ঢাকা, ১৯ মার্চ, ২০২৪
সর্বশেষ:

কঠিন অসুখে দাউদ ইব্রাহিম, পা না কাটলে মৃত্যু নিশ্চিত!

সাতরং ডেস্ক

প্রকাশিত: ০২:৫৩, ২৬ এপ্রিল ২০১৬   আপডেট: ১১:০১, ১৮ মে ২০১৬

আন্ডারওয়ার্ল্ড ডন দাউদ ইব্রাহিমের পায়ে পচন ধরেছে। গ্যাংগ্রিন আক্রান্ত পা কেটে না ফেললে তার বিষ ধীরে ধীরে পুরো শরীরে ছড়িয়ে পড়বে। এবং এটা ঘটলে তা বর্তমানে ৬০ বছর বয়সী এই অপরাধ সম্রাটের মৃত্যুর কারণ হয়ে দেখা দেবে বলে মনে করছেন চিকিৎসকরা।

সোমবার জিএনএননিউজ-১৮ জানায়, ভারতের সবচেয়ে দাগী ও পলাতক এই অপরাধীর চিকিৎসক জানিয়েছেন- ‘ডি কোম্পানি’ বসের গ্যাংগ্রিন অ্যাডভান্সড স্টেজে আছে। এ অবস্থায় তার পুরো পা কাটা ছাড়া অন্য কোনো রাস্তা নেই।

আগে আরব সাগরের অপরপাড়ে দুবাইতে আস্তানা গেড়ে বসা মুম্বাইভি্ত্তিক এই ডন বর্তমানে পাকিস্তানে আশ্রিত আছে বলে জানায় ভারতীয় মিডিয়া। নবভারত টাইমস জানায়, বর্তমানে দাউদ ইব্রাহিমের চিকিৎসা করছে লিয়াকত ন্যাশলাল হাসপাতাল ও কম্বাইন্ড মিলিটারি হাসপাতালের (সিএমএইচ) চিকিৎসকরা।

মূলত উচ্চ রক্তচাপ আর ডায়াবেটিসের কারণে তার এই হাল বলে জানা গেছে। ডাক্তাররা জানান, তার দুই পায়ের উল্লেখযোগ্য অংশই এখন মৃত প্রায়। গ্যাংগ্রিন বিরতিহীনভাবে বিষ ছড়াচ্ছে যা তার শরীরের অন্যান্য অংশকেও কাবু করে ফেলতে পারে।

ভারতীয় মিডিয়া ও গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর মতে, পাকিস্তানি সামরিক গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআইয়ের হেফাজতে বর্তমানে করাচিতে বসবাস করছে দাউদ ইব্রাহিম। তবে তাকে চিকিৎসার প্রয়োজনে করাচির বাইরে আনা সম্ভব হচ্ছে না। তাই করাচিতেই তার চিকিৎসা চলছে। ১৯৯৩ সালে মুম্বাইর ভয়াবহ সিরিজ বোমা হামলার অভিযোগে ভারত সরকার তাকে খুঁজছে।

প্রসঙ্গত, পাকিস্তানের সাবেক ক্রিকেট কোচ ও ক্যাপ্টেন জাভেদ মিয়াঁদাদ সম্পর্কে দাউদ ইব্রাহিমের বেয়াই। ২০০৫ সালে দুবাইতে জাভেদের ছেলে জুনায়েদের সঙ্গে দাউদের মেয়ে মাহরুখের রাজকীয় বিয়ের অনুষ্ঠানের ঝলক এখনও অনেকের আলোচনার বিষয়।

দাউদের পিতা ছিলেন ভারতীয় পুলিশের ক্রাইম ব্রাঞ্চের একজন কনস্টেবল।

হতদরিদ্র পরিবার থেকে শীর্ষ ডন বনে যাওয়া দাউদ তার বিশ্বস্ত সহযোগী টাইগার মেমন ও ইয়াকুব মেমনের সহযোগিতায় মুম্বাই বিস্ফোরণ ঘটান যাতে ২৫৭ ব্যক্তি নিহত ও ৭১৭ জন আহত হয়। এই অভিযোগে আদালতে দোষী সাব্যস্ত হওয়র পর গত বছর ইয়াকুব মেমনকে ফাঁসিতে ঝুলিয়েছে ভারতীয় কর্তৃপক্ষ।

নিউজয়ান২৪.কম/কেকে

 

অর্থ-কড়ি বিভাগের সর্বাধিক পঠিত