বলেন- হইচই তাড়াতে যেহেতু রুশ ফুটবলাররা খোদ পুতিনকেই ডেকে বসেছে, তাই আমরাও তাদের অনুরোধকে সম্মান জানিয়েছি। এপিপি, ডন

নিউজওয়ান২৪.কম/এসএন

খেলা বিভাগের সর্বাধিক পঠিত