ঢাকা, ২০ এপ্রিল, ২০২৪
সর্বশেষ:

চীনের সঙ্গে ঋণচুক্তি করবে বাংলাদেশ

নিউজ ওয়ান টুয়েন্টি ফোর ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৩:২৪, ২৮ অক্টোবর ২০১৭   আপডেট: ১৫:১৪, ২৮ অক্টোবর ২০১৭

ফাইল ছবি

ফাইল ছবি

জাহাজ থেকে তেল খালাসের খরচ ও সময় কমানোর জন্য সাগরে একটি সিঙ্গেল পয়েন্ট মুরিং নির্মাণ করার জন্য আগামী রোববার (২৯ অক্টোবর) চীনের সঙ্গে ৫৫ কোটি ৪০ লাখ ডলারের ঋণ চুক্তি করবে বাংলাদেশ।

রোববার শেরে বাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ এবং চীনের এক্সিম ব্যাংকের মধ্যে এই চুক্তি সাক্ষরিত হবে।

অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি) এর উপসচিব মতিউর রহমান বলেন, গত বছর চীনের প্রেসিডেন্ট ঢাকা সফরের সময় ২৪ বিলিয়ন ডলারে ২৭টি প্রকল্প বাস্তবায়নের যে চুক্তি সাক্ষরিত হয়েছিল এটি তার মধ্যে একটি।

এ চুক্তির আওতায় চীন ৮ কোটি ২৫ লাখ ডলার দেবে নমনীয় সুদের ঋণ হিসেবে এবং বাকি ৪৬ কোটি ৭৮ লাখ ডলার পাওয়া যাবে সরবরাহ ঋণ হিসেবে। পাঁচ বছরের রেয়াতকালসহ ৩০ বছরে ২.২৫ শতাংশ সুদসহ ওই ঋণ পরিশোধ করা যাবে। এই প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে তেল খালাসসহ প্রায় ৮০০ কোটি টাকা সাশ্রয় হবে।

মতিউর রহমান বলেন, আমদানি করা জ্বালানি তেল সরাসরি ইস্টার্ন রিফাইনারির ডিপোতে খালাস করা যায় না। বন্দরের গভীরতা কম হওয়ায় তেলের ট্যাংকার গভীর সমুদ্রে নোঙর করে এবং সেখান থেকে ছোট জাহাজে তেল খালাস করে ইস্টার্ন রিফাইনারিতে নেয়া হয়।

এই প্রক্রিয়ায় ট্যাংকার থেকে তেল খালাস করতে তিন থেকে সাত দিন সময় লেগে যায়। এজন্য সরকারকে জাহাজ কোম্পানির কাছে জরিমানা গুনতে হয়।

উপসচিব বলেন, এই প্রকল্পের মাধ্যমে গভীর সমুদ্রে একটি লোডিং বয়ার নির্মাণ করা হবে। মাদার ভেসেল থেকে লোডিং বয়ারের মাধ্যমে তেল খালাস করে পাইপের মাধ্যমে শোধনাগারে পাঠিয়ে দেয়া হবে।

তিনি আরও বলেন, এই মুরিংয়ে দুটি পাইপ লাইন থাকবে। একটির মাধ্যমে পরিশোধিত তেল আসবে এবং আরেকটির মাধ্যমে অপরিশোধিত তেল খালাস হবে।

এই প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে প্রতি ৪৮ ঘণ্টায় ১ লাখ ২০ হাজার মেট্রিক টন অপরিশোধিত তেল খালস করা যাবে। যার বার্ষিক খালসের পরিমাণ দাড়াবে ৯০ লাখ মেট্রিক টন।

গত বছর চীনা প্রেসিডেন্টের বাংলাদেশ সফরের সময় এই প্রকল্পের ব্যাপারে সমঝোতা হয় এবং প্রকল্পটি বাস্তবায়নের জন্য চায়না পেট্রোলিয়াম ব্যুরো ও বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের মধ্যে চুক্তি হয়।
 
চুক্তি অনুযায়ী চায়না পেট্রোলিয়াম ব্যুরো মহেশখালির গভীর সমুদ্রে ২০১৮ সালের মধ্যে সিঙ্গেল পয়েন্ট মুরিং নির্মাণ করবে এবং ইস্টার্ন রিফাইনারি পর্যন্ত ২২০ কিলোমিটার ডাবল পাইপ লাইন বসাবে।

উল্লেখ্য, বর্তমানে দেশের জ্বালানি চাহিদা পূরণ করার জন্য প্রতি বছর ৩৫ লাখ মেট্রিক টন ডিজেল আমদানি করা হয়।

অর্থ-কড়ি বিভাগের সর্বাধিক পঠিত