ঢাকা, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪
সর্বশেষ:

দর্শক এখন ইউটিউবেই নাটক বেশি দেখছে: মিলি

নিউজ ওয়ান টুয়েন্টি ফোর ডেস্ক

প্রকাশিত: ১২:২৯, ২২ অক্টোবর ২০১৭  

ফাইল ছবি

ফাইল ছবি

মডেল-অভিনেত্রী ফারহানা মিলি। অভিনয়ের দ্যুতি ছড়িয়ে দর্শকের মন কেড়েছেন তিনি। টিভি নাটকের পাশাপাশি ২০০৯ সালে গিয়াস উদ্দিন সেলিম পরিচালিত ‘মনপুরা’ ছবির মাধ্যমে বড় পর্দায় পা রাখেন তিনি। সেই ছবিতে তার অনবাদ্য অভিনয় দারুণভাবে প্রশংসা পায়। একইসঙ্গে চলচ্চিত্রটিও দর্শকদের মধ্যে বেশ সাড়া ফেলে। এই চলচ্চিত্রের সবকটি গানই দর্শকদের মুখে মুখে ছিল।

কিন্তু এখন এই মাধ্যমে নিয়মিত নন মিলি। কারণ ভালো গল্প, চিত্রনাট্য না পেলে চলচ্চিত্রে কাজ করতে আগ্রহী নন বলে জানান এই অভিনেত্রী। তিনি আরো জানান, পছন্দসই চরিত্র পেলে অবশ্যই তিনি কাজ করবেন। বর্তমানে ছোট পর্দার কাজ নিয়েই ব্যস্ত সময় পার করছেন মিলি। সঞ্জিত সরকার পরিচালিত `মজনু একজন পাগল নহে`, রাজীবুল ইসলাম রাজীবের `হিং টিং ছট`, মোস্তফা কামাল রাজের `পোস্ট গ্রাজুয়ে` সহ বেশকটি নাটকে কাজ করছেন তিনি।

টিভি নাটকের বর্তমান অবস্থা কেমন মনে হয় জানতে চাইলে মিলি বলেন, `ছোট পর্দায় আগের তুলনায় এখন ভালো কাজ হচ্ছে। নির্মাতা, অভিনয় শিল্পী থেকে শুরু করে সবাই ভালো কাজের প্রতি আগ্রহী। ভালো নাটক নির্মাণের এই ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকলে নাটকের প্রতি দর্শকদেরও আগ্রহ বাড়বে বলে আমি বিশ্বাস করি`।

এদিকে নাটকের পাশাপাশি সামাজিক উন্নয়নমূলক বিভিন্ন ডকুড্রামায়ও কাজ করেন এই অভিনেত্রী। অভিনয় শিল্পীদের শুধু পেশাগত কাজ করার মধ্যেই নিজের দায়িত্ব শেষ হয়ে যায় না। সমাজের মানুষের জন্যও তাদের কিছু দায়বদ্ধতা রয়েছে বলে মনে করছেন মিলি। সেই দায়িত্ববোধ থেকে সম্প্রতি তিনি বিশিষ্ট অভিনেতা ও নাট্যনির্দেশক মামুনুর রশীদের নির্দেশনায় `যক্ষা` বিষয়ক একটি জনসচেতনতামূলক ডকুড্রামায় অভিনয় করেছেন।

এ প্রসঙ্গে মিলি বলেন, `এধরনের কাজ করতে আমি সবসময়ই বেশ স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি। সমাজের প্রতি, সমাজের মানুষের প্রতি আমার কিছু দায়িত্ব রয়েছে। সেই দায়িত্ববোধের জায়গা থেকেই আমার এ ধরনের কাজের সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকা। এ ধরনের কাজের প্রস্তাব পেলে আমি চেষ্টা করি সব ব্যস্ততার ফাঁকে করে দিতে`।

বৈচিত্র্যময় চরিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমে মিলির দীর্ঘদিনের পথচলা। একটি চরিত্রকে ফুটিয়ে তুলতে কোন বিষয়টিকে তিনি প্রাধান্য দিয়ে থাকেন- প্রশ্ন করা হলে বলেন, `একজন শিল্পী কাদামাটির মতো। তাকে চরিত্রানুযায়ী রূপ দেয়া একজন নির্মাতার প্রধান কাজ। একই সঙ্গে শিল্পীর অবশ্যই সেই রূপ ধারণ করার ক্ষমতা থাকতে হবে। আমি অভিনয়ের সময় নির্মাতার চাওয়ানুযায়ী নিজেকে ভাবি। সেই অনুযায়ী চরিত্রের মধ্যেও প্রবেশ করি`।

আজকাল দর্শক টিভিতে নাটক দেখছে না বলে অভিযোগ রয়েছে। এই সর্ম্পকে মিলির মন্তব্য কী জানতে চাইলে বলেন, `সময়ের সঙ্গে আমরা পরিবর্তিত হচ্ছি। প্রযুক্তি মানুষের হাতের মুঠোয়। টিভি চ্যানেলগুলোয় নাটক প্রচারের পর সেটি আবার ইউটিউবে দেয়া হচ্ছে। দর্শক সেই সুবিধাটি গ্রহণ করছে। বলা যায়, দর্শক এখন ইউটিউবেই নাটক বেশি দেখছে। অর্থাৎ একেবারে যে নাটক তারা দেখছে না তা বলা যাবে না`।

ফারহানা মিলি একই সঙ্গে নাটকের মান উন্নয়নের বিষয়েও কথা বলেন। তার ভাষ্য, `পার্শ্ববর্তী দেশের চ্যানেলগুলোর সিরিয়ালের প্রতি আমাদের দেশের নারী দর্শক কেন এত আগ্রহী তার কারণগুলো আমাদের বের করতে হবে। দর্শক কী চায় সেটি যদি একজন নির্মাতা বুঝতে না পারেন তাহলে তার নাটকের প্রতি দর্শকদেরও আগ্রহ থাকবে না`।

অভিনয়ের পাশাপাশি এই অভিনেত্রী সংসারও করছেন। আর এক্ষেত্রে তিনি খুবই দায়িত্বশীল। পেশাগত কাজ সঠিকভাবে করার পাশাপাশি পরিবারকেও যথাযথভাবে সময় দেয়া উচিত বলে তার অভিমত। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, `শোবিজের লোকজনের প্রতি সাম্প্রতিক সময়ে সাধারণ মানুষের নেতিবাচক মন্তব্য শোনা যায়। আমি মনে করি আমাদের শিল্পীদের শুধু পেশাগত কাজে নিজেকে বেশি ব্যস্ত না রেখে পরিবারের জন্যও সময় দেয়া উচিত। আমি যা কিছুই করি না কেন আমার পরিবারের মানুষগুলোর শান্তির জন্যই তো করি। সেই শান্তিটাও উপভোগ করার জন্য একটু সময়ের প্রয়োজন`।

লাইফস্টাইল বিভাগের সর্বাধিক পঠিত