NewsOne24

বললেন হতবাক ওসি

বিরলে এসে এই বিরল ঘটনাটিও আমাকে দেখতে হলো!

বিরল (দিনাজপুর) সংবাদদাতা

নিউজওয়ান২৪

প্রকাশিত : ০৮:৪৮ এএম, ৩১ আগস্ট ২০১৯ শনিবার

দিনাজপুর জেলার বিরল উপজেলায় ঘোড়া জবাই করে মাংস বিক্রির ঘটনায় তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। স্থানীয় মুসল্লিরা জানান, ঘোড়ার মাংস খাওয়া যাবে-এমন দাবি করে এই মাংস বিক্রি করা হয়েছে। এ নিয়ে এলাকায় পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে পড়ে। শেষে এমন অদ্ভূত কাণ্ডের জন্য তিনজনকে তাৎক্ষণিক জেল-জরিমানার দণ্ড দিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। ভ্রাম্যমাণ আদালত ঘোড়া জবাই ও এর মাংস বিক্রির সঙ্গে জড়িত কাজীপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক শফিকুল ইসলাম ও কাঠব্যবসায়ী কাইয়ুম আলীকে ৬ মাস করে কারাদণ্ড দেন। এাড়া রায়হান আলী নামে আরেক জনকে ২৫ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে এক মাসের কারাদণ্ডের আদেশ দেয় ভ্রাম্যমাণ আদালত। তার কাছে ২ কেজি ঘোড়ার মাংস পাওয়া যায়।

এদিকে, গতকাল (শুক্রবার) বিরল উপজেলার কাজীপাড়া গ্রামের এই ঘটনার পর গা-ঢাকা দেয় এলাকার প্রায় অর্ধশত মানুষ। তারা সবাই ঘোড়ার মাংস খেয়েছিল বলে জানা গেছে। 

বিরল থানার ওসি এটিএম গোলাম রসুল নিজে এ ঘটনায় হতভম্ভ। তিনি প্রতিক্রিয়া ব্যাক্ত করেন বলেন, ‘ভাই জীবনে বহু জায়গায় চাকরি করেছি। কিন্তু ঘোড়া জবাই করে ঘোড়ার মাংস বিক্রির এই বিরল ঘটনাটি আমার দেখা বাকি ছিল। বিরলের মতো জায়গায় চাকরিতে এসে এই বিরল ঘটনাটিও আমাকে দেখতে হলো।’ ঘোড়া জবাই ও ঘোড়ার মাংস বিক্রি আইনসম্মত নয় উল্লেখ করে তিনি জানান, এ ঘটনায় পরিস্থিতি উত্তপ্ত হলে তাৎক্ষণিকভাবে এলাকায় গিয়ে রায়হান আলী নামের এক ব্যক্তিকে ২ কেজি ঘোড়ার মাংসসহ আটক করা হয়। 

ওসি গোলাম রসুল ঘটনার বয়ানে আরো জানান, শুক্রবার সকালে একটি ঘোড়া জবাই করা হয়। বিরলের কাজীপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক শফিকুল ইসলাম ও একই গ্রামের আব্দুল গণির ছেলে আব্দুল কাইয়ুম এই কাণ্ড ঘটান। এরপর নিজেরা ওই ঘোড়ার কিছু মাংস রেখে বাকি মাংসগুলো ২০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করেন।
নিউজওয়ান২৪.কম/ভিএইচ