ঢাকা, ২৯ মার্চ, ২০২৪
সর্বশেষ:

জুমা দিনের রুটিন

ধর্ম ডেস্ক

প্রকাশিত: ০০:২৩, ২৫ অক্টোবর ২০১৯  

ফাইল ফটো

ফাইল ফটো

শুক্রবার অনেকেরই অবসর বা ছুটির দিন। আর ছুটির দিন মানেই অনেকের কাছে ঘুমের দিন। কিন্তু আপনি কি জানেন, মানুষ জান্নাতে গিয়েও আফসোস করবে তার হেলায় কাটানো এ অবসর সময়গুলোর জন্য।

আমরা যদি একটু সচেতন হই, তাহলে এ অবসর সময়গুলোতে অনেক গুরুত্বপূর্ণ কাজ করে ফেলতে পারি। আজকে জুমার দিনের এমনই কিছু কাজের কথা বলব ইনশাআল্লাহ। 

আরো পড়ুন>>> ‘নিজেকে সেরা হাফেজ প্রমাণ করতে তৈরি থাকো তুমিও’

(১) রাতে দ্রুত ঘুমিয়ে পড়ুন: বৃহস্পতিবার রাতে একটু তাড়াতাড়ি ঘুমিয়ে পড়ুন। তাহলে সকালে তাড়াতাড়ি ঘুম থেকে ওঠা সহজ হবে। 

(২) তাহাজ্জুদ দিয়ে দিন শুরু করুন: তাহাজ্জুদ হলো বান্দা এবং রবের মাঝে একান্ত আলাপনের সময়। ঘনিষ্টতার মূহুর্ত। তাহাজ্জুদ মুমিনজীবনের সফলতার গোপনসূত্র। কিন্তু ব্যস্ত কর্মজীবনে হয়তো সুযোগ হয়ে ওঠে না আল্লাহর সঙ্গে একটু একান্তে, একটু নির্জনে সময় দেয়ার। কিন্তু শুক্রবার দিনটা আমরা চাইলেই তাহাজ্জুদ দিয়ে শুরু করতে পারি। 

(৩) ফজরের সালাত: জামাতের সঙ্গে ফজরের সালাত আদায় করুন। ফজরের সালাত আপনাকে সারাটি দিন রাখবে আল্লাহর রহমতের ছায়ায়। 

(৪) কোরআন তেলাওয়াত, জিকির-আযকার: ফজরের পর সূর্যোদয়ের আগ পর্যন্ত মাসনুন তাসবিহ, তাহলিলগুলো আদায় করুন। অর্থসহ কোরআন তেলাওয়াত করুন। সূরা কাহাফটাও এ সময় পড়ে নিতে পারেন। বিশুদ্ধ কোনো হাদিসগ্রন্থ থেকে একটি অধ্যায় বা অন্তত পাঁচটি হাদিস পাঠ করুন। পরিবারের সদস্যদের সঙ্গেও আলোচনা করুন। 

(৫) একসঙ্গে নাস্তা করুন: পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে নিয়ে নাস্তা করুন। তাদের সঙ্গে দ্বীনি ও দুনিয়াবি বিভিন্ন ব্যাপারে পরামর্শ করুন। এতে আপনার ব্যক্তিত্ব ফুটে ওঠবে। পরিবারেও পরস্পরে সুসম্পর্ক, হৃদ্যতা গড়ে ওঠবে।

(৬) দাওয়াতে বেরিয়ে পড়ুন: বন্ধু-বান্ধব, আত্মীয়-স্বজন, অসুস্থ-পীড়িত এমন কারো বাসায় ছুটে যান। খোঁজখবর নিন। দ্বীনের দিকে দাওয়াত দিন। 

(৭) উত্তমভাবে গোসল করুন, সুগন্ধি ব্যবহার করুন: জুমার দিনে উত্তমভাবে গোসল করা সুনত। গোসল করুন। সুগন্ধি ব্যবহার করুন। ইসলাম পরিচ্ছন্নতা শিক্ষা দেয়। পবিত্রতা ঈমানের অঙ্গ। 

(৮) পায়ে হেঁটে মসজিদে যান: জুমার দিন পায়ে হেঁটে মসজিদে গমন অত্যন্ত ফজিলতপূর্ণ আমল। প্রতি কদমে কদমে সওয়াব লিপিবদ্ধ হয়। 

(৯) বসার আগে অন্তত দু’রাকাত নামাজ পড়ুন: মসজিদে গিয়েই অনেকে টুপ করে বসে যায়। অথচ রাসূল (সা.) মসজিদে ঢুকে দু’রাকাত সালাত আদায় না করে বসতে নিষেধ করেছেন। খুতবা শুরু হওয়ার আগ পর্যন্ত নফল সালাত, দুয়া, জিকির-আযকারে লিপ্ত থাকা উচিত। 

(১০) মনযোগ সহকারে খুতবা শুনুন: খুতবা বা আলোচনা মনযোগ দিয়ে শোনা ওয়াজিব। খুতবার সময় কথা বলা নিষিদ্ধ। জুমার খুতবা হলো মুসলিমদের জন্য দিকনির্দেশনা। কোন পরিস্থিতিতে আমাদের কী করণীয় খতিব সাহেবগণ এগুলো আলোচনা করে থাকেন। মনযোগ দিয়ে খুতবা শুনলে অনেক কিছু জানা যায়। 

(১১) বেশি বেশি দরুদ পড়ুন: জুমাবারে নবীজির (সা.) কাছে উম্মতের দরুদ পৌঁছানো হয়। সুতরাং এ দিন বেশি বেশি দরুদ পড়া উচিত। 

(১২) বেশি বেশি দোয়া-ইস্তিগফার করুন: জুমার দিন এমন একটা মুহূর্ত আছে, যখন যা দোয়া করা হয় তাই কবুল করা হয়। সেই সময়টা আমাদের জানানো হয়নি। সুতরাং সারাদিন, প্রতিটা মুহূর্তেই দোয়া-ইস্তিগফার করা উচিত। 

লেখক: গাজী মো. রুম্মান ওয়াহেদ (বিশিষ্ট ইসলামি চিন্তাবিদ)

নিউজওয়ান২৪.কম/আরাফ