ঢাকা, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪
সর্বশেষ:

কমেছে মূল্যস্ফীতি

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১৪:৪৯, ৩ জানুয়ারি ২০১৯  

ফাইল ছবি

ফাইল ছবি

জাতীয় নির্বাচনের ধাক্কায় গেল বছরের নভেম্বরের তুলনায় ডিসেম্বরে দেশে মূল্যস্ফীতির হার কমে গেছে বলে জানিয়েছেন পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তাফা কামাল।

মূল্যস্ফীতির হার ৫ দশমিক ৩৫ শতাংশ হয়েছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ভোটের মাসে দেশে চাল, ডাল, শাক-সবজি ও মসলা জাতীয় দ্রব্যের দাম কম ছিল। এছাড়া চিনি ও দুধের দামও কমেছে অনেক। তবে পোশাক, বাড়ি ভাড়া, চিকিৎসা সেবা, পরিবহন ও শিক্ষা উপকরণসহ বেশকিছু পণ্যের দাম ছিল বাড়তি।

বুধবার বিকেলে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ে মূল্যস্ফীতির হ্রাস-বৃদ্ধি পর্যালোচনায় এসব তথ্য তুলে ধরেন পরিকল্পনামন্ত্রী।

মন্ত্রী বলেন, সাধারণ পয়েন্ট-টু-পয়েন্টের ভিত্তিতে ডিসেম্বরে মূল্যস্ফীতি বাড়েনি, এটাই বড় কথা। নির্বাচনের মাসে উপলক্ষে আমাদের আশঙ্কা ছিল নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের দাম বাড়বে। কিন্তু তা হয়নি।

তিনি বলেন, ডিসেম্বরে যে জিনিসটি বেশি প্রয়োজন হয়, দুধ ও চিনি। তবে সারাবিশ্বে এই মাসে চিনির দাম গত ১০ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন ছিল। দুধের দাম কমেছে ১১ শতাংশ, চিনির দাম কমেছে ২১ শতাংশ। তাছাড়া অন্যান্য দ্রব্যমূল্যেরও দাম কম ছিল। এতে পাম্প ওয়েলেরও দাম কমেছে ১৮ শতাংশ।

এসময় জাতীয় পর্যায়ে গ্রামীণ ও শহরে সাধারণ পয়েন্ট-টু-পয়েন্টের ভিত্তিতে মূল্যস্ফীতির পরিমাণ তুলে ধরা হয়।

তথ্য উপস্থাপন করে মন্ত্রী জানান, ২০১৮ সালের ডিসেম্বরে মূল্যস্ফীতির হার জাতীয় পর্যায়ে সাধারণ পয়েন্ট-টু-পয়েন্টের ভিত্তিতে হয় ৫ দশমিক ৩৫ শতাংশ। যা গেল নভেম্বরে ছিল ৫ দশমিক ৩৭ ভাগ। ২০১৭ সালের ডিসেম্বরে এটা ছিল শতকরা ৫ দশমিক ৮৩ ভাগ।

এদিকে, ডিসেম্বরে খাদ্য ও খাদ্য বহির্ভূত উপ-খাতে মূল্যস্ফীতি হয় যথাক্রমে ৫ দশমিক ২৮ শতাংশ এবং ৫ দশমিক ৪৫ শতাংশ। যা এর আগের মাসে ছিল যথাক্রমে ৫ দশমিক ২৯ ভাগ ও ৫ দশমিক ৪৯ ভাগ।

এছাড়া গ্রামীণ পর্যায়ে ডিসেম্বরে মূল্যস্ফীতি দাঁড়ায় শতকরা ৪ দশমিক ৯১ ভাগ। যা নভেম্বরে ছিল শতকরা ৪ দশমিক ৯১ ভাগ। ২০১৮ সালের ডিসেম্বরে খাদ্য ও খাদ্য বহির্ভূত উপ-খাতে মূল্যস্ফীতি হয়েছে যথাক্রমে ৪ দশমিক ৮৪ ভাগ এবং ৫ দশমিক শূন্য ৫ ভাগ। যা নভেম্বরে ছিল যথাক্রমে শতকরা ৪ দশমিক ৮৪ ভাগ ও ৫ দশমিক শূন্য ৬ ভাগ।

শহর পর্যায়ে সাধারণ পয়েন্ট-টু-পয়েন্টের ভিত্তিতে মূল্যস্ফীতি হয়েছে ৬ দশমিক ১৪ ভাগ। নভেম্বরে এটা ছিল ৬ দশমিক ২১ ভাগ। ডিসেম্বরে খাদ্য ও খাদ্য বহির্ভূত উপ-খাতে মূল্যস্ফীতি হয়েছে যথাক্রমে ৬ দশমিক ২৭ ভাগ ও ৫ দশমিক ৯৯ ভাগ। নভেম্বরে যা ছিল যথাক্রমে ৬ দশমিক ৩২ ভাগ ও ৬ দশমিক শূন্য ৯ ভাগ।

অন্যদিকে, ২০১৮ সালের জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত এক বছরের চলন্ত গড় মূল্যস্ফীতির হার ছিল শতকরা ৫ দশমিক ৫৫ ভাগ। একই সময়ে ২০১৭ সালের জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত চলন্ত গড় মূল্যস্ফীতির হার ছিল শতকরা ৫ দশমিক ৭০ শতাংশ। অর্থাৎ আলোচিত সময়ের ব্যবধানে দেশে সার্বিক মূল্যস্ফীতির হার কমেছে।

তথ্য অনুযায়ী, ২০১৮ সালের ডিসেম্বরে জাতীয় পর্যায়ে মজুরির হার (সাধারণ) দাঁড়ায় ৬ দশমিক ১৮ ভাগ। যা নভেম্বরে ছিল ৬ দশমিক ২৬ ভাগ। আর কৃষি, শিল্প ও সেবা- এ তিন বৃহৎ খাতে মজুরির হার ডিসেম্বরে হয় যথাক্রমে ৬ দশমিক ২৬ ভাগ, ৬ দশমিক শূন্য ৩ ভাগ এবং ৬ দশমিক ৫২ ভাগ। নভেম্বরে যা ছিল যথাক্রমে ৬ দশমিক ২৫ ভাগ, ৬ দশমিক ১০ ভাগ এবং ৬ দশমিক ৬৩ ভাগ।

নিউজওয়ান২৪/ইরু

অর্থ-কড়ি বিভাগের সর্বাধিক পঠিত