মা-বাবার জন্য দোয়া
নিউজ ডেস্ক
ফাইল ছবি
আপনার মা-বাবার জন্য দোয়া করবেন বছরে একদিন না, প্রতিদিন এবং সবসময়। আর প্রতি বছর মৃত্যুবার্ষিকী পালন করা ঠিক নয়।
মহান রাব্বুল আলামিন আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কোরআনে বলেছেন, মানুষ মরে গেলে তার সব আমল বন্ধ হয়ে যায়। কিন্তু তিনটি কাজ চলতে থাকে। সেগুলো হচ্ছে- সদকায় জারিয়া, ইসলামিক জ্ঞান এবং নেক সন্তান যদি মা-বাবার জন্য দোয়া করে যায় তাহলে সেই দোয়া। মহান আল্লাহ তায়ালা এই দোয়া কবুল করেন।
বাড়িতে হুজুর ডেকে দোয়া করতে হবে, তার কোনো প্রয়োজন নেই। আপনি নিজেই দোয়া করুন যে, আল্লাহ আপনি আমার মা-বাবাকে মাফ করে দিন, জান্নাত নসিব করুন, কবরকে প্রশস্ত করে দিন। এই সব দোয়া আপনি প্রতিনিয়ত করতেই থাকুন। তার সঙ্গে আল্লাহর শেখানো দোয়া তো আছেই।
মা-বাবার জন্য সন্তানের হৃদয় হয় কোমল ও সহনশীল। এ কারণেই হজরত ইব্রাহিম আলাইহি সালামের পিতা মহান আল্লাহর দুশমন হওয়া সত্ত্বেও তিনি প্রথমে তার পিতার জন্য দোয়া করেছিলেন। অতঃপর যখন বুঝতে পারলেন যে, পিতা মহান আল্লাহর দুশমন তখন তিনি তার সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করেন।
সূরা তাওবায় এ বিষয়টি স্পষ্ট ওঠে এসেছে। মহান আল্লাহ তায়ালা বলেন,
وَمَا كَانَ اسْتِغْفَارُ إِبْرَاهِيمَ لِأَبِيهِ إِلاَّ عَن مَّوْعِدَةٍ وَعَدَهَا إِيَّاهُ فَلَمَّا تَبَيَّنَ لَهُ أَنَّهُ عَدُوٌّ لِلّهِ تَبَرَّأَ مِنْهُ إِنَّ إِبْرَاهِيمَ لأوَّاهٌ حَلِيمٌ
‘আর ইব্রাহিম কর্তৃক স্বীয় পিতার মাগফিরাত কামনা ছিল কেবল সেই প্রতিশ্রুতির কারণে; যা তিনি তার সঙ্গে করেছিলেন। অতঃপর যখন তার কাছে একথা প্রকাশ পেল যে, সে আল্লাহর শত্রু তখন তার সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করে নিলেন। নিঃসন্দেহে ইব্রাহিম ছিলেন বড় কোমল হৃদয়, সহনশীল।’(সুরা: তাওবা, আয়াত: ১১৪)
মহান আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কোরআনুল কারিমের বিভিন্ন জায়গায় পিতা-মাতার প্রতি সদ্ব্যবহার, উত্তম আচরণ এবং দোয়া করার পদ্ধতি ও নির্দেশ প্রদান করেছেন। আর তা হলো-

উচ্চারণ : ‘রাব্বির হামহুমা কামা রাব্বাইয়ানি সাগিরা।’ (সুরা: বনি ইসরাইল, আয়াত: ২৪)
অর্থ : ‘হে আমাদের পালনকর্তা! তাদের উভয়ের প্রতি রহম করুন; যেমনিভাবে তারা আমাকে শৈশবকালে লালন-পালন করেছেন।’
অন্য আয়াতে আল্লাহ তায়ালা আরো বলেন-

উচ্চারণ : ‘রাব্বানাগফিরলি ওয়ালে ওয়ালেদাইয়্যা ওয়া লিল মু’মিনিনা ইয়াওমা ইয়া কুমুল হিসাব।’ (সূরা: ইব্রাহিম, আয়াত ৪১)
অর্থ : হে আমাদের পালনকর্তা, আমাকে, আমার পিতা-মাতাকে এবং সব মুমিনকে ক্ষমা করুন, যেদিন হিসাব কায়েম হবে।
মহান রাব্বুল আলামিন আল্লাহ তায়ালা মুসলিম উম্মাহকে তাদের জীবিত মা-বাবার সঙ্গে সদ্ব্যবহার করার তাওফিক দান করুন। আর মৃত মা-বাবার জন্য ক্ষমা প্রার্থনার তাওফিক দান করুন। আল্মৃত্যুবার্ষিকী পালন করা ঠিক নয়। আপনার মা-বাবার জন্য আপনি দোয়া করবেন বছরে একদিন না, প্রতিদিন এবং সবসময়।
মহান রাব্বুল আলামিন আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কোরআনে বলেছেন, মানুষ মরে গেলে সব কাজ বন্ধ হয়ে আল্লাহুম্মা আমিন।
নিউজওয়ান২৪/আরএডব্লিউ
- যে দোয়ায় গলার কাঁটা নেমে যাবে ইনশাল্লাহ!
- ফরজ নামাজের পর প্রয়োজনীয় কিছু আমল
- দরুদে ইব্রাহিম
- মা-বাবার জন্য দোয়া
- তাহিয়্যাতুল-মাসজিদ
মসজিদে ঢুকেই দু’রাকাত নামাজ... - পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের সময়সূচি...
- দরুদে ইব্রাহিম
- কোরআন হাদিসের আলোকে জুমা’র দিনের গুরুত্ব ও তাৎপর্য
- ঋণ মুক্তির সর্বোত্তম আমল
- ফজিলতপূর্ণ কিছু দোয়া ও আমলসমূহ
- পবিত্র কোরআনের তথ্যকণিকা
- জুমার দিনের ৩ আমল
- হযরত আদম আ. এর বিয়ের মহর কত ছিল!
- ফেরেশতা পরিচিতি...
- ‘নিশ্চয় নামাজ অশ্লীল ও অন্যায় কাজ থেকে বিরত রাখে’

দৃষ্টিপ্রতিবন্ধীদের হাডুডু খেলা
টানা ৪ দিনের ছুটি মিলছে সরকারি কর্মচারীদের
চন্দ্রগ্রহণের সময় রাসুল (সা.) যে আমল করতেন
রাজধানীর সব বাস চলবে একক কোম্পানিতে