‘আমি কেন, কার জন্য বিদেশে অর্থপাচার করব?’
নিজস্ব প্রতিবেদক

ফাইল ছবি
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ব্যবসায়ী আবদুল আউয়াল মিন্টু বলেছেন, ‘আমার ছেলে, নাতি-নাতনি সবাই বাংলাদেশে। তাহলে কেন আমি বিদেশে অর্থপাচার করব? কার জন্য আমি অর্থপাচার করব? আমার যা আছে সব বাংলাদেশে আছে।’
সোমবার সকাল সাড়ে ৯টা থেকে বিকাল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত সাত ঘণ্টা দুদকের উপপরিচালক ও অনুসন্ধান কর্মকর্তা সামছুল আলম তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তিনি এ কথা বলেন।
সাংবাদিকদের আবদুল আউয়াল মিন্টু বলেন, ‘ওই অভিযোগের সাথে আমি অবশ্যই জড়িত না। এটা আমার জন্য নতুন কিছু না। দুদক আগেও তদন্ত করেছে। এখনো তদন্ত করছে। আমার পরিবারের সদস্যের তদন্ত করছে, তারাও এসেছে, আমরা আসতেই থাকব। কোনো অসুবিধা নেই। যতবার ডাকা হবে ততবার আসব। আমি দুদকে আসতে কোনো সময় চাই নাই। কেন সময় চাইব, কী করছি যে আমাদের সময় চাইতে হবে?’
অর্থপাচারের অভিযোগের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমি নিজেই বিদেশ থেকে পাচার হয়ে বাংলাদেশে এসেছি। আমি এমন বাংলাদেশি যে ১২ বছর বিদেশে পড়ালেখা করে চাকরি করে ব্যবসা করে নিজের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বাংলাদেশে ফিরে এসেছি। আমার ছেলে, নাতি-নাতনি সব বাংলাদেশে। তাহলে কেন আমি বিদেশে অর্থপাচার করব? এর কী কোনো যুক্তিকতা আছে? কার জন্য আমি অর্থপাচার করব? বিদেশে তো আমার কেউ নেই। আমার যা আছে সব বাংলাদেশে আছে।’
মিন্টু বলেন, ‘যে কেউ অভিযোগ করতেই পারে, ওনাদের কাছে অভিযোগ আসতেই পারে। যা সত্য আমি সেই জবাবই দিয়েছি। আমি রাজনীতিকে এখানে টানতে চাই না। আমার বিরুদ্ধে ৫টি অভিযোগ আছে। একটা হলো ব্যাংক থেকে বেআইনিভাবে ঋণ নিয়েছি, সেটাতো বাংলাদেশ ব্যাংকে আছে আমি নিয়েছি কি না? কোনো খেলাপি ঋণ আছে কি না চাইলেই ব্যাংক থেকে বের করা যাবে।’
বিএনপি নেতা বলেন, ‘দুদক বলেছে, আমি সন্দেহজনক লেনদেন করেছি, সন্দেহজনক লেনদেন করে থাকলে এটার ব্যাংক স্টেটমেন্ট আছে। থাকলে তো ব্যাংক স্টেটমেন্টেই থাকবে। আমি তো আর নগদ লেনদেন করি না বা নগদ লেনদেনের ব্যবসা করি না।’
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে এখন অনেক জিনিসেরই ভিত্তি থাকে না। তারপরও জিনিসের ভিত্তি হয়। কয়েকদিন আগে অনেক মামলা হয়েছে। পুলিশ মারার মামলা, বিস্ফোরক মামলা, কেউ কেউ গায়েবি মামলা বলে। বাংলাদেশে কোনটার ভিত্তি আছে আর কোনটার ভিত্তি নেই। বাংলাদেশ সম্ভাবনার একটি দেশ, সব সম্ভবের দেশে পরিণত হয়েছে। এগুলো ওভারকামের বিষয়। যেটা সত্য সেটাই প্রমাণিত হবে।’
কোনটা সত্য এমন প্রশ্নের জবাবে মিন্টু বলেন, ‘সত্যটা হল আমি হাসতেছি দেখে আপনারা বুঝলেন না! আমি যে হাসি-খুশি আছি। তাতো আপনাদের বোঝা উচিত যে, আমি কোনো কিছুকে এখন কোনো কিছু মনে করি না।’
মিন্টুকে দুদকে তলব করে গত ৩১ অক্টোবর তার মাল্টিমোড গ্রুপের অ্যাংকর টাওয়ারের অফিসের ঠিকানায় নোটিশ দেয় দুদক। মিন্টুর বিরুদ্ধে ভুয়া অডিট রিপোর্ট তৈরি করে ঋণ নেওয়া, রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে শত কোটি টাকা আত্মসাৎ, ব্যাংক কর্মকর্তাদের সহযোগিতায় সন্দেহজনক লেনদেন, বিদেশে অর্থপাচার এবং জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনসহ বিভিন্ন অভিযোগ রয়েছে।
ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইয়ের প্রাক্তন সভাপতি আবদুল আউয়াল মিন্টু নব্বই দশকে শেখ হাসিনার ঘনিষ্টজন হিসাবে পরিচিত ছিলেন। পরে তিনি বিএনপিতে যোগ দিয়ে এখন দলটির ভাইস চেয়ারম্যান। বিগত সেনা নিয়ন্ত্রিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময়ও মিন্টু দুর্নীতির অভিযোগে গ্রেপ্তার হয়েছিলেন।
ডেইলি বাংলাদেশ/এসআই
- কেন ‘উল্টে’ গেলেন এরশাদ
- বিএনপিতে যে পদ পাচ্ছেন তারেক স্ত্রী জোবাইদা
- এরশাদের এ কেমন অসুখ?
- এরশাদের ‘তেলেসমাতি খেইল’
- আসন ভাগাভাগি নিয়ে বিরোধ, বেকায়দায় ঐক্যফ্রন্ট
- হঠাৎ প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে মাহি
- বিএনপির মনোনয়ন চিঠি
একই আসনে স্বামী-স্ত্রী! - কে হবেন প্রধানমন্ত্রী?
- ফের সক্রিয় হচ্ছেন এরশাদের সাবেক স্ত্রী বিদিশা?
- ড. কামালের ‘ডাইরেক্ট’ হুমকি
- নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালেন ড. কামাল
- এরশাদের মেয়ে মৌসুমীর বিরুদ্ধে মামলা
- যেসব তথ্য গোপন করলেন এরশাদ
- ভিডিও কলে স্ত্রীর সঙ্গে মিলন, কী কথা হয় তাদের? (ভিডিও)
- স্বামী তন্ময়ের সঙ্গে মাঠে স্ত্রী, ভোট চাইলেন নৌকায়! ভিডিও