NewsOne24

গুলশানে ‘জঙ্গিদের’ গুলিতে ৪ পুলিশ আহত, জিম্মি কয়েক বিদেশি

স্টাফ রিপোর্টার

নিউজওয়ান২৪.কম

প্রকাশিত : ১১:০২ পিএম, ১ জুলাই ২০১৬ শুক্রবার | আপডেট: ০১:০২ পিএম, ৪ জুলাই ২০১৬ সোমবার

ছবি সৌজন্য- যমুনা টিভি

ছবি সৌজন্য- যমুনা টিভি

ঢাকা: রাজধানীর কূটনৈতিক এলাকা গুলশানের একটি রেস্টুরেন্টে অস্ত্রধারী কয়েক ব্যক্তি একটি রেস্টুরেন্টে জিম্মি করে রেখেছে বেশ কয়েকজন বিদেশিকে। এ ঘটনায় বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন যাদের মধ্যে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য ছাড়াও একজন পথচারী রয়েছেন।

৭৯ নম্বর সড়ক এলাকার হলি আর্টিজান বেকারি, লেকভিউ ক্লিনিক ও নর্ডিক ক্লাবের কাছে শুক্রবার রাত পৌনে নয়টা থেকে এ ঘটনা ঘটে চলেছে। একটি সূত্র জানায়, ঘটনাস্থলের নাম হলি আর্টিজান বেকারি। এটি একটি স্প্যানিশ রেস্টুরেন্ট বলে জানা গেছে। এ ঘটনায় গুলশান ও আশপাশের এলাকার বাসিন্দাদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।

রাত পৌনে ১২টা পর্যন্ত পরিস্থিতি অপরিবর্তিত রয়েছে। হামলাকারীর সংখ্যা সাত/আট জন বলে ধঅরণা করা হচ্ছে। বিদেশি সংবাদ মাধ্যমগুলো বলছে, সেখানে ১৫ থেকে ২০ জনকে জিম্মি করে রাখা হয়েছে।

তরেস্টুরেন্টের সুপারভাইজার সুমন রেজা জানান, ওই রেস্টুরেন্টে সাধারণত বিদেশি অতিথিরাই আসেন। সেখানে কর্মরত আছেন কয়েকজন বিদেশিও। তাদের মধ্যে এক ইতালীয় পালিয়ে আসতে পেরেছেন। 

র‌্যাব-পুলিশ এলাকা ঘিরে রেখেছে। তবে একপর্যায়ে ভেতর থেকে গুলি করলে সরাসরি একজন পুলিশ সদস্য আহত হন। তার বুকে গুলি লাগে। এর আগে আরও তিন পুলিশ সদস্য আহত হওয়ার খবর পাওয়া যায়। অর্ধশত রাউন্ডের বেশি গুলি ছাড়াও ভেতর থেকে শক্তিশালী বোমারও বিস্ফোরণ ঘটানো হয়।

শুক্রবার রাত নয়টার দিকে এ ঘটনার সূত্রপাত হয় গুলশান-২ এর ৭৯ নম্বর রোডে। কী কারণে কারা এই হামলার ঘটনা ঘটালো তা এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত জানা যায়নি।

এদিকে, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল সূত্র জানায়, গুলশানে গোলাগুলির ঘটনায় আহত তিনজনকে সেখানে নেওয়া হয়েছে। এরা হলেন পুলিশ কনস্টেবল প্রদীপ ও কনস্টেবল আলমগীর এবং পথচারী আবদুর রাজ্জাক। তবে পথচারী আব্দুর রাজ্জাক পেশায় মাইক্রোবাস চালক বলে জানা গেছে। তার গলায় গুলি লেগেছে এবং অবস্থা আশংকাজনক।

রেস্টুরেন্টে অবরুদ্ধ অবস্থা থেকে পালিয়ে বের হয়ে আসা ওই রেস্টুরেন্টের সুপারভাইজার সুমন রেজা জানান, রাত পৌনে ৮টার দিকে কয়েক তরুণ সেখানে অস্ত্র নিয়ে ঢোকে। আগ্নেয়াস্ত্র ছাড়াও তাদের একজনের হাতে রামদা ছিল। প্রথমদিকে তারা বিষয়টিকে তরুণদের মজা করা বা ’ফান’ হিসেবে মনে করেন। কিন্তু পরে দেখা যায় তারা গোলাগুলি শুরু করেছে। প্রথমদিকে ফাঁকা গুলি করা হয়।

তিনি জানান, হামলাকারীরা ‘আল্লাহু আকবার’ ডাক দিয়ে হামলা চালায়। ধারণা করা হচ্ছে এটা কোনো নিষিদ্ধ জঙ্গি গ্রুপের কাজ। তবে গুলশনা-১ চেকপোস্টে দায়িত্বরত এএসআই এরশাদ জানান, অবৈধ অস্ত্রধারীরা এলাকায় প্রবেশ করেছে বলে পুলিশ খবর পেয়েছে।

তিনি বলেন, নিরাপত্তার খাতিরে আমরা রাস্তা বন্ধ করেছি, যাতে কোনো অপরাধী পালাতে না পারে।

জানা গেছে, আহতদের মধ্যে শুধু পুলিশ নয়, র‌্যাব সদস্যও রয়েছেন। আহতদের মধ্যে বেশ কয়েকজনকে গুলশানের ইউনাইটেড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

রাত ১১টার দিকে র‌্যাব মহাপরিচালক বেনজির আহমেদ সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, বিষয়টির শান্তিপূর্ণ সুরাহার চেষ্টা চলছে। তিনি কাউকে উদ্বিগ্ন না হওয়ার অনুরোধ করেন।

পুলিশের আইজিপি শহিদুল হক ইউনাইটেড হাসপাতালে আহত পুলিশ সদস্যদের দেখতে গিয়েছেন। ঘটনাস্থল গুলশান এলাকায় র‌্যাব-পুলিশ ছাড়াও মোতায়েন করা হয়েছে বিজিবি ও সোয়াট সদস্যদের। রাত ১২টার দকে সেখানে তিনটি এপিসি যানকে অবস্থান নিতে দেখা গেছে।

এদিকে, এ ঘটনার সূত্রে সাবধানতা হিসেবে রাজধানীর গুরুত্বপূরর্ণ স্থাপনা ও এলাকার নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

ওয়ান২৪.কম/একে

গুলশানের ঘটনায় বানানী থানার ওসি সালাউদ্দিন নিহত