ঢাকা, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪
সর্বশেষ:

গুলশানের হোলি আর্টিজান হামলার বিচার শুরু

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১৬:৩০, ২৬ নভেম্বর ২০১৮  

ফাইল ছবি

ফাইল ছবি

গুলশানে হলি আর্টিজান হামলার মামলার বিচার শুরু করেছে আদালত। এ মামলার আট আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে আগামী ৩ ডিসেম্বর সাক্ষ্যগ্রহণের তারিখ ধার্য করা হয়েছে। আজ সোমবার ঢাকার সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক মজিবর রহমান এই আদেশ দেন।

ট্রাইব্যুনালের পেশকার আতাউর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ।

এ মামলায় যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়েছে, তারা হলেন রাজীব গান্ধী, মিজানুর রহমান ওরফে বড় মিজান, রাকিবুল হাসান রিগ্যান, হাতকাটা সোহেল মাহফুজ, হাদিসুর রহমান সাগর, রাশেদ ইসলাম ওরফে আবু জাররা, শরিফুল ইসলাম ওরফে খালেদ ও মামুনুর রশীদ ওরফে রিপন।

তাদের মধ্যে খালেদ ও রিপন পলাতক রয়েছে। এছাড়া অপর ছয়জনকে কারাগার থেকে আজ আদালতে হাজির করা হয়।

এর আগে ২৩ জুলাই আদালতে এ মামলার অভিযোগপত্র জমা দেয় পুলিশ। হোলি আর্টিজান হামলার এ ঘটনায় ২১ জনের সম্পৃক্ততা পাওয়া গেছে। যাদের মধ্যে পাঁচজন ওই দিন ঘটনাস্থলেই নিহত হন। আটজন পরবর্তী সময়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বিভিন্ন অভিযানে নিহত হন। 

হোলি আর্টিজানের হামলার ঘটনায় মোট ২১১ জনের সাক্ষ্য নেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে ১৪৯ জন ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ছিলেন। এর বাইরে বিভিন্ন সংস্থার আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বিভিন্ন কর্মকর্তা, ফরেনসিক টেস্ট যারা করেছেন, তাদেরও সাক্ষ্য নেওয়া হয়।

এই মামলায় গ্রেপ্তার হওয়া নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষক হাসনাত করিমের সম্পৃক্ততা পায়নি পুলিশ। ফলে তাকে মামলার অভিযোগপত্র থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।

মামলার তদন্ত সংস্থা পুলিশের কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্স ন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের প্রধান মনিরুল ইসলাম বলেন, দেশকে অস্থিতিশীল করে জঙ্গি রাষ্ট্র হিসেবে পরিচিত করতে, সরকারকে কোণঠাসা করতে, দেশে-বিদেশি বিনিয়োগ ক্ষতিগ্রস্ত করতে ও বিদেশি ক্রেতারা যেন চলে যায়—এসব কারণে হোলি আর্টিজানে ওই হামলা চালানো হয়। এখানে সরাসরি আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর সম্পৃক্ততা পাওয়া যায়নি। তবে জঙ্গিদের এই হামলা চালিয়ে আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর দৃষ্টি আকর্ষণের লক্ষ্য ছিল। আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসী গোষ্ঠী থেকে প্রযুক্তিগত সুবিধা পেতে তারা হামলা চালিয়েছিলেন।

প্রসঙ্গত, হোলি আর্টিজান হামলার ঘটনায় সেনাবাহিনীর অপারেশন থান্ডারবোল্টে নিহত হন পাঁচজন। তারা হলেন রোহান ইবনে ইমতিয়াজ, মীর সামেহ মোবাশ্বের, নিবরাস ইসলাম, শফিকুল ইসলাম ওরফে উজ্জ্বল ও খায়রুল ইসলাম ওরফে পায়েল।

নিউজওয়ান২৪/এএস

আরও পড়ুন
আইন আদালত বিভাগের সর্বাধিক পঠিত