ঢাকা, ৩১ ডিসেম্বর, ২০২৫
সর্বশেষ:

‘দুর্নীতিতে তিনবার চ্যাম্পিয়নদের দেশের মানুষ আর ভোট দেবে না’

প্রকাশিত: ০০:৪৯, ১৬ নভেম্বর ২০২৫  

 

দুর্নীতিতে তিনবার চ্যাম্পিয়নদের দেশের মানুষ আর ভোট দেবে না, বিএনপির উদ্দেশে এমন মন্তব্য করেছেন জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মুহাম্মদ তাহের।

শনিবার সন্ধ্যা সাতটার দিকে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার গুণবতী ইউনিয়ন জামায়াতের উদ্যোগে গুণবতী উচ্চবিদ্যালয় মাঠে আয়োজিত জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে আবদুল্লাহ মুহাম্মদ তাহের এ কথা বলেন।

দেশের মানুষ জামায়াতকে ক্ষমতায় দেখতে চায় উল্লেখ করে আবদুল্লাহ মুহাম্মদ তাহের বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়গুলো হলো মেধাবীদের জায়গা। মেধাবীরা কখনো ভুল সিদ্ধান্ত নিতে পারেন না। ডাকসু, জাকসু, রাকসু, চাকসুসহ সব ছাত্র সংসদ নির্বাচনের ফলাফল দেখলেই বোঝা যায়, দেশের মানুষের চিন্তার পরিবর্তন হয়েছে। দেশের মানুষের সিদ্ধান্তের পরিবর্তন হয়েছে, রুচির পরিবর্তন হয়েছে। বাংলাদেশের মানুষ আর কোনো মাস্তানকে ভোট দেবে না, চাঁদাবাজকে ভোট দেবে না, দখলবাজদের ভোট দেবে না। মানুষ এখন জামায়াতকে ক্ষমতায় দেখতে চায়।

বাংলার মানুষ আর স্বৈরাচার ও ফ্যাসিবাদে ফিরে যাওয়ার সুযোগ দেবে না উল্লেখ করে জামায়াতের এই নেতা বলেন, ‘জুলাই সনদ স্বাক্ষরের সময় আমার পাশের চেয়ারটিতে ছিলেন বিএনপির মহাসচিব। তাঁরা জুলাই সনদে স্বাক্ষর করে হঠাৎ করে বলছেন, যে সনদে স্বাক্ষর করেছেন, সেটা তাঁরা মানেন না। তাঁরা সংস্কার চান না। সংস্কার না চাওয়ার মানে হচ্ছে আবার অন্যায়ভাবে ভোট ডাকাতি করে এবং ভোটবিহীন নির্বাচন করে স্বৈরাচার ও ফ্যাসিবাদের একটা পথ এবং জানালা খোলা রাখা। এটা জুলাই শহীদদের প্রতি বেইমানি। আমরা বলছি, বাংলাদেশকে আর পেছনে নিয়ে যাওয়া যাবে না। প্রয়োজন হলে আবার জুলাই যোদ্ধাদের ডাক দেওয়া হবে, আবার ৫ আগস্টের আবির্ভাব হবে।’

বিএনপি এখন জনপ্রিয় দল নয়, উল্লেখ করে জামায়াতের নায়েবে আমির বলেন, জিয়াউর রহমান ও বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে বিএনপি ছিল বড় ও জনপ্রিয় দল। বিএনপি এখনো বড় দল, তবে জনপ্রিয় নয়। কর্মকাণ্ডের কারণে মানুষ তাদের থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে। আগামী নির্বাচন হবে চাঁদাবাজ ও দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে। আগামী নির্বাচন হবে সবার মতপ্রকাশের নির্বাচন। জামায়াত ক্ষমতায় এলে এ দেশের মানুষ এক নতুন বাংলাদেশ দেখবে। যেখানে কোনো সন্ত্রাস থাকবে না, দুর্নীতি থাকবে না।

আবদুল্লাহ মুহাম্মদ তাহের বলেন, ‘জুলাই বিপ্লবের মাধ্যমে স্বৈরাচারের শুধু পতন নয়, বিতাড়নও হয়েছে। মানুষ আশা করেছিল, এবার সত্যিকারের পরিবর্তন হবে, নেতারা শোধরাবে। জুলাই বিপ্লবের পরে অন্তর্বর্তী সরকার যেটি গঠিত হয়েছিল আমাদের সহযোগিতায়—তারা তিনটি কাজের কথা বলেছিল। তারা বলেছিল, যারা খুন করেছে, লুটপাট করেছে, তাদের বিচার দৃশ্যমান করা হবে। সেই বিচারের কিছুটা আমরা দেখতে পাচ্ছি। ১৭ তারিখ রায় হতে পারে। কিন্তু এই সরকার জনগণের প্রত্যাশা অনেকটাই পূরণ করতে পারেনি।’

আরও পড়ুন
রাজনীতি বিভাগের সর্বাধিক পঠিত