ঢাকা, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪
সর্বশেষ:

জাতীয় পার্টির নবম কাউন্সিল কাল

নিউজ ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৮:৪৬, ২৭ ডিসেম্বর ২০১৯  

ফাইল ফটো

ফাইল ফটো

জাতীয় পার্টির নবম কেন্দ্রীয় কাউন্সিল আগামীকাল শনিবার (২৮ ডিসেম্বর)। 

পার্টির চেয়ারম্যান ও বিরোধীদলীয় উপনেতা জিএম কাদের শুক্রবার (২৭ ডিসেম্বর) সকাল  ১০টায় রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সটিটিউশন মিলনায়তনে কাউন্সিলের উদ্বোধন করবেন।

জাপার প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের মৃত্যুর পর এটা প্রথম কাউন্সিল। এর আগে হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের জীবদ্দশায় এবং তার উপস্থিতিতে ৮টি কেন্দ্রীয় সম্মেলন হয়েছে।

চলমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে এবারের কাউন্সিল জাতীয় পার্টির রাজনীতিকে এগিয়ে নেয়ার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ বলে দাবি করেছেন জিএম কাদের।

তিনি বলেন, পার্টির মূল কাণ্ডারী হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। তার অনুপস্থিতিতে দলকে এগিয়ে নেয়ার যে দায়িত্ব আমার ওপর অর্পিত হয়েছে, তা যথাযথভাবে পালন করতে চাই। চলমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে দেশের মানুষের আশার জায়গা এই পার্টি। তাই এ দলককে শক্তিশালী ও সুসংহত করার সব রকম প্রয়াস নেয়া হবে এই কাউন্সিলের মধ্য দিয়ে।

২০১৬ সালের ১৪ মে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জাতীয় পার্টির সর্বশেষ কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রায় হাজার খানেক কাউন্সিলর ও ডেলিগেটসহ প্রায় ৫ হাজার প্রতিনিধি যোগ দেন। গঠনতন্ত্রে তিন বছর পরপর কাউন্সিল করার বিধান রয়েছে। কিন্তু পার্টির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের মৃত্যুর কারণে ২৮ ডিসেম্বর কাউন্সিল করার তারিখ নির্ধারণ করা হয়।

এ প্রসঙ্গে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের বলেন, ‘প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যানের অসুস্থতা, এরপর তার মৃত্যু আমাদের মনোবল ভেঙে দেয়। এ অবস্থায় শোককে শক্তিতে পরিণত করে তার (এরশাদ) আদর্শের নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ করে কাউন্সিল আয়োজন একটা বড় চ্যালেঞ্জ ছিল আমাদের জন্য। এর মধ্যে ছিল রংপুর-৩ আসনের উপনির্বাচনে অংশগ্রহণ। আল্লাহর দরবারে শুকরিয়া আমরা শেষ পর্যন্ত হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের দেখানো পথ ধরে, তার আদর্শকে মূলমন্ত্র জেনে এগিয়ে যাচ্ছি।’

তিনি বলেন, এবারের কাউন্সিলের মধ্য দিয়ে নবীন-প্রবীণের একটি সেতুবন্ধন রচিত হবে। ত্যাগী-উপেক্ষিত-পরিশ্রমী নেতাকর্মীদের মূল্যায়নের চেষ্টা হবে। পাশাপাশি জাতীয় পার্টিকে এগিয়ে নিতে একটি নতুন দিকনির্দেশনাও থাকবে এই কাউন্সিলে।
 
জিএম কাদের বলেন, মানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষার জায়গায় এখন জাতীয় পার্টি। এই আস্থার জায়গাটা আমরা ধরে রাখতে চাই। আগামী দিনের বাংলাদেশ বিনির্মাণের চ্যালেঞ্জ গ্রহণের জন্য পার্টিকে প্রস্তুত করতে চাই।

এদিকে কাউন্সিলকে ঘিরে জমজমাট এখন জাতীয় পার্টির প্রধান দুটি কার্যালয়। বনানীর পার্টির চেয়ারম্যানের কার্যালয়ের পাশাপাশি কাকরাইলের কেন্দ্রীয় কার্যালয় এখন নেতাকর্মীদের পদচারণায় মুখর। চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি। মঞ্চ নির্মাণের কাজ, ডেলিগেট কার্ড বিতরণসহ সব প্রস্তুতি প্রায় শেষ। মহানগরের বিভিন্ন স্থানে পোস্টার-ব্যানার টানানো হয়েছে। চলছে তোরণ নির্মাণের কাজ। এরইমধ্যে তৃণমূল পর্যায়ের নেতারা কাউন্সিলে যোগ দিতে রাজধানী ঢাকায় সমবেত হতে শুরু করেছেন।

কাউন্সিলকে সর্বাত্মকভাবে সফল করতে ঢাকা জেলা জাতীয় পার্টি, জাতীয় মহিলা পার্টি, জাতীয় পার্টি ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ও উত্তর, জাতীয় স্বেচ্ছাসেবক পার্টি, জাতীয় যুব সংহতি, জাতীয় শ্রমিক পার্টি, জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা পার্টি, জাতীয় ছাত্র সমাজসহ দলটির অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা দিনরাত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন।

আওয়ামী লীগ, সিপিবিসহ বিভিন্ন দলকে কাউন্সিলে আমন্ত্রণ জানিয়েছে জাতীয় পার্টি।

নিউজওয়ান২৪.কম/এমজেড

আরও পড়ুন