ঢাকা, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪
সর্বশেষ:

শেষ সম্বল আশ্রয়কেন্দ্রটিও পানিবন্দী!

গেরামের খবর

প্রকাশিত: ২২:৩৭, ১৩ আগস্ট ২০১৭   আপডেট: ২২:৩৯, ১৩ আগস্ট ২০১৭

লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলার বানভাসি মানুষের শেষ সম্বল আশ্রয় কেন্দ্রটিও পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। ফলে বানভাসি মানুষ শত কষ্টের মাঝেও আশ্রয় নিচ্ছেন সেখানে। আশ্রয়কেন্দ্রটিতে প্রবেশ করতে পার হতে হচ্ছে কোমর পানি।

রোববার দুপুরে লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলার মহিষখোচা ইউনিয়নের গোবরধন হায়দারীরা দ্বি-মুখি উচ্চ বিদ্যালয়ের আশ্রয়কেন্দ্র ঘুরে জানা যায়, এখন পর্যন্ত আশ্রয় কেন্দ্রটিতে প্রায় ৮০টি পরিবার আশ্রয় নিয়েছেন। এসময় কথা হয়, মহিষখোচা ইউনিয়নের চরগোবরধন গ্রামের দুলাল মিয়া (৪০) ও তার স্ত্রী ছকিনা বেগম (৩০) এর সঙ্গে। তারা জানান, চারদিন চরাঞ্চলে অবরুদ্ধ থাকার পর রবিবার সেখানে আশ্রয় নিয়েছেন।

নদীতে প্রবল স্রোত থাকায় নৌকা চলাচল করতে পারেনি। ওই দম্পতি`র মতে, তিস্তার পানি বিপদসীমার উপরে থাকায় এখনও মহিষখোচা ইউনিয়নে প্রায় শতাধিক পরিবার মানবেতর জীবনযাপন করছে। তাদেরকে উদ্ধারে জোর দাবী জানান তারা। আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নেয়া সাইফুল ইসলাম বলেন, `কোনটে যামো বাহে সউগটে খালি পানি আর পানি। হামার জীবনে এ্যাদোন পানি আর দেখি নাই হামরা।`

এদিকে উপজেলার মহিষখোচা ইউনিয়নের সলেডি স্পার-২ বাঁধটি হুমকির মুখে রয়েছে। স্থানীয় এলাকাবাসী দিনরাত অক্লান্ত পরিশ্রম করে জিও ব্যাগে বালু ভরাট করে রক্ষার চেষ্টা চালাচ্ছেন। আর বাঁধটি ভেঙে গেলে বাঁধের ভাটিতে থাকা প্রায় এক হাজার পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হবেন বলে এলাকাবাসী জানান।

মহিষখোচা ইউপি চেয়ারম্যান মোসাদ্দেক হোসেন চৌধুরী জানান, এখন পর্যন্ত বানভাসি মানুষের জন্য ১৩ মেট্রিকটন চাল ও এক লাখ টাকা বরাদ্দ পাওয়া গেছে। কিন্তু প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল বলে তিনি দাবী করেন।

আরও পড়ুন
স্বদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত