ঢাকা, ২৯ মার্চ, ২০২৪
সর্বশেষ:

পিরোজপুরে জনসংযোগে এগিয়ে বাদশা

পিরোজপুর প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ১৫:৫১, ২৭ অক্টোবর ২০১৮  

সাজ্জাদ সাকিব বাদশা

সাজ্জাদ সাকিব বাদশা


আসন্ন সংসদ নির্বাচন নিয়ে পিরোজপুর-১ আসন নিয়ে চলছে নানা হিসেব নিকেশ। ক্ষমতাসীনদের মধ্যে দলীয় অন্ত:ক্রোন্দল, জনবিচ্ছিন্নতা ও নির্বাচনের হাওয়ায় সোরগল পুরো পিরোজপুর রাজনৈতিক অঙ্গন। তবে, বার বার রাজনৈতিক তকমা পাল্টানো নেতৃত্ব নিয়ে প্রশ্নবিদ্ধ আসনটি। নতুন ও পুরাতন দুই প্রজন্মের মাঝে বিস্তর ফারাকের কারণে আওয়ামী লীগের শক্তিশালী আসনটির ফিকে হতে বসেছে। 

নির্বাচনের মৌসুমে তাই কেন্দ্রের অনেক নেতাই এখন জনসংযোগ শুরু করেছে। মনোনায়ন প্রত্যাশিদের সাথে পিরোজপুর-১ বাসীর সম্পর্ক, যোগাযোগ কতখানি তা নিয়েও সংশয় স্থানীয় কর্মীদের মাঝে। 

তাদের মতে, আমরা এমন একজনের মনোনায়ন প্রত্যাশা করি, যাঁর সাথে এ অঞ্চলের মানুষের সাথে সম্পর্ক আছে। দল ও কর্মীদের সম্মান করবেন। আগামী প্রজন্মের মাঝে দৃষ্টান্ত তৈরি করতে পারেন এমন নিবেদিত, সৎ, কর্মক্ষম, শক্তিশালী নেতৃত্ব দরকার এ অঞ্চলে। তাঁরা আশংকা প্রকাশ করে বলেন, যদি বর্তমান অবস্থা চলতে থাকে তাহলে নতুন কর্মীদের মাঝে হতাশা আরো বাড়বে, বাড়বে ক্রোন্দল। 

সরেজমিনে দেখা গেছে, এ আসনটির সবচেয়ে কনিষ্ঠ মনোনায়ন প্রত্যাশি সাজ্জাদ সাকিব বাদশা যিনি কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক, সদস্য পিরোজপুর আওয়ামী লীগের।  গত কয়েক বছর ধরে কাজ করে যাচ্ছেন। এলাকাবাসীর নানা কর্মকান্ডে অংশ নিয়ে চালিয়ে যাচ্ছেন জন সংযোগ। 

সম্প্রতি সারদীয় দূর্গা পুজায় বিভিন্ন মন্ডব পরিদর্শনকালে কথা হলে এ প্রতিবেদককে তিনি বলেন, ২০০৭ সামরিক সরকার যখন দেশরত্ন, গণতন্ত্রের মানসকন্যা শেখ হাসিনাকে গ্রেফতার করেন তখন আমি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক। সে সময় টিপু-বাদশার নেতৃত্বে পুরো দেশের ছাত্র সমাজকে জাগ্রত করেছি। অস্ত্রের মুখেও নত স্বীকার করিনি। একটির পর একটি মামলার বোঝা কাঁধে নিয়ে সারাদেশে নেত্রীর মুক্তির জন্য তরুণদের মাঝে জোয়ার সৃষ্টি করেছি। গণতন্ত্রের মানসকন্যাকে মুক্ত করেছি আমরা ছাত্রলীগের কর্মীরা। তখন থেকে এলাকার তরুণদের সাথে যোগাযোগ রেখে একটির পর একটি কার্য সম্পাদন করেছি। সাধ্যমতে সবার পাশে দাড়িয়েছি। এখন পর্যন্ত এলাকাবাসীর সাথে থেকে কাজ করছি। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়নে কাজ করে যাচ্ছি। দলীয় মনোনায়নের বিষয়ে তিনি বলেন, আমার কাজ আমি করে যাব। সোনার বাংলা গড়ায় সবাইকে পাশে চাই। মনোনায়ন চাইবো, দল যদি যোগ্য মনে করে তবে অবশ্যই পাবো। 

স্থানীয় রাজনীতি সম্পর্কে তিনি বলেন, সব বিভেদ দুর করে সকল শ্রেণীর মানুষকে নিয়ে কাজ করে এ আসনটিকে যোগাযোগ, প্রযুক্তি, বেকারমুক্ত মডেল জোন হিসেবে গড়তে চাই।

এ আসনটি থেকে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশি অনেকের নাম শোনা যাচ্ছে। উল্লেখযোগ্যদের মধ্যে জেলা আওয়ামী লীগ সহ সভাপতি হাবিবুর রহমান, এ্যাডভোকেট স. ম রেজাউল করিম, জাতীয় ককমিটির সদস্য চন্ডিচরণ পাল, সাবেক ছাত্রনেতা ইসহাক আলি খান পান্না, এ্যানী রহমান।

অন্য দিকে, বিএনপি'র চেয়ে জন সমর্থনে এগিয়ে আছে জামায়াত। কেননা দেলোয়ার হোসেন সাইদীর পরপর দুই বার নির্বাচিত হওয়ায় সাংগঠনিকভাবে এগিয়ে জামায়াত। এবার মনোনায়নের ব্যাপারে তার ছেলে শামীম সাইদীর নাম শোনা যাচ্ছে। 

বিএনপির মনোনায়ন প্রত্যাশির মধ্যে রয়েছে আলমগীর হোসেন, নজরুল ইসলাম, এলিজা জামান প্রমুখ। এছাড়া জাতীয় পার্টির একাংশের নেতা মোস্তফা জামাল হায়দার আসন্ন নির্বাচনকে সামনে রেখে জনসংযোগ চালিয়ে যাচ্ছেন।

নিউজওয়ান২৪/এমএম

আরও পড়ুন