কোরআনের ভাষায় নবী-রাসূলদের কাজ
ধর্ম ডেস্ক
 
					ফাইল ফটো
মহান রাব্বুল আলামিন আল্লাহ তায়ালা ফেরেশতা ও মানবকুল থেকে রাসূল মনোনীত করেন। এ ব্যাপারে ইরশাদ হয়েছে, ‘আল্লাহ ফেরেশতা ও মানবকুল থেকে রাসূল মনোনীত করে থাকেন।’ (সূরা : হজ, আয়াত : ৭৫)।
মানবজাতির মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ মানুষই নবী ও রাসূল হয়ে থাকেন। নবী-রাসূলরা আল্লাহ কর্তৃক মনোনীত এবং তিনি তাঁদের সব ধরনের চারিত্রিক ও মানবিক দোষত্রুটি থেকে রক্ষা করেন।
আল্লাহ বলেন, ‘অবশ্যই তারা ছিল আমার মনোনীত উত্তম বান্দাদের অন্তর্ভুক্ত।’ (সূরা : সোয়াদ, আয়াত : ৪৭)।
আল্লাহ প্রতিটি জাতির জন্য স্বজাতি থেকে নবী ও রাসূল প্রেরণ করেছেন। ইরশাদ হয়েছে, ‘আর এমন কোনো জাতি নেই, যাদের কাছে সতর্ককারী বা ভীতি প্রদর্শক প্রেরিত হয়নি।’ (সূরা : ফাতির, আয়াত : ২৪)।
কোরআনের ভাষায় নবী-রাসূলদের কাজ:
পবিত্র কোরআনে নবী-রাসূলদের (আ.) মৌলিক চারটি কাজের কথা বলা হয়েছে। আল্লাহ বলেন, ‘তোমাদের মধ্যে একজন রাসূল প্রেরণ করেছেন, যিনি তাদেরকে তাঁর আয়াতগুলো পড়ে শোনান, তাদেরকে পরিশুদ্ধ করেন এবং কিতাব ও হিকমত শিক্ষা দেন। অথচ এর আগে তারা সুস্পষ্ট গোমরাহিতে নিমজ্জিত ছিল।’ (সূরা : জুমুআ, আয়াত : ২)।
অন্য আয়াতে বলা হয়েছে, ‘আমি সুসংবাদদাতা ও সাবধানকারী রাসূল প্রেরণ করেছি, যাতে রাসূল আগমনের পর আল্লাহর বিরুদ্ধে মানুষের কোনো অভিযোগ না থাকে। আল্লাহ পরাক্রমশালী ও প্রজ্ঞাময়।’ (সূরা : নিসা, আয়াত : ১৬৫)।
নবী-রাসূলদের (আ.) কর্মপদ্ধতি ছিল উচ্চতর প্রজ্ঞা ও কল্যাণকামিতায় ভরপুর। আল্লাহ তায়ালা বলেন, ‘আল্লাহর পথে মানুষকে হিকমত ও উত্তম উপদেশ সহকারে দাওয়াত দাও।’ (সূরা : নাহল, আয়াত : ১২৫)।
আল্লাহ তায়ালা তাদের অন্তরে উম্মতের জন্য, বরং সমগ্র মানবজাতির জন্য অপরিসীম ভালোবাসা দান করেছিলেন। ফলে তাঁরা দ্বিনের দাওয়াত শুধু দায়িত্ব হিসেবে দিতেন না; বরং তাঁদের সত্তাগত তাড়নাও কাজ করত। আল্লাহ মহানবী (সা.)-কে সান্ত্বনা দিয়ে বলেন, ‘আপনাকে কষ্ট দেয়ার জন্য আমি আপনার প্রতি কোরআন অবতীর্ণ করিনি; কিন্তু এটা তাদেরই উপদেশের জন্য, যারা ভয় করে।’ (সূরা : ত্বহা, আয়াত : ১-৩)।
মুহাম্মাদ (সা.) সবার রাসূল:
পৃথিবীতে নবী-রাসূলদের আগমনের ধারাক্রম মুহাম্মাদ (সা.)-এর মাধ্যমে শেষ হয়েছে। তাঁর পরে আর কোনো নবী আসবেন না। ফলে তিনি সমগ্র মানবজাতির জন্য প্রেরিত হয়েছেন। কিয়ামত পর্যন্ত আগত সব মানুষ ও জিন তাঁর আনীত শরিয়ত (জীবনবিধান) মানতে বাধ্য। আল্লাহ তায়ালা বলেন, ‘বলুন, হে মানবজাতি! আমি তোমাদের সবার প্রতিই আল্লাহর রাসূল হিসেবে প্রেরিত হয়েছি।’ (সূরা : আরাফ, আয়াত : ১৭৫)।
আল্লাহ মহানবী (সা.)-কে মানবতার মুক্তির দূত ও সৃষ্টিজগতের জন্য রহমতস্বরূপ প্রেরণ করেছেন। পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘আমি আপনাকে সমগ্র জগতের প্রতি শুধু রহমতরূপেই প্রেরণ করেছি।’ (সূরা : আম্বিয়া, আয়াত : ১০৭)।
আল্লাহ তায়ালা মুহাম্মাদ (সা.)-কেই শুধু সম্মানিত করেননি; বরং তাঁর উম্মতকেও সম্মানিত করেছেন। তাদের অন্য উম্মতের জন্য সাক্ষ্য ও আদর্শ বানিয়েছেন। আল্লাহ বলেন, ‘এভাবে আমরা তোমাদের একটি উত্তম জাতিরূপে গড়ে তুলেছি, যাতে তোমরা গোটা মানবজাতির জন্য সত্যের সাক্ষ্যদাতা হতে পারো এবং রাসূল যেন তোমাদের সাক্ষ্য বা নমুনা হন।’ (সূরা : বাকারা, আয়াত : ১৪৩)।
নিউজওয়ান২৪.কম/আরাফ
- যে দোয়ায় গলার কাঁটা নেমে যাবে ইনশাল্লাহ!
- ফরজ নামাজের পর প্রয়োজনীয় কিছু আমল
- দরুদে ইব্রাহিম
- মা-বাবার জন্য দোয়া
- তাহিয়্যাতুল-মাসজিদ
 মসজিদে ঢুকেই দু’রাকাত নামাজ...
- পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের সময়সূচি...
- দরুদে ইব্রাহিম
- কোরআন হাদিসের আলোকে জুমা’র দিনের গুরুত্ব ও তাৎপর্য
- ঋণ মুক্তির সর্বোত্তম আমল
- ফজিলতপূর্ণ কিছু দোয়া ও আমলসমূহ
- পবিত্র কোরআনের তথ্যকণিকা
- জুমার দিনের ৩ আমল
- হযরত আদম আ. এর বিয়ের মহর কত ছিল!
- ফেরেশতা পরিচিতি...
- ‘নিশ্চয় নামাজ অশ্লীল ও অন্যায় কাজ থেকে বিরত রাখে’

 দৃষ্টিপ্রতিবন্ধীদের হাডুডু খেলা
	দৃষ্টিপ্রতিবন্ধীদের হাডুডু খেলা
 টানা ৪ দিনের ছুটি মিলছে সরকারি কর্মচারীদের
	টানা ৪ দিনের ছুটি মিলছে সরকারি কর্মচারীদের
 চন্দ্রগ্রহণের সময় রাসুল (সা.) যে আমল করতেন
	চন্দ্রগ্রহণের সময় রাসুল (সা.) যে আমল করতেন
 রাজধানীর সব বাস চলবে একক কোম্পানিতে
	রাজধানীর সব বাস চলবে একক কোম্পানিতে 
 
					 
					 
					 
					 
					 
					 
					 
					 
					 
					 
					




























